ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ ৬৪৩ বার পড়া হয়েছে

এইচ আর শফিক: রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া বাজার এলাকার ভূমিদস্য, সন্ত্রাসী খোরশেদ মাদবর ও তার তিন ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার নিরীহ মানুষ। স্বৈরাচার ও গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিরীহ মানুষদের ভিটেবাড়ি দখল করেন তিনি। জুলাই আন্দোলনে খোরশেদ ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গণহত্যায় সহায়তাকারী হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। নিজেদের ভিটে বাড়ি ও চাষাবাদের জমি হারিয়ে নিঃস্ব অনেক পরিবার ভয়ে মুখ খুলেননি এতদিন। জুলাই আন্দোলনে দেশের পটপরিবর্তনের পরিবর্তনের পরবর্তী সময়েও বেপরোয়া এই সন্ত্রাসী পরিবারটি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু পরিবারটি বিএনপির নাম ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছেন বেপরোয়া চাঁদাবাজি।

ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, তার ৩১ শতাংশ পারিবারিক সম্পত্তি লিজ নিয়েছিল খোরশেদ মাদবর। সেই জমির কাগজপত্র সৃজন করে জমি নিজের বলে পরবর্তীতে দাবি করেন। জমির প্রকৃত মালিক মজিবুর রহমান বিষয়টি নিয়ে এসিল্যান্ট অফিসে মামলা করলে রায় তার পক্ষে আসে। তবুও ভূমিখেকো সন্ত্রাসী খোরশেদ মাদবর জমির দখল ছাড়েননি।

গত, ৩১-১-২০০২৫ তারিখে মজিবুর তার নিজ জমিতে গেলে খোরশেদ মাদবর তার তিন ছেলেকে সাথে নিয়ে তাদের ক্যাডার বাহিনী মারার জন্য তেরে আসে ও হুমকি ধামকি দেয়। এবং কখনোই যেন এই জমির ত্রিসীমানায় না আসে সেই বিষয়টিও সতর্ক করে দেওয়া হয়। প্রাণভয়ে ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বিষয়টি তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং-৭৩৮, তাং-১৩-০১-২০২৫ ইং।

এলাকাবাসী জানায়,খোরশেদ মাদবর ও তার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পুরো বাউনিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তারা। বিচার সালিশ থেকে শুরু করে সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাদের উপরে কথা বলার মত কেউ ছিল না। কেউ মুখ খুলে কিছু বলতে চাইলে অস্ত্রের ভয় দেখাত খোরশেদ মাদবর সহ তার ছেলেরা। বাউনিয়া বাজার কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ আলম খোরশেদ মাদবরের বড় ছেলে।
৫ই আগস্ট এর আগে এই কমিটি চলত আওয়ামী লীগের ব্যনারে
আর এখন ভোল পাল্টে চলছে বিএনপি’র ব্যনারে। প্রতিদিন সাজ্জাদ আলমের নেতৃত্বে বাজার থেকে চাঁদা উঠে ২০/২৫ হাজার টাকা আওয়ামী সন্ত্রাসী পরিবারের সবাই এখন বিএনপির নামে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত। পরিচ্ছন্ন ও রাজনীতির ধারক বাহক বিএনপিকে কুলষিত করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে।

সারা জমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে,  প্রতিদিন ছেলে সাজ্জাদ আলমের নেতৃত্বে বাজার থেকে চাঁদা তুলে ২০/২৫ হাজার টাকা। এবং টেম্পু স্টান্ড থেকে চাঁদা উঠে ১০ হাজার টাকা। খোরশেদ মাদবরের রাজনৈতিক পরিচয়, সহ-সভাপতি তুরাগ থানা আওয়ামী লীগ। বড় ছেলে, সাজ্জাদ আলম আহবায়ক সদস্য, তুরাগ থানা যুবলীগ। দ্বিতীয় ছেলে, শাহেদ আলম সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, তুরাগ থানা যুবলীগ। তৃতীয় ছেলে, রনি হাসান, আহবায়ক সদস্য, তুরাগ থানা যুবলীগ। বর্তমানে তারা রাজনৈতিক পরিচয় ও সাইনবোর্ড ব্যবহার করছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র।

