ফুটপাত থেকে বসতবাড়ী বাদ যায়না চাঁদাবাজি:
উত্তরার আতঙ্ক ঠোঁটকাটা আলতাফ বাহিনী
- আপডেট সময় : ১২:৩৯:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ৮৬৩ বার পড়া হয়েছে
||বিশেষ প্রতিবেদক ||
ঢাকা উত্তর সিটির গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, খিলক্ষেত, উত্তরা এলাকায় কয়েক বছর যাবত অপরাধ মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অর্ধশতক চাঁদাবাজ। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, উত্তরা জুড়ে কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতা সহ পুলিশ কোপানো মামলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ঠোঁট কাটা আলতাব।
সিটির প্রধান সড়ক এবং নগরবাসীর পায়ে হাটার রাস্তা দখল করে সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ গ্রুপটি।
মোটা অংকের এই টাকা সড়ক ঘুরে পৌঁছে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ক্যাডার ভিত্তিক রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে।
উত্তর সিটির ঘনবসতি এলাকা গুলোতে সড়কের চাঁদাবাজী কিছুটা কম হলেও আবাসিক এলাকায় এটি চলে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে।
সূত্র বলছে, উত্তরা আবাসিক এলাকার প্রতিটি সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় ফুটপাত ও সড়কের ভাসমান দোকান-পাট থেকে চাঁদা তুলে নিচ্ছি শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফের সাঙ্গপাঙ্গরা।
ফল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফায়দাবাদ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ঠোঁটকাটা আলতাফের নেতৃত্বে, উজ্জ্বল, ইউসুফ, মিলনসহ ২০/২৫ জনের একটি ক্যাডার গ্রুপ প্রতিনিয়ত হকারদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে নিচ্ছেন।
তারা বলেন, প্রাননাশের হুমকি থাকায় এবং মালামাল লুটপাটের ভয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় বা পুলিশের উত্তরা বিভাগের কমিশনারের কাছে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দিতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
ফায়দাবাদ এলাকায় বসবাস করেন এমন কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানাযায়, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি – পুলিশ কোপানো (উত্তরখান থানা), বোমাবাজি, হত্যা , কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং অস্ত্র ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত শীর্ষ সন্ত্রাসী ঠোঁটকাটা আলতাফ।
পুলিশের উপর হামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে তারা দাবি করেন। তবে প্রাণ ভয়ে সকলেই তাদের পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
দক্ষিণখান থানার তালিকাভুক্ত অস্ত্র মামলার আসামি আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফের নিয়ন্ত্রণে হাউজবিল্ডিং এলাকায় উজ্জল গ্রুপ, ইয়াং স্টার ও ডিজে গ্রুপ প্রতিদিন কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে নিচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারী একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেক্টর ৭ এর ৩৪ নং সড়কে আলতাফ গ্রুপের ক্যাডার উজ্জলের নেতৃত্বে ২০/২২ জনের একটি গ্রুপ কোমড়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঠোঁটকাটা আলতাফের গ্রুপের লোকজন পিস্তলসহ নানা ধরনের অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে। চাঁদাবাজির সময় কেউ বাঁধা দিলে ; গ্রুপের লোকজন তাকে আঘাত করতে সময় ক্ষেপণ করেনা।
তাঁরা দাবি করেন, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বেশ কয়েক বছর আগে কাপড় ব্যবসায়ী সেলিমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে এই ৩৪ নং সড়কে। উক্ত মামলায় উজ্জল গ্যাং লিডার উজ্জল প্রধান সাক্ষীদের একজন। মামলার সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেই গড়ে তুলেন কিশোর গ্যাং গ্রুপ। দীর্ঘ ৮ বছর যাবত উজ্জল উত্তরা এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত।
তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফের নিয়ন্ত্রণে থাকায় থানা-পুলিশসহ স্থানীয়রা ইজ্জলের বিরুদ্ধে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন বলে জানা যায়।