বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে নদী খনন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকালে উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের মোগরপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষদর্শীরা জানান- গত মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাইলা নামক নদীর পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন।
বুধবার বিকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী ঐ নদীর মোগরপাড়া নামক স্থানে গিয়ে খনন কাজে বাধা সৃষ্টি করলে সেখানে থাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে শাফিউল ইসলাম পিলুর সঙ্গে বাতবিতণ্ডা হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার দুই ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল আজিম সোহাগ ও সাকিউল ইসলাম পিলুসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান আত্মরক্ষার্থে তার সঙ্গে থাকা আগ্নেয়অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা ছদ্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বলে স্থানীয়রা জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।