ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

সাবেক আইন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহচর

নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ!

বিশেষ প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১৬৪ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

*নিয়ম বহির্ভূত ঘুষ নিয়ন্ত্রক কমিটি গঠন 

*দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক 

*বদলি পদায়ন সহ অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড 

এইচ আর শফিক:ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম দোসর ছাত্র জনতার গণ হত্যার অর্থ যোগানদাতা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ সহচর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নিবন্ধন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক সালাম আজাদ ঘুষ নিয়োগ পদায়ন ও বদলি বাণিজ্য করে হয়েছেন শত কোটি টাকার মালিক। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতির এলাকার লোক হওয়ায় বিগত বছরে নিবন্ধন অধিদপ্তরে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড এই কর্মকর্তা নিজের সিন্ডিকেটের দুর্নীতির করার সুবিধার জন্য নতুন নিয়ম নীতি প্রণয়ন করেও সারাদেশের জেলা রেজিস্টারদের মাধ্যমে শত কোটি টাকা ঘুষ-বানিজ্য করেছেন।

নিবন্ধন অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানান, সারা দেশের নিয়োগ বদলি পদায়ন সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। যদি কেউ নিয়ম-নীতি মেনে কোন প্রকার সুপারিশ এর মাধ্যমে কিছু করার চেষ্টা করতেন তবে তার উপর শাস্তিমূলক বদলিসহ নানা রকম নির্মম নির্যাতন নেমে আসত।

এত শত অপরাধ ও অনিয়ম করার পরেও স্বৈরাচারী সরকারের দেশ ত্যাগ এবং সংস্কার সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি রয়েছেন সপদে বহাল তবিয়াতে। যেন তার কাছে অসহায় পুরো নিবন্ধন শাখা (আইজিআর)।

আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচার শাসনের সময় দেশ যেখানে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, সেখানে আরেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, শত শত কোটি টাকার মালিক নিবন্ধন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুস সালাম আজাদ ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের সবকিছু উলট-পালট হলেও কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না তার দুর্নীতি।

নিবন্ধন শাখার সদ্য সাবেক আইজিয়ার মোঃ আল-মামুন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, সালাম আজাদের নিকট আমিও অসহায় ছিলাম।

সহকারী মহাপরিদর্শক নিবন্ধন সালাম আজাদের নেতৃত্বে নিবন্ধন অধিদপ্তরের রেজিস্টার মেনুয়াল ২০১৪ সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। এমন একটি অবৈধ অর্থ আদায়কারী কমিটি করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে, জেলা নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটি গঠন, সিনিয়রটি ভিত্তিতে পদোন্নতিপূরণ করলেও বিধি মোতাবেক একমাত্র মহাপরিদর্শক নিবন্ধন অনুমতি প্রদান করার কথা কিন্তু গত ১৫ বছর পর্যন্ত আওয়ামীনিতি ও ক্ষমতার দাপটে সরকারি মহাপরিদর্শক নিবন্ধন আব্দুস সালাম আজাদ এর নেতৃত্বে, রেজিস্টার মেনুয়াল পরিপন্থী কমিটি করে নিয়োগ ও পদোন্নতি বদলিবাণিজ্য করেছে সালাম সিন্ডিকেট। তিনি কত বড় দুর্নীতিবাজ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে কত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তদন্ত করলে শতভাগ বের হয়ে আসবে। ঠাকুরগাঁও, বাগেরহাট ও নাটোর সহ অনেক জেলায় ঘুষের অর্থ না পাওয়ায় জেলা পদোন্নতি কমিটিকে অবজ্ঞা করে মহরার, মহড়া এবং টিসি পদে প্রমোশন জ্যেষ্ঠতা ভিত্তিক পাওনা মোহরার পদ কিন্তু আদেশ করেছেন টিসি মোহরার পদে। এসব ক্ষেত্রে আকাশ সমান অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন তিনি। যাহা নিবন্ধন অধিদপ্তরের আইন সম্পূর্ণরূপে অবৈধ।
দীর্ঘদিন যাবত নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীনস্থ জেলা পর্যায়ে উচ্চমান সহকারী/ প্রধান সরকারি পদ হইতে সাবরেজিস্টার পদে পদোন্নতির জন্য আব্দুস সত্তার শিকদার, সালাউদ্দিন আহমেদ ও হালিমা বেগম সহ অন্যান্যরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তৎকালীন সচিব বরাবর আবেদন করেন কিন্তু সালাম আজাদের চাহিদা মোতাবেক ঘুষ দিতে না পারায় আজও পর্যন্ত নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে সচিবের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়নি। উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশনায় সালাম আজাদ এর নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে রেজিস্ট্রি অফিসে দেদারছে চলেছে ঘুষ বাণিজ্য। সাবেক মহাপরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত উম্মে কুলসুম এর মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সালাম আজাদ। এসব ঘুষের টাকা একটি অংশ চলে যেত মন আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দপ্তরে।
নিবন্ধ শাখার দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার কথা ছাড়া দেশের কোন সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বদলি, পদোন্নতি, হয় না।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যখন শত শত জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ঠিক তখন এই কর্মকর্তা ব্যস্ত ছিলেন তার দপ্তরের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি ও কর্মসূচি ঘোষণায়। ছাত্র জনতার রক্ত ও লাশের উপর দাঁড়িয়ে তিনি যে হাসিনা সরকারের শোক প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেই নির্দেশনার স্মারক নাম্বার: ১০,৫০০০,০০৫,২৭০০১২৪-২৩৮(৫৭৬) ১৩/৭/২৪ ইং

