কামাল পলকের মাসিপিসি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সালেহ উদ্দিন
- আপডেট সময় : ১২:৩০:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১১৮ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":747135,"total_draw_actions":3,"layers_used":2,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1,"square_fit":1,"draw":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
বিশেষ প্রতিবেদক: স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের লুটপাটের সহকারী হিসাবে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে বিগত কয়েক বছর ধরে বহাল তবিত রয়েছেন তিনি। ফায়ার লাইসেন্স, রাজনৈতিক মতাদর্শে বেশ পল্টিবাজ এই ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা। অসংখ্য দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও তাকে বদলি করার ক্ষমতা কারো যেন কারোই নেই। তিনি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালে উদ্দিন। মাঝে মাঝে ঘনিষ্ঠতন্ত্রের কাছে নিজেকে অধিদপ্তরের সেকেন্ড ডিজি’ ক্ষমতাধর বলে জহির করেন ।
মূলত ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকা প্রত্যেকেই সাবেক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বদলি পেয়েছিলেন বলে সচিবালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ শেখ হাসিনার অতি বিশ্বস্তজন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের পারিবারিক ভাবে ঘনিষ্ট। তার প্রভাবেই বিগত দিনে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয় ভর্তির প্রস্তাব গেলেও শেষ পর্যন্ত বদলি করা সম্ভব হয়নি তাকে।
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমান মহাপরিচালকের নিকট নিজেকে সাধু সন্ন্যাসী হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন এই উপপরিচালক।
জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে দেশ যখন মহাসংস্কারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থেকে চেয়ারে দুলছেন সাবেক সরকারের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের মধ্যে অন্যতম এই সালাউদ্দিন।
দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে গত কয়েক বছরে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন তিনি।
সালেহ উদ্দিনের দুর্নীতির অন্যতম খাত নতুন ফায়ার লাইসেন্স থেকে ঘুষ। লাইসেন্স নবায়ন উৎকোচ। ফ্লোর সংযোজনে নির্ধারিত অংকের অর্থ ও বাৎসরিক কেনাকাটার বাজেটে থেকে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ।
নতুন লাইসেন্স দেয়া পাঁচ হাজার ও ফ্লোর সংযোজন পাঁচ হাজার টাকা করে নেন তিনি।
ফায়ার রিপোর্টের কোন কমিটিতে থাকলে ৫% কমিশন আগে দিতে হয় তাকে। উপ পরিচালক সালেহ উদ্দিন কেনাকাটার জন্য বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বাজেট পায় কিন্তু মাল না কিনে বিল ভাউচারের মাধ্যমে বড় একটি অংশ আত্মসাৎ করেন। সূত্র জানায়, এসব অর্থ আত্মসাতের একটি অংশ ডিরেক্টর অপারেশনকে দিয়ে ম্যানেজ করতে হয় তাকে। এছাড়াও তার অধিনস্ত অফিসারদের ট্যাপে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
তিনি ডিএডি ঢাকা, এডি ঢাকা, ডিডি ঢাকা এসব পদে দীর্ঘদিন থেকে রাজধানীর বসিলায় গড়েছেন কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। সালাউদ্দীন এর সকল দুর্নীতির সহযোগিতা করেন লাইস্সে শাখার লিডার আনিস।
বতমানে ফায়ারের যত বদলি হয়ে থাকে সেগুলো থেকে মোটা অংকের টাকার টাকা আদায় করেন সালেহ উদ্দিন যার একটি অংশ তারপর তো জানো কয়েকজন কর্মকর্তাকে ভাগ দিয়ে থাকেন।
বতমানে তিনি নিজেকে দুধের ধোঁয়া তুলসী পাতা হিসেবে জহির করে ডিডিএডমিন হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই পদে বসতে কোটি টাকা লগ্নির মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রচার করা হলেও রহস্যজনক কারনে তার বিরুদ্বে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি পাওয়া সালেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব, হাইকোট, এবং সচিবালয়ের সম্মুখে ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।
দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার কুকর্মের ভেলকি নিয়ে আরও বিস্তারিত থাকবে পরবর্তী পর্বে। কামাল পলকের মাসিপিসি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সালেহ উদ্দিন