ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :




সুন্দরবনের করমজল ইকোট্যুরিজম স্পটে আদায়কৃত রাজস্ব কর্মকর্তাদের পকেটে

বিশেষ প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১২:৫০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জাধীন করমজল হরিণ ও কুমিরের প্রজনন লালন-পালন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে চলছে সীমাহীন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ চুরির হিড়িক পড়েছে। করমজল নিষিদ্ধ এলাকায় সরকারি রেভিনিউ নিয়ে পাশ দিয়ে পর্যটক প্রবেশের নিয়ম থাকলেও অনুমতি রশিদ না দিয়ে পুরো টাকা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ফি বাবদ সেখানে টাকা নিয়ে ঠিকই পর্যটক প্রবেশ করানো হচ্ছে তবে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।

তাছাড়া সংরক্ষিত বন এলাকায় কোনো স্থাপনা বা দোকানপাট করা নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকসের দোকান, মুদিখানা, বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড, মধুর দোকান, ডাবের দোকান বসতে দিয়ে দোকান থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে সংরক্ষিত বনের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।

ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র থাকা হরিণের ঘাস এবং ফুট টেইল মেরামতে সরকারি বাজেট থাকলেও বাজেট থাকলেও বনের কাঠ অবৈধভাবে বিক্রি করে তা করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রে থাকা হরিণ, কুমির, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের ব্যয় মেটানোর জন্য সরকারি বাজেট থাকলেও তা সিংহভাগ আত্মসাতের ঘটনা ঘটায় তাদের সঠিক তদারকি হচ্ছে না বলে পর্যটক সূত্রে অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের দায়িত্বে জনৈক ফরেস্টার আজাদ দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ একাধারে কর্মরত থাকায় চরম অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে পরিবেশবিদগন মনে করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সুন্দরবনের করমজল ইকোট্যুরিজম স্পটে আদায়কৃত রাজস্ব কর্মকর্তাদের পকেটে

আপডেট সময় : ১২:৫০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জাধীন করমজল হরিণ ও কুমিরের প্রজনন লালন-পালন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে চলছে সীমাহীন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ চুরির হিড়িক পড়েছে। করমজল নিষিদ্ধ এলাকায় সরকারি রেভিনিউ নিয়ে পাশ দিয়ে পর্যটক প্রবেশের নিয়ম থাকলেও অনুমতি রশিদ না দিয়ে পুরো টাকা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ফি বাবদ সেখানে টাকা নিয়ে ঠিকই পর্যটক প্রবেশ করানো হচ্ছে তবে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।

তাছাড়া সংরক্ষিত বন এলাকায় কোনো স্থাপনা বা দোকানপাট করা নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকসের দোকান, মুদিখানা, বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড, মধুর দোকান, ডাবের দোকান বসতে দিয়ে দোকান থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে সংরক্ষিত বনের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।

ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র থাকা হরিণের ঘাস এবং ফুট টেইল মেরামতে সরকারি বাজেট থাকলেও বাজেট থাকলেও বনের কাঠ অবৈধভাবে বিক্রি করে তা করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রে থাকা হরিণ, কুমির, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের ব্যয় মেটানোর জন্য সরকারি বাজেট থাকলেও তা সিংহভাগ আত্মসাতের ঘটনা ঘটায় তাদের সঠিক তদারকি হচ্ছে না বলে পর্যটক সূত্রে অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের দায়িত্বে জনৈক ফরেস্টার আজাদ দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ একাধারে কর্মরত থাকায় চরম অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে পরিবেশবিদগন মনে করেন।