ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাকুরীচ্যুত প্রকৌশলী নাসির বহাল তবিয়তে পায়রা বন্দরে: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




দুদকের অভিযোগ

সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীর অবৈধ সম্পদ: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে ভাইয়ের চাকুরী!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

সড়ক ও জনপদ বিভাগের সিলেটের প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেনের অবৈধ অস্বাভাবিক অর্থ ও সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ইয়াসের আরাফাত নামের এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক বরাবর ওই প্রকৌশলীর সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ সহকারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনে করা ঐ অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, তিনি বর্তামানে সিলেটে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, তিনি বর্তমানে সরকারী চাকুরীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় নামে বেনামে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এবং অবৈধভাবে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সহ বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা বা তারও বেশি।

সম্প্রতি তিনি তার গ্রামের বাড়িতে (বাসারা পিয়ন বাড়ি) ৮-১০ শতাংশ জমির উপর প্রায় ১০ (দশ) কোটি টাকা ব্যায়ে চার তলা বিশিষ্ট বিশাল দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকা বা ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেছেন যা তার চাকরিতে বেতন এবং অনান্য বৈধ সুযোগ সুবিধার সাথে কোন ভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে যে, তিনি বড় অংকের টাকার বিনিময়ে তার বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বানিয়ে দেন। সেই মিথ্যা সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার আপন ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ আহমেদকে গণপূর্ত বিভাগে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। যিনি বর্তমানে গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাঁদপুরে কর্মরত আছেন। যেটা রাষ্ট্রীয় আইনে গুরুতর ফৌজদারী অপরাধ।

এছাড়াও তিনি শহরের পাশা-পাশি নামেও বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজের এবং আত্মীয় স্বজনের নামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। ঢাকায় রয়েছে ফ্লাট এবং ফুট। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ব্যবহারের জন্য বন বিভাগের গাছ কর্তন, সংখ্যা লঘুদের নির্যাতন এবং তাদের বাড়ি ঘরে আগুন দেওয়া, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের লালন-পালন এবং তাদের দিয়ে সংখ্যা লঘুদের জায়গা জমিন জোর পূর্বক দখল এবং তাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা এবং গ্রামের অসহায় মানুষদেরকে তার পছন্দের জমি জোরপূর্বক বিক্রিতে বাধ্য করা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে যা তদন্তে প্রকাশ পাবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ওই অভিযোগের বিষয় প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রামের বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত কিছু ঝামেলার জেরে বিরোধীপক্ষ তার বিষয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দুদকের অভিযোগ

সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীর অবৈধ সম্পদ: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে ভাইয়ের চাকুরী!

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

সড়ক ও জনপদ বিভাগের সিলেটের প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেনের অবৈধ অস্বাভাবিক অর্থ ও সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ইয়াসের আরাফাত নামের এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক বরাবর ওই প্রকৌশলীর সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ সহকারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনে করা ঐ অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, তিনি বর্তামানে সিলেটে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, তিনি বর্তমানে সরকারী চাকুরীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় নামে বেনামে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এবং অবৈধভাবে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সহ বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা বা তারও বেশি।

সম্প্রতি তিনি তার গ্রামের বাড়িতে (বাসারা পিয়ন বাড়ি) ৮-১০ শতাংশ জমির উপর প্রায় ১০ (দশ) কোটি টাকা ব্যায়ে চার তলা বিশিষ্ট বিশাল দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকা বা ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেছেন যা তার চাকরিতে বেতন এবং অনান্য বৈধ সুযোগ সুবিধার সাথে কোন ভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে যে, তিনি বড় অংকের টাকার বিনিময়ে তার বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বানিয়ে দেন। সেই মিথ্যা সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার আপন ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজ আহমেদকে গণপূর্ত বিভাগে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। যিনি বর্তমানে গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাঁদপুরে কর্মরত আছেন। যেটা রাষ্ট্রীয় আইনে গুরুতর ফৌজদারী অপরাধ।

এছাড়াও তিনি শহরের পাশা-পাশি নামেও বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজের এবং আত্মীয় স্বজনের নামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। ঢাকায় রয়েছে ফ্লাট এবং ফুট। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ব্যবহারের জন্য বন বিভাগের গাছ কর্তন, সংখ্যা লঘুদের নির্যাতন এবং তাদের বাড়ি ঘরে আগুন দেওয়া, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের লালন-পালন এবং তাদের দিয়ে সংখ্যা লঘুদের জায়গা জমিন জোর পূর্বক দখল এবং তাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা এবং গ্রামের অসহায় মানুষদেরকে তার পছন্দের জমি জোরপূর্বক বিক্রিতে বাধ্য করা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে যা তদন্তে প্রকাশ পাবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের ওই অভিযোগের বিষয় প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রামের বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত কিছু ঝামেলার জেরে বিরোধীপক্ষ তার বিষয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।