ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ইয়াবায় করোনাতাঙ্ক! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে সারা দেশেই এক রকম বন্ধ হয়ে গেছে মাদক ব্যবসা। সারাদেশের রাস্তা-ঘাট ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় মাদক পাচার ও সরবরাহ কমে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদকসেবীরা বলছেন, ‘মাদক কারবারীদের কাছ থেকে চাহিদা মতো মাদক পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলি পাওয়া যাচ্ছে তারও দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নীতি চালু হওয়ায় সারাদেশে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবীর সংখ্যা অভাবনীয়ভাবে কমে গেছে। বিগত সময়ে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হিমশিম তথা শতভাগ মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও সাফল্য দেখাচ্ছে নতুন নভেল করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় হরেদরে সকল মাদক কারবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে, বন্ধ হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার এ ব্যবসাও। মাদক কারবারিদের ওপর এক যুগান্তকারী আঘাত বলে মনে করে অনেকেই।

অপরদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি ঘোষণার পর চালু ফাঁকা হয়ে গেছে মাদক সেবীদের আড্ডাস্থলগুলিও। মাদকে করোনা ভাইরাস রয়েছে বলে মহলটিতে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ইয়াবাসেবীরা বলছে, ইয়াবায় করোনা ভাইরাস থাকলে খাওয়ার সময় তা সরাসরি ফুসফুসে চলে যাবে। তাই তারা এসেবন থেকে বিরত রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাদক ব্যবসায়ীরা ভীষণ শঙ্কায় পড়েছে। মহামারি থেকে মুক্ত হওয়ার আগে এ শঙ্কা কাটবার নয় বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর চন্দন কুমার সুর জানান, মাদকসেবীরা করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি বেশি তাদের সংস্পর্শ আরও বেশি ঝুঁকি। ময়মনসিংহ গৌরীপুর সার্কেলের এডিশনাল এসপি ইঞ্জিনিয়ার শাখের হোসেন সিদ্দিকী বিডি২৪লাইভকে জানান, গণপরিবহন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাদক প্রবাহ পূর্বের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশ না থাকায় মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসায়ীরা একত্রিত হতে পারছে না। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ।

বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, দেশে কোথাও মাদকসেবী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি । তবে এরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, দিনে করোনা পরিস্থিতি এবং রাতে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বিপিএম বিডি২৪লাইভকে জানান, লকডাউনে যানবাহন, লঞ্চ ইত্যাদি বন্ধ থাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণে। করোনা আতঙ্কে সংশ্লিষ্টরা এখন ঘরে অবস্থান নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইয়াবায় করোনাতাঙ্ক! 

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক; 

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে সারা দেশেই এক রকম বন্ধ হয়ে গেছে মাদক ব্যবসা। সারাদেশের রাস্তা-ঘাট ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় মাদক পাচার ও সরবরাহ কমে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদকসেবীরা বলছেন, ‘মাদক কারবারীদের কাছ থেকে চাহিদা মতো মাদক পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলি পাওয়া যাচ্ছে তারও দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নীতি চালু হওয়ায় সারাদেশে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবীর সংখ্যা অভাবনীয়ভাবে কমে গেছে। বিগত সময়ে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হিমশিম তথা শতভাগ মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও সাফল্য দেখাচ্ছে নতুন নভেল করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় হরেদরে সকল মাদক কারবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে, বন্ধ হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার এ ব্যবসাও। মাদক কারবারিদের ওপর এক যুগান্তকারী আঘাত বলে মনে করে অনেকেই।

অপরদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি ঘোষণার পর চালু ফাঁকা হয়ে গেছে মাদক সেবীদের আড্ডাস্থলগুলিও। মাদকে করোনা ভাইরাস রয়েছে বলে মহলটিতে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ইয়াবাসেবীরা বলছে, ইয়াবায় করোনা ভাইরাস থাকলে খাওয়ার সময় তা সরাসরি ফুসফুসে চলে যাবে। তাই তারা এসেবন থেকে বিরত রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাদক ব্যবসায়ীরা ভীষণ শঙ্কায় পড়েছে। মহামারি থেকে মুক্ত হওয়ার আগে এ শঙ্কা কাটবার নয় বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর চন্দন কুমার সুর জানান, মাদকসেবীরা করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি বেশি তাদের সংস্পর্শ আরও বেশি ঝুঁকি। ময়মনসিংহ গৌরীপুর সার্কেলের এডিশনাল এসপি ইঞ্জিনিয়ার শাখের হোসেন সিদ্দিকী বিডি২৪লাইভকে জানান, গণপরিবহন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাদক প্রবাহ পূর্বের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশ না থাকায় মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসায়ীরা একত্রিত হতে পারছে না। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ।

বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, দেশে কোথাও মাদকসেবী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি । তবে এরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, দিনে করোনা পরিস্থিতি এবং রাতে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বিপিএম বিডি২৪লাইভকে জানান, লকডাউনে যানবাহন, লঞ্চ ইত্যাদি বন্ধ থাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণে। করোনা আতঙ্কে সংশ্লিষ্টরা এখন ঘরে অবস্থান নিয়েছে।