নিবন্ধন শাখার সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি দুর্নীতিবাজ এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর সালাম আজাদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার।

নিবন্ধন অধিদপ্তরের এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিষয় আনীত সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগগুলো বিভিন্ন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে প্রতিবেদক নিশ্চিত হয়।

এবিষয়ে জানতে সালাম আজাদ এর মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ের একটি লাইনও সত্য নয়। আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাবেক আইন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহচর

নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ!

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

*নিয়ম বহির্ভূত ঘুষ নিয়ন্ত্রক কমিটি গঠন 

*দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক 

*বদলি পদায়ন সহ অসংখ্য অনিয়ম ও দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড 

এইচ আর শফিক:ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম দোসর ছাত্র জনতার গণ হত্যার অর্থ যোগানদাতা, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ সহচর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নিবন্ধন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক সালাম আজাদ ঘুষ নিয়োগ পদায়ন ও বদলি বাণিজ্য করে হয়েছেন শত কোটি টাকার মালিক। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতির এলাকার লোক হওয়ায় বিগত বছরে নিবন্ধন অধিদপ্তরে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড এই কর্মকর্তা নিজের সিন্ডিকেটের দুর্নীতির করার সুবিধার জন্য নতুন নিয়ম নীতি প্রণয়ন করেও সারাদেশের জেলা রেজিস্টারদের মাধ্যমে শত কোটি টাকা ঘুষ-বানিজ্য করেছেন।

নিবন্ধন অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানান, সারা দেশের নিয়োগ বদলি পদায়ন সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। যদি কেউ নিয়ম-নীতি মেনে কোন প্রকার সুপারিশ এর মাধ্যমে কিছু করার চেষ্টা করতেন তবে তার উপর শাস্তিমূলক বদলিসহ নানা রকম নির্মম নির্যাতন নেমে আসত।

এত শত অপরাধ ও অনিয়ম করার পরেও স্বৈরাচারী সরকারের দেশ ত্যাগ এবং সংস্কার সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি রয়েছেন সপদে বহাল তবিয়াতে। যেন তার কাছে অসহায় পুরো নিবন্ধন শাখা (আইজিআর)।

আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচার শাসনের সময় দেশ যেখানে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, সেখানে আরেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, শত শত কোটি টাকার মালিক নিবন্ধন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুস সালাম আজাদ ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের সবকিছু উলট-পালট হলেও কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না তার দুর্নীতি।

