চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
- আপডেট সময় : ০৪:৩৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং পাঠানটুলি কলাবাগান এলাকায় নির্মানাধীন ভবনে চাঁদা না পেয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আদালতে মামলা দিয়ে সাংবাদিক পরিবার কে হয়রানি করছে আবুল বশর নামের এক ব্যক্তি। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক শেখ সেলিম। শুধু মামলা দিয়েই নয়, বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে তার নির্মানাধীন ভবনের কাজে ব্যাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে আবুল বশরের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী সেলিম জানান, প্রতি বছর ভারী বৃষ্টির কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বসত ঘরে হাটু পরিমান পানি থাকে, এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতি বছর বর্ষায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সবশেষ গেল জুন মাসে দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে পুরনো বসত ঘর ভেংগে উঁচু করে বসত ঘর নির্মাণের কাজ ধরি। এরপরই তার বড় ভাই আবুল বশর (যিনি বিশ বছর পূর্বে পৈতৃক ভিটা বিক্রি করে অত্র এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান) নির্মাণাধীন ভবনে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নানান কৌশলে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাংবাদিক শেখ সেলিমের পরিবারের কাছে। বিষয়টি শেখ সেলিমের পরিবার শেখ সেলিমকে অবগত করলে আবুল বশরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরই জের ধরে আবুল বশর শেখ সেলিমসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মামলা দায়ের করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন শেখ সেলিম ও তার পরিবার।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, মামলার আরজি অনুযায়ী মামলায় দেয়া বাদি আবুল বশরের ঠিকানা ভুয়া, যদিও তিনি হালিশহর থাকেন কিন্তু মামলায় ঠিকানা দেয়া হয়েছে নজীর ভান্ডার লেইন। নজির ভান্ডার লেইনের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আলম জানান উক্ত ঠিকানায় আবুল বশর নামের কোন ব্যক্তি থাকেননা।
অন্যদিকে মামলায় যাদের স্বাক্ষী দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে মোঃ বাবুল ও মুরাদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই ধরনের কোন মামলা বা ঘটনার কিছুই জানেন না তারা। এবং মোঃ বাবুল আরো জানান বিগত বিশ (২০) বছরের মধ্যে আবুল বশরের সঙ্গে তার দেখা স্বাক্ষাত হয়নি। অপরদিকে মামলার অন্য এক স্বাক্ষী মোঃ মুরাদ জানান তাদের অজান্তেই তাদের স্বাক্ষী বানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পাঠানটুলি রোড নাজিরপুলে সরজমিনে গিয়ে খোজ নিয়ে জানা যায় মোঃ শেখ সেলিম ও তার পরিবার কারো সাথে কোন ঝগড়া বিবেদ ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের নিজ বসত বাড়িতে বসবাস করে আসছেন বলে জানান উক্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আমজাদ,মোছাম্মত গোলতাজ বেগম, মোঃ মহসিন সহ আরো অনেকে।