চাঁদপুর হাজীগঞ্জের মুজিবুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগ

- আপডেট সময় : ১১:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩৬ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ ১১নং পশ্চিম হাটিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার নানীর সাথে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান ও তার সহকারী রাসেল পাটোয়ারীর হাতে যৌনহয়রানি ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ১৭বছরের নাতনি সুমাইয়া আক্তার। এঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে চাঁদপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার ও তার নানী রোশনারা জানান গতো ০১/১১/২০২২ তারিখ তাদের পারিবারিক একটা মামলার বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইতে গেলে মামলা মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তারের নানীর কাছে পনঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
সুমাইয়া আক্তারের নানী রোশনারা সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী রাসেল পাটোয়ারী তার ১৭বছরের নাতনি সুমাইয়া কে ঢেকে সচিবের রুমে নিয়ে গিয়ে জামাকাপড় ধরে টানাহেঁচড়া করে, এক পর্যায়ে ধর্ষণ চেষ্টা করলে নাতনির চিৎকার শুনতে পেয়ে আসেপাশের লোকজন জড়ো করেন নানী।
এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান ও রাসেল পাটোয়ারী রুম থেকে বের হয়ে একটি গাড়িতে করে চলে যাওয়ার পর কান্নারত অবস্থায় নাতনি সুমাইয়া আক্তার কে উদ্ধার করেন তার নানী সহ আশেপাশের লোকজন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ১১নং পশ্চিম হাটিলা ইউনিয়ন পরিষদ (হাজীগঞ্জ চাঁদপুর)এর চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনার দিন ঢাকা যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিসে ছিলাম ঐদিন রাতে আমি চাঁদপুর হাজীগঞ্জ তথা আমার ইউনিয়ন নিজ গ্রামে আসি ঘটনার সাথে আমি কোনো ভাবেই জড়িত নয় এ ঘটনা মিথ্যা সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য করা হয়েছে।
ঘটনার দিন ঘটনার পূর্বমুহূর্তে ঐ তারিখের একটি জন্মসনদ চেয়ারম্যানের সাক্ষরিত আমাদের হাতে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার স্বাক্ষরিত তবে এটা আমি কখন করেছি ঠিক মনে নেই অনেক সময় কেউ অনুরোধ করলে আমি তারিখ একদিন আগে পরে করে দিয়ে থাকি।
এলাকার সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসির রয়েছে আরও অসংখ্য অভিযোগ। শাহিন আক্তার নামের এক ভুক্তভোগী অসহায় নারী জানান তাকে একটি সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে ছবি তুলে ফটো সেশন করে ১০০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
সেলাই মেশিন না পেয়ে শাহিন আক্তার মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমপির নির্দেশে শাহীন আক্তারকে একটি সেলাই মেশিন দান করেন।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর তিনি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচনের পূর্বে এলাকার উন্নয়নে জনগণের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর আট মাসের মাথায় প্রায় ১২২ জনের বয়স্ক ভাতার তার কার্ড বাতিল করেন এবং এলাকার গরিব দুঃখী মানুষের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালানো শুরু করেন।