চেয়ারে বসার আগেই গণপূর্ত নিয়ন্ত্রণে আশরাফুল: রয়েছে তারেক জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা!

- আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২ ৭৯৭ বার পড়া হয়েছে

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম যেন দুর্নীতি ও অনিয়মের বরপুত্র। দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কারণে তাকে অপসারণ করা হলেও কথিত আছে ২০ কোটি টাকার বিনিময়ে সেই দুদক কর্তৃক দায় মুক্তি পাওয়া দুর্নীতিবাজ এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের শেষ নেই। হাজারো অভিযোগের সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে আশরাফুল আলমের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি। এমনকি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের আগে আশরাফুল আলম গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশল এর চেয়ারে বসবেন এমন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি।
একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বগুড়ার বাসিন্দা প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের সঙ্গে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগে তিনি উক্ত চেয়ারে বসে সরকার দলীয় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে গণপূর্ত নিয়ন্ত্রণ করবেন এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ডোনেশন করবেন বলে চুক্তিও হয়েছে।
প্রায় ৫০ কোটি টাকার চুক্তিতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ার ফেরত পাওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন প্রকৌশলী আশরাফুল আলম। এমন খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা স্পষ্ট। আর এমন উদাসীনতার সুযোগে চেয়ারে বসার আগেই গণপূর্ত অধিদপ্তরের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী। আশরাফুল আলমকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই অর্থের বিনিময়ে সংবাদ প্রচার করা শুরু করেছেন তিনি।
গণপূর্তের বেশ কিছু সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আশরাফুল আলম প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারের বসার আগেই অধিদপ্তরের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছেন। প্রকৌশলী আশরাফুল তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিরবিচ্ছিন্ন চালিয়ে যাওয়ার কৌশল হিসেবে কর্মকর্তা কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট বিটের সাংবাদিক সহ নিজের বিশ্বস্তজনদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন তিনি। প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসার পর যাদেরকে নিয়ে দুর্নীতির কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন। এমন ঘনিষ্ঠ যন্ত্রের তালিকা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিগত দিনের মতো যেন তিনি কোন বিপদে না পড়েন।
আশরাফুল আলম ফিরে আসার আগেই গণপূর্ত অধিদপ্তরের তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
এসব অভিযোগের বিষয় আশরাফুল আলমের মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।