ডিইউজে বিএনপি-জামায়াত মুখোমুখি: নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত

- আপডেট সময় : ০৭:৪২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত) এর নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা নিয়ে গতকাল নির্বাহী কমিটির সভাকে ঘিরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে। জামায়াত সমর্থিত সাংবাদিক ও ছাত্র শিবিরের কর্মীরা ব্যাপকভাবে অবস্থান নেয়। এরিমধ্যে ডিইউজের নির্বাহী দৈনিক নওরোজের ফটোসাংবাদিক জুইয়ের ওপর হামলা করা হয়। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় নারী নির্যাতনের একটি মামলাও হয়েছে। নির্বাচনী তফসিলের ব্যাপারে সভায় কোন আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ডিইউজের গত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ভুয়া সদস্যদের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের ১৪ মাস পর কমিটি গঠন করা হয়, যা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এরিমধ্যে ভূয়া সদস্য তালিকা নিয়ে যাদের অধিকাংশ জামায়াত-শিবির কর্মী, নির্বাচন করার জন্য জামায়াত অংশটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। জামায়াতের রোকন এবং সাংবাদিক শাখার কমা-ার ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই দলের সদস্যরা দ্রুত ভোট করার উদ্যোগ নিলে বিএনপি সমর্থিত কর্মকর্তা ও সদস্যরা এই বলে আপত্তি করেন যে, আগে ভুয়া ও জঙ্গী সদস্যদের চিহ্নিত করে বাদ দিতে বে। বিএনপি সমর্থিত ২/১ জনও জামায়াতের সঙ্গে ছিল। এই বিবাদের মধ্যে নির্বাহী কমিটির একাধিক সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকালের সভায় এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ক্লাব প্রাঙ্গণে সমবেত জামায়াত কর্মীরা হই-চই শুরু করে। এক পর্যায়ে নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই ভোটের তফসীল ঘোষণার আগে ভুয়া সদস্য সনাক্তের দাবি করলে সাধারণ সম্পাদক তাঁকে প্রকাশ্যে চড় মারেন। দৈহিকভাবে লাঞ্ছিত হট্টগোলের মধ্যে সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, যিনি বিএনপি সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য, ঘোষণা করেন যে, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনী তফসিল দেয়া হবে।
কিন্তু আকস্মিকভাবে দেখা যায়, নয়া দিগন্ত অনলাইন পোর্টালে খবর দেয়া হয় যে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই অসত্য সংবাদে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিকেল পর্যন্ত প্রেস ক্লাবে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।