নিবন্ধন শাখার সদ্য সাবেক আইজিয়ার মোঃ আল-মামুন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, সালাম আজাদের নিকট আমিও অসহায় ছিলাম।

সহকারী মহাপরিদর্শক নিবন্ধন সালাম আজাদের নেতৃত্বে নিবন্ধন অধিদপ্তরের রেজিস্টার মেনুয়াল ২০১৪ সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। এমন একটি অবৈধ অর্থ আদায়কারী কমিটি করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে, জেলা নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটি গঠন, সিনিয়রটি ভিত্তিতে পদোন্নতিপূরণ করলেও বিধি মোতাবেক একমাত্র মহাপরিদর্শক নিবন্ধন অনুমতি প্রদান করার কথা কিন্তু গত ১৫ বছর পর্যন্ত আওয়ামীনিতি ও ক্ষমতার দাপটে সরকারি মহাপরিদর্শক নিবন্ধন আব্দুস সালাম আজাদ এর নেতৃত্বে, রেজিস্টার মেনুয়াল পরিপন্থী কমিটি করে নিয়োগ ও পদোন্নতি বদলিবাণিজ্য করেছে সালাম সিন্ডিকেট। তিনি কত বড় দুর্নীতিবাজ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে কত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তদন্ত করলে শতভাগ বের হয়ে আসবে। ঠাকুরগাঁও, বাগেরহাট ও নাটোর সহ অনেক জেলায় ঘুষের অর্থ না পাওয়ায় জেলা পদোন্নতি কমিটিকে অবজ্ঞা করে মহরার, মহড়া এবং টিসি পদে প্রমোশন জ্যেষ্ঠতা ভিত্তিক পাওনা মোহরার পদ কিন্তু আদেশ করেছেন টিসি মোহরার পদে। এসব ক্ষেত্রে আকাশ সমান অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন তিনি। যাহা নিবন্ধন অধিদপ্তরের আইন সম্পূর্ণরূপে অবৈধ।
দীর্ঘদিন যাবত নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীনস্থ জেলা পর্যায়ে উচ্চমান সহকারী/ প্রধান সরকারি পদ হইতে সাবরেজিস্টার পদে পদোন্নতির জন্য আব্দুস সত্তার শিকদার, সালাউদ্দিন আহমেদ ও হালিমা বেগম সহ অন্যান্যরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তৎকালীন সচিব বরাবর আবেদন করেন কিন্তু সালাম আজাদের চাহিদা মোতাবেক ঘুষ দিতে না পারায় আজও পর্যন্ত নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে সচিবের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়নি। উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশনায় সালাম আজাদ এর নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে রেজিস্ট্রি অফিসে দেদারছে চলেছে ঘুষ বাণিজ্য। সাবেক মহাপরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত উম্মে কুলসুম এর মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সালাম আজাদ। এসব ঘুষের টাকা একটি অংশ চলে যেত মন আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দপ্তরে।
নিবন্ধ শাখার দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার কথা ছাড়া দেশের কোন সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বদলি, পদোন্নতি, হয় না।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যখন শত শত জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ঠিক তখন এই কর্মকর্তা ব্যস্ত ছিলেন তার দপ্তরের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি ও কর্মসূচি ঘোষণায়। ছাত্র জনতার রক্ত ও লাশের উপর দাঁড়িয়ে তিনি যে হাসিনা সরকারের শোক প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেই নির্দেশনার স্মারক নাম্বার: ১০,৫০০০,০০৫,২৭০০১২৪-২৩৮(৫৭৬) ১৩/৭/২৪ ইং

নিবন্ধন শাখার সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি দুর্নীতিবাজ এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর সালাম আজাদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার।

নিবন্ধন অধিদপ্তরের এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিষয় আনীত সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগগুলো বিভিন্ন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে প্রতিবেদক নিশ্চিত হয়।

এবিষয়ে জানতে সালাম আজাদ এর মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ের একটি লাইনও সত্য নয়। আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন।

Loading