ঢাকা ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১)

গণপূর্তে তথ্য প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি: পদের চেয়ে সম্পদ বেশি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ ফজলুল হক চাকুরীতে ভয়াবহ তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার পদ-পদবীর চেয়ে রাজধানী ঢাকায় ও নিজ এলাকায় সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। মূলত বিএনপি-জামাত সরকারের শেষের দিকে ভয়াবহ তথ্য জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি।

সুত্র জানায়, মোঃ ফজলুল হকের জন্মস্থান টাঙ্গাইল জেলায় হলেও চাকুরী নেওয়ার সময় নিজেকে নাটোরের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়ে মিথ্যে ঠিকানা প্রদানের মাধ্যমে ভয়াবহ তথ্য প্রতারণার মাধ্যমে কোটা বাগিয়ে নেন তিনি। এ বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানে অভিযোগের বাস্তবতার প্রমাণ মিলেছে চাকরিতে যোগদানের সময় নাটোরের দেয়া তথ্য ও ঠিকানা অনুযায়ী সেখানকার স্থানীয় জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে উক্ত ঠিকানা পুরোপুরি মিথ্যে।

নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত পরিচয় পত্রের ঠিকানা অনুযায়ী টাঙ্গাইলে তার জন্মস্থান ও বসত নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঐ এলাকার স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ২০০৪ সালের আগ পর্যন্ত স্থানীয় রাজনীতিতে কট্টর বিএনপি হিসেবে ফজলুল হককে সবাই চিনতো। চাকুরী নেওয়ার সময় এলাকার কাউকে না জানিয়ে অন্যত্র ঠিকানা ও পরিচয় দিয়ে তিনি চাকরি নিয়েছেন যা কিছুই স্থানীয়রা জানতেন না। ফজলুল হকের কর্মস্থল গণপূর্তের বেশ কয়েকটি সূত্রে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় তার কর্মস্থলে তিনি পদে ছোট হলেও তার স্যারদের ম্যানেজ করে বড় বড় কাজকর্ম সম্পাদন করার ব্যবস্থা করে থাকেন। আর এসবের জন্য ফজলুল হকের রয়েছে শক্তিশালী একটি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও ঠিকাদার সিন্ডিকেটের সঙ্গে গভীর সস্পর্ক।

বর্তমান কর্মস্থল গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল ডিভিশন) সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনিয়মের সক্রিয় সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা হিসেবে এই ফজলুল হকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তারা আরো জানান ফজলুল হক আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা গত ১৫ বছরে সম্পদের পাহাড় করেছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অফিস সহকারী ফজলুল হকের মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে দেখা করবেন বলে ফোন কেটে দেন।

ততো জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরিতে বহাল থাকা ফজলুল হকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

গণপূর্তে তথ্য প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি: পদের চেয়ে সম্পদ বেশি!

আপডেট সময় : ১২:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ ফজলুল হক চাকুরীতে ভয়াবহ তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার পদ-পদবীর চেয়ে রাজধানী ঢাকায় ও নিজ এলাকায় সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। মূলত বিএনপি-জামাত সরকারের শেষের দিকে ভয়াবহ তথ্য জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি।

সুত্র জানায়, মোঃ ফজলুল হকের জন্মস্থান টাঙ্গাইল জেলায় হলেও চাকুরী নেওয়ার সময় নিজেকে নাটোরের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়ে মিথ্যে ঠিকানা প্রদানের মাধ্যমে ভয়াবহ তথ্য প্রতারণার মাধ্যমে কোটা বাগিয়ে নেন তিনি। এ বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানে অভিযোগের বাস্তবতার প্রমাণ মিলেছে চাকরিতে যোগদানের সময় নাটোরের দেয়া তথ্য ও ঠিকানা অনুযায়ী সেখানকার স্থানীয় জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে উক্ত ঠিকানা পুরোপুরি মিথ্যে।

নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত পরিচয় পত্রের ঠিকানা অনুযায়ী টাঙ্গাইলে তার জন্মস্থান ও বসত নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঐ এলাকার স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ২০০৪ সালের আগ পর্যন্ত স্থানীয় রাজনীতিতে কট্টর বিএনপি হিসেবে ফজলুল হককে সবাই চিনতো। চাকুরী নেওয়ার সময় এলাকার কাউকে না জানিয়ে অন্যত্র ঠিকানা ও পরিচয় দিয়ে তিনি চাকরি নিয়েছেন যা কিছুই স্থানীয়রা জানতেন না। ফজলুল হকের কর্মস্থল গণপূর্তের বেশ কয়েকটি সূত্রে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় তার কর্মস্থলে তিনি পদে ছোট হলেও তার স্যারদের ম্যানেজ করে বড় বড় কাজকর্ম সম্পাদন করার ব্যবস্থা করে থাকেন। আর এসবের জন্য ফজলুল হকের রয়েছে শক্তিশালী একটি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও ঠিকাদার সিন্ডিকেটের সঙ্গে গভীর সস্পর্ক।

বর্তমান কর্মস্থল গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল ডিভিশন) সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনিয়মের সক্রিয় সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা হিসেবে এই ফজলুল হকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তারা আরো জানান ফজলুল হক আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা গত ১৫ বছরে সম্পদের পাহাড় করেছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অফিস সহকারী ফজলুল হকের মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে দেখা করবেন বলে ফোন কেটে দেন।

ততো জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরিতে বহাল থাকা ফজলুল হকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Loading