গত ১৭ বছরে অবৈধ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিনা ভোটের নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসান, আমির খরশু মাহমুদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেরা খাতুনের খুব আস্থাভাজন ও কাছের মানুষ ছিলেন এই ভুমিদস্যু মাদবর পরিবার। তাদের এই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বাউনিয়া বাজারসহ আশেপাশের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমি এখনো অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের অনেকেই মৃত্যুর ভয়ে নিজের পৈত্তক সম্পত্তির কাছে আসতে সাহস পায়না।

অন্য আরেক ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় এই ভূমি খেকো পরিবার। তাতে প্রতিবাদ করায় আলাউদ্দিনকে তার দোকান ঘরের ভিতর থেকে টেনেহেছরে বের করে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে, মাদবরের নির্দেশে তার তিন ছেলে। আলাউদ্দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান সেই মৃত্যুকে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে স্টক করে মারা গেছেন বলে চালিয়ে দেন। আজও আলাউদ্দিনের পরিবার একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা। তুরাগ থানা মামলা নং-১০
তারিখ ১১-৪-২০২২।

ঠিক একই কায়দায় আরও একজন ভুক্তভুগী পরিবারের জমি দখল করে এই আওয়ামী ভূমিদস্যু পরিবার। যে কারণে তাদের নামে  আরেকটি মামলা হয় খোরশেদ মাদবর তার ছেলেদের নামে
মামলার বাদী আবুল কাশেম চৌধুরী সিআর মামলা নং১৯৪/২০২২,

সর্বশেষ পতিত স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর গণহত্যার দায়ে খোরশেদ মাদবর তার তিন ছেলে শাহেদ আলম, রনি হাসান ও সাজ্জদ আলমের নামে হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় শাহেদ আলম কারাগারে থাকলে ও খোরশেদ মাদবর ও তার দুই ছেলে রনি হাসান,সাজ্জাদ আলম এখনো বুক ফুলিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। থেমে নেই বাউনিয়া বাজার ও টেম্পু স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির কার্যক্রমও। উত্তর পশ্চিম থানা মামলা নং- ০৮,
ইং- ০৩-০১-২০২৫। ১৪১/১৪২/১৪৩/১৪৪ নং আসামি তারা।

ভিটা ও মাটি দখল হয়ে যাওয়া ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী এই ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী পরিবারের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে খোরশেদ মাদবর এর মুঠোফোন নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি 

আপডেট সময় : ১২:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

এইচ আর শফিক: রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া বাজার এলাকার ভূমিদস্য, সন্ত্রাসী খোরশেদ মাদবর ও তার তিন ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার নিরীহ মানুষ। স্বৈরাচার ও গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিরীহ মানুষদের ভিটেবাড়ি দখল করেন তিনি। জুলাই আন্দোলনে খোরশেদ ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গণহত্যায় সহায়তাকারী হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। নিজেদের ভিটে বাড়ি ও চাষাবাদের জমি হারিয়ে নিঃস্ব অনেক পরিবার ভয়ে মুখ খুলেননি এতদিন। জুলাই আন্দোলনে দেশের পটপরিবর্তনের পরিবর্তনের পরবর্তী সময়েও বেপরোয়া এই সন্ত্রাসী পরিবারটি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু পরিবারটি বিএনপির নাম ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছেন বেপরোয়া চাঁদাবাজি।

ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, তার ৩১ শতাংশ পারিবারিক সম্পত্তি লিজ নিয়েছিল খোরশেদ মাদবর। সেই জমির কাগজপত্র সৃজন করে জমি নিজের বলে পরবর্তীতে দাবি করেন। জমির প্রকৃত মালিক মজিবুর রহমান বিষয়টি নিয়ে এসিল্যান্ট অফিসে মামলা করলে রায় তার পক্ষে আসে। তবুও ভূমিখেকো সন্ত্রাসী খোরশেদ মাদবর জমির দখল ছাড়েননি।

গত, ৩১-১-২০০২৫ তারিখে মজিবুর তার নিজ জমিতে গেলে খোরশেদ মাদবর তার তিন ছেলেকে সাথে নিয়ে তাদের ক্যাডার বাহিনী মারার জন্য তেরে আসে ও হুমকি ধামকি দেয়। এবং কখনোই যেন এই জমির ত্রিসীমানায় না আসে সেই বিষয়টিও সতর্ক করে দেওয়া হয়। প্রাণভয়ে ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বিষয়টি তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং-৭৩৮, তাং-১৩-০১-২০২৫ ইং।

