ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




আ’লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে উপজেলা চেয়ারম্যান আহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯ ১২১ বার পড়া হয়েছে

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে নদী খনন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার বিকালে উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের মোগরপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষদর্শীরা জানান- গত মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাইলা নামক নদীর পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন।

বুধবার বিকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী ঐ নদীর মোগরপাড়া নামক স্থানে গিয়ে খনন কাজে বাধা সৃষ্টি করলে সেখানে থাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে শাফিউল ইসলাম পিলুর সঙ্গে বাতবিতণ্ডা হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার দুই ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল আজিম সোহাগ ও সাকিউল ইসলাম পিলুসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান আত্মরক্ষার্থে তার সঙ্গে থাকা আগ্নেয়অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা ছদ্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।

পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বলে স্থানীয়রা জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আ’লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে উপজেলা চেয়ারম্যান আহত

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে নদী খনন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার বিকালে উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের মোগরপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষদর্শীরা জানান- গত মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাইলা নামক নদীর পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন।

বুধবার বিকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী ঐ নদীর মোগরপাড়া নামক স্থানে গিয়ে খনন কাজে বাধা সৃষ্টি করলে সেখানে থাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে শাফিউল ইসলাম পিলুর সঙ্গে বাতবিতণ্ডা হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার দুই ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল আজিম সোহাগ ও সাকিউল ইসলাম পিলুসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান আত্মরক্ষার্থে তার সঙ্গে থাকা আগ্নেয়অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা ছদ্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।

পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বলে স্থানীয়রা জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।