ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




চরিত্রহীন” নাকি “চোর” কোনটি বেশি অপমানজনক?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০১৯ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

ব্যারিস্টার মঈনুলের হোসেনের কথায় মানহানি হয়েছিল বলেই রাতারাতি মামলা হয়েছিল আর অভিনেত্রী শমী কায়সারের কথায় বা কাজে মনে হয় কেউ হেনস্তা/অপমানিত হয়নি, কারো তেমন মানহানি হয়নি বলেই প্রায় এক সপ্তাহ আগে গত ২৪শে এপ্রিল ঘটে যাওয়া ঘটনায় ২৯শে এপ্রিল রাত পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। যাদের কে ‘চোর’ বলা হয়েছে তারা অপমানিত হলে তো অবশ্যই মামলা হতো, তাই নয় কি। যেমন ‘চরিত্রহীন’ বলায় যে বা যারা অপমানিত বোধ করেছিলেন তারা মামলা করেছিলেন। যদিও শুনেছি শমী নাকি ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে কিন্তু তাতে কি, ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেনও তো দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি ক্ষমাও চেয়েছিল তবু তার শেষ রক্ষা হয়নি, তাকে তো আমরা জেলের ভাত খাইয়েই ছেড়েছি।

ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে যদি মানহানির মামলা হতে পারে, তবে শমীর বিরুদ্ধে কেন নয়।(?) এই লাইনটির পরে যদিও একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমি তা দিলাম না কারণ এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুব ভাল করে বুঝি।

ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন শুধুমাত্র একজন দক্ষ প্রবীণ আইনজীবি নন, বরং বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আমি মনে করি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের মত একজন বিজ্ঞ আইনজীবি শব্দের প্রয়োগ এবং অর্থ খুব ভাল করেই বোঝেন। উনি জানেন অনেক শব্দেরই একের অধিক অর্থ আছে। আমি বিশ্বাস করি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন কোন মানুষকেই “চরিত্রহীন” বলবেননা, আর টিভি পর্দায় কোন নারীকে বলা তো প্রশ্নই উঠে না। উনি গ্রেফতার হওয়ার পর ঐ প্রোগ্রামটি আমি দেখেছি। আমিও একজন নারী এবং পেশায় একজন আইনজীবি। আমার কিন্তু বরাবরই মনে হয়েছে মঈনুল হোসেন সাংবাদিক ভাট্টির কথাটাকে “মিথ্যা” বুঝাতে চেয়েছেন। আমার মনে হয়েছে উনি বুঝাতে চেয়েছেন সাংবাদিক ভাট্টি তার ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, ভূল তথ্য দিচ্ছেন, মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছেন এবং এই কাজটি শুধুমাত্র একজন অসৎ চরিত্রহীন/বিবেকহীন মানুষ করতে পারে। একজন মিথ্যুক ব্যক্তিকে মঈনুল হোসেন মিথ্যা কথা বলার জন্য চরিত্রহীন বলেছেন, কারণ মিথ্যা বলাও তো চরিত্রেরই একটি অংশ, তাই নয় কি! কিন্তু যেহেতু সাংবাদিক ভাট্টির ‘শারিরীক গঠন’ একজন মহিলার এবং ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তখন ‘সরকার বিরোধী’ নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন, তাই আর যায় কই! চরিত্রহীন শব্দের আক্ষরিক অর্থ (literal meaning) ব্যবহার করে আমরা আমাদের দেশের একজন শিক্ষিত সম্মানিত ব্যক্তিকে অপদস্থ/হেনেস্তা করতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করিনি। যদিও মাসুদা ভাট্টিকে লন্ডনে মানুষ কি পরিচয়ে চেনে বা জানে আমি সে ব্যাপারে যাচ্ছিনা।

