মা-মেয়ের অপরাধের সাম্রাজ্য: বাড্ডা সাঁতারকূল এলাকায় এই বাড়িতেই ছিল আওয়ামী ক্যাডারদের আস্তানা
- আপডেট সময় : ০২:১১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}
নিজস্ব প্রতিবেদক: মা ও মেয়ের দেহ ব্যবসার আড়ালে বহুরুপী প্রতারণা। পপির মা নামে বাড্ডা এলাকায় দেহ-ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যপক পরিচিতি তার। রিকসাওয়ালা থেকে শুরু করে বাড্ডা এলাকার প্রভাবশালী সকলেই এই অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকসম্রাগীকে পপির মা’ হিসেবে এক নামেই চেনেন। জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের নিরাপদ আস্তানা ছিল তার বাসা। যেসব আওয়ামী কিলারদের অনেকেই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
তার প্রকৃত নাম আমেনা আক্তার। তার গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার হাওলাপাড়া গ্রামে।তার পিতার নাম আক্তার হোসেন।বর্তমানে থাকেন বাড়ী নং-১৬,রোডনং-৫,লেন-২,দ্বিতীয় তলা বি-২ ফ্লাটে, ওয়ার্ড নং-৪১ পশ্চিম পদরদিয়া টালিথা স্কুলের পিছনে এই ঠিকানায় তার ব্যবসায়ীক সাম্রাজ্য গরে তুলেছেন।
তার তিন কন্যা সন্তান রেখে স্বামী পালিয়ে চলে যায় অন্যত্র। বড় মেয়ে পপি মেজ মেয়ে পাপড়ি ও ছোট মেয়ে ইতিকে নিয়ে তিনি পারি জমান ঢাকায়।
ঢাকতে এসে কোন কাজ নাপেয়ে জরিয়ে পরেন দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসায়।আমেনা আক্তার নাম গোপন করে পপির মা নামেই পরিচিতি পান। পপির মার তিন মেয়েই ইয়াবা আসক্ত। তার বাসায় মনোরঞ্জনে জন্য নিজের মেয়েদের দিয়েই কাস্টমারদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে থাকেন প্রায় সময়।
যদিও তার বড় মেয়ে পপি ও মেঝো মেয়ে পাপড়ি বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ে ইতিই এখন তার ব্যবসার মূল হাতিয়ার।
পপির মা ওরফে আমেনা আক্তার দীর্ঘ বিশ বছর যাবৎ উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের টাকার প্রলোভন দিখিয়ে তার বাসায় দিনের পর দিন পতিতাবৃত্তি মত জঘন্যতম ব্যবসা করে আসছেন।
বর্তমানে তার ছোট মেয়ে ইতিকে দিয়ে ইতির স্কুল পড়ুয়া বান্ধবীদের টাকার প্রলোভন দিখিয়ে বাসায় এনে অসামাজিক কার্যকলাপে বাদ্ধ করেন মা- মেয়ে মিলে। এমনকি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার মেয়ে ইতিকে পরপুরুষে হাতে তুলে দিতে ও দ্বিধা করেননা পপির মা। তার এই ছোট মেয়ে টাকার লোভে জরিয়ে পরেছেন দেহ ব্যবসায়। চলনে-বলনে মনে হবে কোটি পতির মেয়ে।
এই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য যখন যেখানে বাসা ভাড়া নেয় তখন ওই এলাকার স্থানীয় কিছু ক্যাডার ও প্রভাবশালীদের সহযোগিতা নেন তিনি। তার রয়েছে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। বাড্ডা এলাকার ত্রাস- সন্ত্রাসী একাধিক অস্ত্র ও হত্যা মামলার আসামী
যুবলীগের অনিকের সাথে ছিল তার ছোট মেয়ে ইতির গভীর সম্পর্কো মেয়েকে লেলিয়ে দিয়েই তার ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য ঠিক রাখতেন তিনি। মাঝেমধ্যে অনিক তার বাসায় মেয়ে নিয়ে রাত কাটাতেন।
৫ই আগস্টে আগের রাতে তার বাসায় অনেক অস্ত্রশস্ত্র রেখেছিলেন এবং এখান থেকেই ছাত্র জনতার উপর সমস্ত হামলার পরিকল্পনা করেন অনিক গ্রুপ। পপির মার বেশ কিছু কৌশল ছিল টাকা ইনকামের। তার মাস্তান বাহিনীকে মাঝেমধ্যেই কিছু ভালো কাস্টমার দিতে হয়। অর্থকরী আছে এমন কাস্টমার দেখে ভালো মেয়ে আছে বলে টোপ দিয়ে পপির মা ফোনে ডেকে নেন তার বাসায়। পরে তার মাস্তান বাহিনী বাসায় ডেকে নিয়ে চড়-থাপ্পর মেরে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পপির মার মধ্যস্থতায় আপোষ মিমাংসা করতেন।
সেই টাকার একটি মোটা অংকের ভাগপান পপির মা নিজেই। ঠিক একই ভাবে পপির মা তার নিজের চরিত্র হনন করেছে মর্মে মিজান নামে এক ড্রাইভারকে ১২-০৪-২০২২ তারিখে ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ধরে নিয়ে বিচারের মাধ্যমে দুলক্ষ টাকা জরিমানা করেন।
সেই টাকা তুলে দেয়া হয় পপির মায়ের হাতে। এভাবে তার দ্বারা অসংখ্য মানুষ ব্লাকমেইলের শিকার হয়েছেন। তবে মান-সম্মানের ভয়ে কেই আইনি পতিকার চাইতে পারেন না। বিল্লাল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বছর খানেক আগে দারোগা বাড়ী মোড়ে পপির মার বাসায় একটি মেয়েকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে সেই মামলায় রহস্য জনক করণে পপির মাকে আসামি করা নাহলেও তিনজনের নামে মামলা হয় বাড্ডা থানায়। আসামীরা হলো ১. আমির হোসেন(৪০), ২. রফিকুল ইসলাম(৩৫) ৩.মোঃরুবেল(২৫) মামলা নং-১ তাং-০২/০৯/২০২০ দুই ও তিন নাম্বার আসামীর জামিন হলেও এক নাম্বার আসামীর এখনো মুক্তি মেলেনি।
আর পপির মাকে এক নাম্বর স্বাক্ষী করা হয়। তিনি সেই মামলায় স্বাক্ষী দেয়াতো দূরে থাক আদালতের বারান্দায় ও তাকে যেতে হয়নি তার এই ক্ষমতার উৎস কি জানেনা কেউই।এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন বাড্ডা থানার উপ-পরির্দশক আশরাফুল ইসলাম। ৫ আগস্টের পর সন্ত্রাসী অনিক গ্রুপ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও পপির মার ব্যবসা চলছে ছোট পরিসরে কাজের মেয়ে পরিচয়ে একটি করে মেয়ে দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তার এ কাজে টাকার বিনিময়ে সার্বিক সহযোগিতা করেন বাসার কেয়ারটেকার নিজেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকার যুবসমাজ নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে,তার বাসায় মাদকের আসর বসে।আমরা এই জঘন্য ও ঘৃণতম কাজে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাই।
এসব অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত আমেনা বেগমের নিকট এসব বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিবেশী হিসেবে ওইসব আওয়ামী লীগ নেতাদের চিনতেন তিনি।