ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




তিন দাবি নিয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৪৭ বার পড়া হয়েছে

উপাচার্য দপ্তরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এই দাবিগুলো উল্লেখ করেন।

তিনটি দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অছাত্র, বহিরাগত, সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রক্টরের অপসারণ।

কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এ ব্যাপারে বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রক্টরিয়াল বডি অছাত্র, সন্ত্রাসীদের উপাচার্য দপ্তর থেকে বের করেনি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়নি। আমরা মনে করি, প্রক্টরিয়াল বডি সচেতনভাবে এ হামলার সাথে জড়িত। আমাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে না নিলে মনে করব প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাই এ হামলার সাথে জড়িত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ আছে। গতকালকের ঘটনায় আমি উল্টো অনিরাপদ আছি বলে মনে করি। এছাড়া তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’

এর আগে গতকাল বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হয়। তখন শিক্ষকদের সাথে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের বাকবিতন্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে দুই ঘন্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০ টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




তিন দাবি নিয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

উপাচার্য দপ্তরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এই দাবিগুলো উল্লেখ করেন।

তিনটি দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অছাত্র, বহিরাগত, সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রক্টরের অপসারণ।

কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এ ব্যাপারে বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রক্টরিয়াল বডি অছাত্র, সন্ত্রাসীদের উপাচার্য দপ্তর থেকে বের করেনি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়নি। আমরা মনে করি, প্রক্টরিয়াল বডি সচেতনভাবে এ হামলার সাথে জড়িত। আমাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে না নিলে মনে করব প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাই এ হামলার সাথে জড়িত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ আছে। গতকালকের ঘটনায় আমি উল্টো অনিরাপদ আছি বলে মনে করি। এছাড়া তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’

এর আগে গতকাল বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হয়। তখন শিক্ষকদের সাথে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের বাকবিতন্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে দুই ঘন্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০ টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।