বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও যুবক গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক |
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার কাঠগড়া উত্তরপাড়া এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও পরবর্তী সময়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে আবার ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই থানার জামগড়া এলাকায় এক পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক শিশুকে ‘ধর্ষণচেষ্টাকালে’ স্থানীয়দের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বৃদ্ধ। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই শিক্ষকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আশুলিয়া : প্রতারণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে কয়েকবার ধর্ষণের অভিযোগে তানভীর রায়হান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার রায়হানকে গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর করা মামলায় রায়হানকে গতকাল সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রায়হানের বাড়ি ভোলার চর ফ্যাশন থানার জিন্নাঘর এলাকায়। সে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহলে একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ব্যবসা করে। ওই ছাত্রী আশুলিয়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে আশুলিয়া থানার এসআই আজহারুল ইসলাম জানান, তিন বছর আগে এক বন্ধুর মাধ্যমে রায়হানের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই ছাত্রীর। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আড়াই বছর আগে শারীরিক সম্পর্ক করে রায়হান। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনে ওই সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। সবশেষ ১৭ জুন দুপুরে রায়হান ওই ছাত্রীর বাসায় যায়। ওই সময় ওই ছাত্রীর বাবা-মা বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্বজনদের কাছে জানালে তাদের পরামর্শে গত শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রী।
এদিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় এক পোশাকশ্রমিককে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ আনা মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই নারী থানায় মামলা করলেও পলাতক আনা মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফজিকুল জানান, গত শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে আনা মিয়া। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বকশীগঞ্জ : জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুই সন্তানের গলায় ছুরি ধরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল মামলা করেছেন ওই নারী। বকশীগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মাহবুব আলম জানান, ওই নারীর স্বামী ঢাকায় রিকশা চালান। তিনি একজনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে জামাল মিয়া (৩০) নামের এক যুবক ঘরে ঢুকে দুই শিশুসন্তানের জননীর গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাড়ির মালিক এগিয়ে এলে জামাল পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কালিগঞ্জ : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘ধর্ষণচেষ্টাকালে’ ৬৭ বছরের বৃদ্ধকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কালিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আজিজুর রহমান জানান, শিশুটি নিজ বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভয় দেখায় আরশাদ আলী গাজী। পরে আরশাদ তার বাড়ির পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই সময় শিশুটি জোরে কেঁদে উঠলে পথচারীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় লোকজন আরশাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। মেয়েশিশুটি এখনো অস্বাভাবিক আচরণ করছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা। এদিকে এ ঘটনায় গতকাল শিশুটির বাবার করা মামলায় আরশাদকে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়। অন্যদিকে আদালতের অনুমতিক্রমে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ফাঁদে ফেলে কমপক্ষে ২০ ছাত্রীকে চার বছর ধরে ধর্ষণ মামলার আসামি অক্সফোর্ড হাইস্কুলের দুই শিক্ষকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের গতকাল আদালতে পাঠিয়েছিল পুলিশ। শুনানি শেষে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আহমেদ হুমায়ূনের আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাবের করা মামলায় ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সরকার ওরফে আশরাফুলকে তিন দিন ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলামের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। অন্যদিকে শিশুদের পক্ষে হওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় আশরাফুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।