রূপালী ব্যাংকে নারী সহকর্মীরা কতটা নিরাপদ!
রূপালী ব্যাংক ডিজিএম’ কাওসারের যৌন হয়রানি কাণ্ড!

- আপডেট সময় : ১১:১৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪ ২৮১৭ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

**একাধিক নারী সহকর্মী কে প্রমোশন ও পদোন্নতির প্রলোভন দেখানো
**সংবাদ না করার জন্য সংবাদকর্মীদেরকে মোটা অংকের বিজ্ঞাপনের প্রলোভন
**অভিযোগকারী নারীকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রূপালী ব্যাংক পিএলসি এর আইসিটি সিস্টেমস বিভাগের ডিজিএম মোহাম্মদ কাউসার মোস্তাফিজের নারী সহকর্মী প্রতি যৌন হয়রানি কাণ্ডে সরগরম রূপালী ব্যাংক পাড়ায়।
ভুক্তভুগী জানান, তিনি অফিস রুমে ডেকে আমাকে অশ্লীলতা হানির চেষ্টা করেছেন, সম্ভবত উনি ঐদিন মদ খেয়ে অফিসে আসছিলেন। ওই সময় আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করে, এসময় আমি দৌড়ে রুমের বাইরে চলে আসি এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ি। মুস্তাফিজ স্যার দীর্ঘদিন ধরেই আমার সাথে এমন করে আসছিলেন।
ভুক্তভুগী ডিজিএম মোঃ মোস্তাফিজ কাউসারের নিজ শাখার কর্মরত একজন (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) নারী। তিনি বিষয়টা নিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মোহাম্মদ মোস্তাফিজ কাউসার কর্তৃক শারীরিক ভাবে অশ্লীলতার শিকার হওয়ার পর থেকে তার অভিযোগের বিষয় বিচার না করে উল্টো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে ডিজিএম এর সাথে সখ্যতা রয়েছে এমন কয়েকজন কর্মকর্তা।
অফিস চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে এমন যৌন হয়রানির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী থাকার পরেও, বেশ কয়েকদিন পার হয়ে হলে এখনো কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যদিও কাগজে-কলমে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি এখনো পর্যন্ত উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কাউকেই তলব করেনি।
“রূপালী ব্যাংকে নারী সহকর্মীরা কতটা নিরাপদ! ঘটনার পর থেকে এমন প্রশ্ন রূপালী ব্যাংক পাড়ায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে।
যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার সহ ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন পথে নারীদের অবস্থান জয়জয়কার, খোদ সেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক তারই নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠা কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা ভাবার অবকাশ নেই।
যৌন হয়রানী করার অভিযোগ ওঠা রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম এর বিষয় ব্যাংক পাড়ায় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় খোদ এমডি মহোদয়ের খুব কাছের কর্মকর্তা বনে যাওয়া কাওসার মুস্তাফিজ এমন আরো একাধিক নারীকে পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলে এর আগেও সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
যৌন হয়রানি শিকার ওই নারীকে অন্যান্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে যার অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে। এছাড়াও ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা যাতে তদন্ত কমিটির নিকট সাক্ষী না দেয় সে ব্যাপারেও চাপ দিয়েছেন ওই অভিযুক্ত ডিজিএম।
উক্ত অভিযোগের সরেজমিন অনুসন্ধান ও ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানের বিষয়টি অভিযুক্ত ডিজিএম জানতে পেরে একাধিক মহলের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যৌন হয়রানির অভিযুক্ত ডিজিএম তার নিজ এলাকা কুমিল্লার এক সিনিয়র সাংবাদিকের মাধ্যমে উক্ত প্রতিবেদকের সংবাদ প্রচার বন্ধে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এছাড়াও তার নিজের অপরাধের বিষয় ধামাচাপা দিতে ব্যাংকের বিজ্ঞাপন বিভাগের মাধ্যমে মোটা অংকের বিজ্ঞাপন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়েছেন প্রতিবেদক সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমক কর্মীকে!
ভুক্তভোগী নারী ( সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) জানান, আমার বিচার পাবো কি না জানি না, শুনেছি আমার চাকরির ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ডিজিএম স্যার। ওনার অনেক ক্ষমতা অনেক টাকা পয়সা আছে, আমার মত একজন দুর্বল নারীকে যা কিছুই করতে পারে। যা কিছুই হোক আপাতত আমার প্রতি হাওয়া যৌন হয়রানীর কঠিন বিচার চাই।