ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




রেডিও শুনেই কুরআন মুখস্ত করলেন জন্মান্ধ শিশু হোসেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্কঃ
জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মিয়ানমারের হোসনে মুহাম্মদ তাহির। এ কারণে ছেলেটির বাবা মুহাম্মদ তাহিরের অন্তরে সন্তানের জন্য দুঃখবোধ কাজ করতো। ৫ বছরের এ জন্মান্ধ শিশুটিই রেডিও শুনে শুনেই মুখস্ত করে নেন পুরো কুরআন।

মিয়ানমারে জন্ম নেয়া জন্মান্ধ ৫ বছরের শিশু হোসেনের রেডিও শুনে মুখস্ত করালেন পুরো কুরআন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৫ বছরের শিশুর কুরআন হেফজ এক বিরল দৃষ্টান্ত। সৌদি আরবে বসবাসকারী শিশু হোসেন যেভাবে পুরো কুরআন মুখস্ত করলেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিলেন তার বাবা মুহাম্মদ তাহির।

মিয়ানমারে জন্ম নেয়া হোসেন মুহাম্মদ তাহির সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থানকারী তার প্রবাসী বাবা মুহাম্মদ তাহিরের কাছে চলে আসে। সে আলোকে বাবা মুহাম্মদ তাহির তার ছেলেকে একটি রেডিও কিনে দেন এবং ২৪ ঘণ্টা কুরআন তেলাওয়াতের একটি চ্যানেল নির্ধারণ করে দেন।

বাবা মুহাম্মদ তাহির চিন্তাও করেননি যে, তার দৃষ্টিহীন ছেলে শিশু হোসেন রেডিও শুনে শুনেই পুরো কুরআন মুখস্ত করবেন।

যেভাবে প্রকাশ পায় হোসেন মুখস্ত করেছে পুরো কুরআন
তখনও এ কথা অজানা যে, শিশু হোসেন রেডিও শুনে শুনে পুরো কুরআন মুখস্ত করেছেন। বাবা মুহাম্মদ তাহির জেদ্দা থেকে মদিনায় গমন করেন। মদিনায় আসার পর শিশু হোসেন মসজিদে নববিতে যাওয়ার জন্য বাবার কাছে আবদার করে।

তখন বাবা মুহাম্মদ তাহির অনেকটা মজা করেই তার ছেলেকে বলেন, তুমি যদি সুরা বাকারা থেকে কয়েকটি আয়াত মুখস্ত বলতে পারো তাহলে তোমাকে মসজিদে নববিতে নিয়ে যাবে।

বাবার কথা শুনে ছেলে হোসেন কুরআনের সবচেয়ে বড় ও ২৮৬ আয়াতে পুরো সুরা বাকারা শুনিয়ে দেন। তখনই বাবা মুহাম্মদ তাহির জানতে পারেন যে, তার ছেলে রেডিও শুনে শুনেই কুরআন হেফজ করে যাচ্ছেন।

বিস্ময় বালক হোসেনকে নিয়ে বাবা মুহাম্মদ তাহির মদিনার কয়েক জন আলেম ও হাফেজের কাছে যান। তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন যে, শিশু হোসেনের তেলাওয়াত যেমন শুদ্ধ তেমনি সে ধীরে ধীরে কুরআন হেফজ সম্পন্নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আলেম ও হাফেজরা শিশু হোসেনকে কুরআন মুখস্ত করার কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। আলেম ও হাফেজদের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী শিশু হোসেন অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পুরো কুরআন হেফজ সম্পন্ন করেন।

বিস্ময় বালক শিশু হোসেনের এ কৃতিত্ব বাবা মুহাম্মদ তাহির সব মনোকষ্ট দূর করে দেয়। জন্মান্ধ শিশু হোসেনই এখন বাবা মুহাম্মদ তাহিরের গর্ব।

আল্লাহ তাআলা শিশু হোসেনকে কুরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রেডিও শুনেই কুরআন মুখস্ত করলেন জন্মান্ধ শিশু হোসেন