এলাকাবাসী জানায়,খোরশেদ মাদবর ও তার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পুরো বাউনিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তারা। বিচার সালিশ থেকে শুরু করে সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাদের উপরে কথা বলার মত কেউ ছিল না। কেউ মুখ খুলে কিছু বলতে চাইলে অস্ত্রের ভয় দেখাত খোরশেদ মাদবর সহ তার ছেলেরা। বাউনিয়া বাজার কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ আলম খোরশেদ মাদবরের বড় ছেলে।
৫ই আগস্ট এর আগে এই কমিটি চলত আওয়ামী লীগের ব্যনারে
আর এখন ভোল পাল্টে চলছে বিএনপি’র ব্যনারে। প্রতিদিন সাজ্জাদ আলমের নেতৃত্বে বাজার থেকে চাঁদা উঠে ২০/২৫ হাজার টাকা আওয়ামী সন্ত্রাসী পরিবারের সবাই এখন বিএনপির নামে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত। পরিচ্ছন্ন ও রাজনীতির ধারক বাহক বিএনপিকে কুলষিত করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে।

সারা জমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে,  প্রতিদিন ছেলে সাজ্জাদ আলমের নেতৃত্বে বাজার থেকে চাঁদা তুলে ২০/২৫ হাজার টাকা। এবং টেম্পু স্টান্ড থেকে চাঁদা উঠে ১০ হাজার টাকা। খোরশেদ মাদবরের রাজনৈতিক পরিচয়, সহ-সভাপতি তুরাগ থানা আওয়ামী লীগ। বড় ছেলে, সাজ্জাদ আলম আহবায়ক সদস্য, তুরাগ থানা যুবলীগ। দ্বিতীয় ছেলে, শাহেদ আলম সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, তুরাগ থানা যুবলীগ। তৃতীয় ছেলে, রনি হাসান, আহবায়ক সদস্য, তুরাগ থানা যুবলীগ। বর্তমানে তারা রাজনৈতিক পরিচয় ও সাইনবোর্ড ব্যবহার করছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র।

গত ১৭ বছরে অবৈধ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিনা ভোটের নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসান, আমির খরশু মাহমুদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেরা খাতুনের খুব আস্থাভাজন ও কাছের মানুষ ছিলেন এই ভুমিদস্যু মাদবর পরিবার। তাদের এই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বাউনিয়া বাজারসহ আশেপাশের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমি এখনো অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের অনেকেই মৃত্যুর ভয়ে নিজের পৈত্তক সম্পত্তির কাছে আসতে সাহস পায়না।

অন্য আরেক ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় এই ভূমি খেকো পরিবার। তাতে প্রতিবাদ করায় আলাউদ্দিনকে তার দোকান ঘরের ভিতর থেকে টেনেহেছরে বের করে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে, মাদবরের নির্দেশে তার তিন ছেলে। আলাউদ্দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান সেই মৃত্যুকে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে স্টক করে মারা গেছেন বলে চালিয়ে দেন। আজও আলাউদ্দিনের পরিবার একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা। তুরাগ থানা মামলা নং-১০
তারিখ ১১-৪-২০২২।

ঠিক একই কায়দায় আরও একজন ভুক্তভুগী পরিবারের জমি দখল করে এই আওয়ামী ভূমিদস্যু পরিবার। যে কারণে তাদের নামে  আরেকটি মামলা হয় খোরশেদ মাদবর তার ছেলেদের নামে
মামলার বাদী আবুল কাশেম চৌধুরী সিআর মামলা নং১৯৪/২০২২,

সর্বশেষ পতিত স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর গণহত্যার দায়ে খোরশেদ মাদবর তার তিন ছেলে শাহেদ আলম, রনি হাসান ও সাজ্জদ আলমের নামে হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় শাহেদ আলম কারাগারে থাকলে ও খোরশেদ মাদবর ও তার দুই ছেলে রনি হাসান,সাজ্জাদ আলম এখনো বুক ফুলিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। থেমে নেই বাউনিয়া বাজার ও টেম্পু স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির কার্যক্রমও। উত্তর পশ্চিম থানা মামলা নং- ০৮,
ইং- ০৩-০১-২০২৫। ১৪১/১৪২/১৪৩/১৪৪ নং আসামি তারা।

ভিটা ও মাটি দখল হয়ে যাওয়া ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী এই ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী পরিবারের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে খোরশেদ মাদবর এর মুঠোফোন নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Loading