অন্যদিকে, কোন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যে কোন সুশিক্ষায় নয় বরং চেহারা এবং শারীরিক গঠন দিয়ে মানুষের মন জয় করেছে, তাতে আমরা মাথায় তুলে রেখেছি। অথচ চেহারা কিংবা সৌন্দর্য দুটির কোনটিতেই তার নিজের হাত নেই দুটিই ঈশ্বর প্রদত্ত! শমীর ‘চোর’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ (literal meaning) কিংবা বৃহৎতর অর্থ (wider meaning) যেই ব্যাখ্যাই দেওয়া হোক না কেন চোর শব্দের অর্থ কিন্তু চোরই হয়, অন্য কিছু হয় না। কিন্তু এই মুহূর্তে যেই জিনিসটি শমীর জন্য ঈশ্বরের আশির্বাদের মত কাজ করছে তা হলো শমী বর্তমান সরকারের লোক! গত নির্বাচনে ফেনী থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন পত্রও কিনেছিল। যদিও সেটা অন্য ব্যাপার যে আগুনে পোড়া ফেনীর নুসরাতের জন্য যখন সাড়া দেশ প্রতিবাদে ফেটে পরেছে তখনো শমীকে কোন মানববন্ধনে কিংবা শমীর থেকে কোন প্রতিবাদ, কোন মন্তব্য, দু/চার লাইন লেখা আমার কোথাও নজরে পরেনি! যাইহোক শমী তো সুন্দরী, শমী তো নারী, তার থেকেও বড় কথা শমীর পক্ষে পুরো সরকার কারণ শমী সরকারের পক্ষের লোক। এই একটি বিশাল বিষয় তার আনুকূল্যে থাকার কারণে সে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মত শুধু এক ব্যক্তিকে নয় বরং পুরা একটি মহলকে অর্ধশত সাংবাদিককে ‘চোর’ বললেও তেমন কিছু আসবে যাবে বলে আমি মনে করিনা। সে ভবিষ্যতে আরো কড়া কথাও বলতে পারে আমাদের যে কাউকে, শুধু কথা কেন ‘মার’ও দিতে পারে, চড়-থাপ্পর গালিগালাজ যা ইচ্ছে তাই করতে পারে সে কারণ তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মত সারা দেশজুরে মামলা করবো না সেটা শমী জানে, আর যদি কেউ ‘দুঃসাহস’ দেখিয়ে মামলা করেই ফেলে তবেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মত শমীর জামিন যে না মন্জুর করা হবে না দীর্ঘ সময় তা শমী খুব ভাল করেই বুঝে। শমী আরো জানে সরকারের পক্ষের লোক হওয়ার বদৌলতে তার পক্ষে লড়বেন অনেক নামিদামী আইনজীবী। শমীর ব্যবহারই বলে দেয় সে কতটা বেপরোয়া তার চিন্তা-ধারায়।

আমাদের বোঝার বাকি থাকার কথা নয় যেই সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন বাংলাদেশে আর যাই হোক সরকারের পক্ষের লোক সরকার সমর্থনকারী কেউ কোন বিপদে কখনো পরেনা!!

লেখকঃ-  ব্যারিস্টার ফারাহ খান (Farah Khan)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চরিত্রহীন” নাকি “চোর” কোনটি বেশি অপমানজনক?

আপডেট সময় : ০৪:১১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০১৯

ব্যারিস্টার মঈনুলের হোসেনের কথায় মানহানি হয়েছিল বলেই রাতারাতি মামলা হয়েছিল আর অভিনেত্রী শমী কায়সারের কথায় বা কাজে মনে হয় কেউ হেনস্তা/অপমানিত হয়নি, কারো তেমন মানহানি হয়নি বলেই প্রায় এক সপ্তাহ আগে গত ২৪শে এপ্রিল ঘটে যাওয়া ঘটনায় ২৯শে এপ্রিল রাত পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। যাদের কে ‘চোর’ বলা হয়েছে তারা অপমানিত হলে তো অবশ্যই মামলা হতো, তাই নয় কি। যেমন ‘চরিত্রহীন’ বলায় যে বা যারা অপমানিত বোধ করেছিলেন তারা মামলা করেছিলেন। যদিও শুনেছি শমী নাকি ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে কিন্তু তাতে কি, ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেনও তো দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি ক্ষমাও চেয়েছিল তবু তার শেষ রক্ষা হয়নি, তাকে তো আমরা জেলের ভাত খাইয়েই ছেড়েছি।

ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে যদি মানহানির মামলা হতে পারে, তবে শমীর বিরুদ্ধে কেন নয়।(?) এই লাইনটির পরে যদিও একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমি তা দিলাম না কারণ এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুব ভাল করে বুঝি।

ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন শুধুমাত্র একজন দক্ষ প্রবীণ আইনজীবি নন, বরং বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আমি মনে করি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের মত একজন বিজ্ঞ আইনজীবি শব্দের প্রয়োগ এবং অর্থ খুব ভাল করেই বোঝেন। উনি জানেন অনেক শব্দেরই একের অধিক অর্থ আছে। আমি বিশ্বাস করি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন কোন মানুষকেই “চরিত্রহীন” বলবেননা, আর টিভি পর্দায় কোন নারীকে বলা তো প্রশ্নই উঠে না। উনি গ্রেফতার হওয়ার পর ঐ প্রোগ্রামটি আমি দেখেছি। আমিও একজন নারী এবং পেশায় একজন আইনজীবি। আমার কিন্তু বরাবরই মনে হয়েছে মঈনুল হোসেন সাংবাদিক ভাট্টির কথাটাকে “মিথ্যা” বুঝাতে চেয়েছেন। আমার মনে হয়েছে উনি বুঝাতে চেয়েছেন সাংবাদিক ভাট্টি তার ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, ভূল তথ্য দিচ্ছেন, মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছেন এবং এই কাজটি শুধুমাত্র একজন অসৎ চরিত্রহীন/বিবেকহীন মানুষ করতে পারে। একজন মিথ্যুক ব্যক্তিকে মঈনুল হোসেন মিথ্যা কথা বলার জন্য চরিত্রহীন বলেছেন, কারণ মিথ্যা বলাও তো চরিত্রেরই একটি অংশ, তাই নয় কি! কিন্তু যেহেতু সাংবাদিক ভাট্টির ‘শারিরীক গঠন’ একজন মহিলার এবং ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তখন ‘সরকার বিরোধী’ নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন, তাই আর যায় কই! চরিত্রহীন শব্দের আক্ষরিক অর্থ (literal meaning) ব্যবহার করে আমরা আমাদের দেশের একজন শিক্ষিত সম্মানিত ব্যক্তিকে অপদস্থ/হেনেস্তা করতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করিনি। যদিও মাসুদা ভাট্টিকে লন্ডনে মানুষ কি পরিচয়ে চেনে বা জানে আমি সে ব্যাপারে যাচ্ছিনা।

অন্যদিকে, কোন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যে কোন সুশিক্ষায় নয় বরং চেহারা এবং শারীরিক গঠন দিয়ে মানুষের মন জয় করেছে, তাতে আমরা মাথায় তুলে রেখেছি। অথচ চেহারা কিংবা সৌন্দর্য দুটির কোনটিতেই তার নিজের হাত নেই দুটিই ঈশ্বর প্রদত্ত! শমীর ‘চোর’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ (literal meaning) কিংবা বৃহৎতর অর্থ (wider meaning) যেই ব্যাখ্যাই দেওয়া হোক না কেন চোর শব্দের অর্থ কিন্তু চোরই হয়, অন্য কিছু হয় না। কিন্তু এই মুহূর্তে যেই জিনিসটি শমীর জন্য ঈশ্বরের আশির্বাদের মত কাজ করছে তা হলো শমী বর্তমান সরকারের লোক! গত নির্বাচনে ফেনী থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন পত্রও কিনেছিল। যদিও সেটা অন্য ব্যাপার যে আগুনে পোড়া ফেনীর নুসরাতের জন্য যখন সাড়া দেশ প্রতিবাদে ফেটে পরেছে তখনো শমীকে কোন মানববন্ধনে কিংবা শমীর থেকে কোন প্রতিবাদ, কোন মন্তব্য, দু/চার লাইন লেখা আমার কোথাও নজরে পরেনি! যাইহোক শমী তো সুন্দরী, শমী তো নারী, তার থেকেও বড় কথা শমীর পক্ষে পুরো সরকার কারণ শমী সরকারের পক্ষের লোক। এই একটি বিশাল বিষয় তার আনুকূল্যে থাকার কারণে সে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মত শুধু এক ব্যক্তিকে নয় বরং পুরা একটি মহলকে অর্ধশত সাংবাদিককে ‘চোর’ বললেও তেমন কিছু আসবে যাবে বলে আমি মনে করিনা। সে ভবিষ্যতে আরো কড়া কথাও বলতে পারে আমাদের যে কাউকে, শুধু কথা কেন ‘মার’ও দিতে পারে, চড়-থাপ্পর গালিগালাজ যা ইচ্ছে তাই করতে পারে সে কারণ তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মত সারা দেশজুরে মামলা করবো না সেটা শমী জানে, আর যদি কেউ ‘দুঃসাহস’ দেখিয়ে মামলা করেই ফেলে তবেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মত শমীর জামিন যে না মন্জুর করা হবে না দীর্ঘ সময় তা শমী খুব ভাল করেই বুঝে। শমী আরো জানে সরকারের পক্ষের লোক হওয়ার বদৌলতে তার পক্ষে লড়বেন অনেক নামিদামী আইনজীবী। শমীর ব্যবহারই বলে দেয় সে কতটা বেপরোয়া তার চিন্তা-ধারায়।

আমাদের বোঝার বাকি থাকার কথা নয় যেই সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন বাংলাদেশে আর যাই হোক সরকারের পক্ষের লোক সরকার সমর্থনকারী কেউ কোন বিপদে কখনো পরেনা!!

লেখকঃ-  ব্যারিস্টার ফারাহ খান (Farah Khan)