আপডেট সময় : ১০:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯

ধর্ম ডেস্কঃ
জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মিয়ানমারের হোসনে মুহাম্মদ তাহির। এ কারণে ছেলেটির বাবা মুহাম্মদ তাহিরের অন্তরে সন্তানের জন্য দুঃখবোধ কাজ করতো। ৫ বছরের এ জন্মান্ধ শিশুটিই রেডিও শুনে শুনেই মুখস্ত করে নেন পুরো কুরআন।

মিয়ানমারে জন্ম নেয়া জন্মান্ধ ৫ বছরের শিশু হোসেনের রেডিও শুনে মুখস্ত করালেন পুরো কুরআন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৫ বছরের শিশুর কুরআন হেফজ এক বিরল দৃষ্টান্ত। সৌদি আরবে বসবাসকারী শিশু হোসেন যেভাবে পুরো কুরআন মুখস্ত করলেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিলেন তার বাবা মুহাম্মদ তাহির।

মিয়ানমারে জন্ম নেয়া হোসেন মুহাম্মদ তাহির সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থানকারী তার প্রবাসী বাবা মুহাম্মদ তাহিরের কাছে চলে আসে। সে আলোকে বাবা মুহাম্মদ তাহির তার ছেলেকে একটি রেডিও কিনে দেন এবং ২৪ ঘণ্টা কুরআন তেলাওয়াতের একটি চ্যানেল নির্ধারণ করে দেন।

বাবা মুহাম্মদ তাহির চিন্তাও করেননি যে, তার দৃষ্টিহীন ছেলে শিশু হোসেন রেডিও শুনে শুনেই পুরো কুরআন মুখস্ত করবেন।

যেভাবে প্রকাশ পায় হোসেন মুখস্ত করেছে পুরো কুরআন
তখনও এ কথা অজানা যে, শিশু হোসেন রেডিও শুনে শুনে পুরো কুরআন মুখস্ত করেছেন। বাবা মুহাম্মদ তাহির জেদ্দা থেকে মদিনায় গমন করেন। মদিনায় আসার পর শিশু হোসেন মসজিদে নববিতে যাওয়ার জন্য বাবার কাছে আবদার করে।

তখন বাবা মুহাম্মদ তাহির অনেকটা মজা করেই তার ছেলেকে বলেন, তুমি যদি সুরা বাকারা থেকে কয়েকটি আয়াত মুখস্ত বলতে পারো তাহলে তোমাকে মসজিদে নববিতে নিয়ে যাবে।

বাবার কথা শুনে ছেলে হোসেন কুরআনের সবচেয়ে বড় ও ২৮৬ আয়াতে পুরো সুরা বাকারা শুনিয়ে দেন। তখনই বাবা মুহাম্মদ তাহির জানতে পারেন যে, তার ছেলে রেডিও শুনে শুনেই কুরআন হেফজ করে যাচ্ছেন।

বিস্ময় বালক হোসেনকে নিয়ে বাবা মুহাম্মদ তাহির মদিনার কয়েক জন আলেম ও হাফেজের কাছে যান। তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন যে, শিশু হোসেনের তেলাওয়াত যেমন শুদ্ধ তেমনি সে ধীরে ধীরে কুরআন হেফজ সম্পন্নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আলেম ও হাফেজরা শিশু হোসেনকে কুরআন মুখস্ত করার কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। আলেম ও হাফেজদের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী শিশু হোসেন অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পুরো কুরআন হেফজ সম্পন্ন করেন।

বিস্ময় বালক শিশু হোসেনের এ কৃতিত্ব বাবা মুহাম্মদ তাহির সব মনোকষ্ট দূর করে দেয়। জন্মান্ধ শিশু হোসেনই এখন বাবা মুহাম্মদ তাহিরের গর্ব।

আল্লাহ তাআলা শিশু হোসেনকে কুরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করুন। আমিন।