ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য




অভাবের তাড়নায় মুচির কাজ করছেন শিক্ষিকা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক: হেমন্তকালেই শীত কামড় বসাতে শুরু করেছে। সেই হিম ঠাণ্ডায় রাস্তার বসে দু’পয়সা আয়ের জন্য জুতা পালিশ করছেন এক মধ্যবয়স্ক নারী। তার চোখে চশমা, পরনে বোরকা। অভিজাত চেহারার এই নারীকে কোনোভাবেই এই পেশার সঙ্গে মেলানো যায় না। আসলে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। অভাবের তাড়নার বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন এই পেশা।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের রাস্তার পাশেই জুতা পালিশ করতে দেখা যাবে সাবেক শিক্ষিকা হাদিয়া আহমাদিকে। চলতি বছরের আগস্টে তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর শিক্ষকতার চাকরি হারান হাদিয়া। এর পর পেটের দায়ে এই পেশা বেছে নিতে তিনি বাধ্য হন বলে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

পাঁচ সন্তানের মা হাদিয়া জানান, ঘরে ক্ষুধার্ত সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে এই পেশা বেছে নিতে বাধ্য হন তিনি।

এক দশক ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হাদিয়া। তার স্বামীও একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে শেফ হিসেবে কাজ করতেন। তার বড় মেয়ে ছিলেন সরকারি একটি সংস্থার ক্লার্ক। মোটামুটি স্বচ্ছল জীবনযাপন করত পরিবারটি। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে সবকিছু বদলে যায়।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়ায় চাকরি হারান হাদিয়া। এরপর তার স্বামী ও মেয়েরও চাকরি চলে যায়। হাদিয়ার এক ছেলে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করতেন। পরিবার কেউই উপার্জনক্ষম না থাকায় টিউশন ফি দিতে না পেরে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তার ছেলে।

হাদিয়া বলেন, এখন আমরা পেটে খিদে নিয়েই দিন পার করছি। আর এই মুহূর্তে আমার পরিবারের এমন কেউই নেই যারা আমাদের আর্থিক সহায়তা দিতে পারে।

তালেবানের ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথম দফায় শাসনামলে নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার হাদিয়ার মতো অনেক নারীই পরিবারের মুখে একটু খাবার তুলে দেওয়ার আশায় রোজগারের জন্য পথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অভাবের তাড়নায় মুচির কাজ করছেন শিক্ষিকা 

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

সকালের সংবাদ ডেস্ক: হেমন্তকালেই শীত কামড় বসাতে শুরু করেছে। সেই হিম ঠাণ্ডায় রাস্তার বসে দু’পয়সা আয়ের জন্য জুতা পালিশ করছেন এক মধ্যবয়স্ক নারী। তার চোখে চশমা, পরনে বোরকা। অভিজাত চেহারার এই নারীকে কোনোভাবেই এই পেশার সঙ্গে মেলানো যায় না। আসলে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। অভাবের তাড়নার বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন এই পেশা।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের রাস্তার পাশেই জুতা পালিশ করতে দেখা যাবে সাবেক শিক্ষিকা হাদিয়া আহমাদিকে। চলতি বছরের আগস্টে তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর শিক্ষকতার চাকরি হারান হাদিয়া। এর পর পেটের দায়ে এই পেশা বেছে নিতে তিনি বাধ্য হন বলে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

পাঁচ সন্তানের মা হাদিয়া জানান, ঘরে ক্ষুধার্ত সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে এই পেশা বেছে নিতে বাধ্য হন তিনি।

এক দশক ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হাদিয়া। তার স্বামীও একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে শেফ হিসেবে কাজ করতেন। তার বড় মেয়ে ছিলেন সরকারি একটি সংস্থার ক্লার্ক। মোটামুটি স্বচ্ছল জীবনযাপন করত পরিবারটি। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে সবকিছু বদলে যায়।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়ায় চাকরি হারান হাদিয়া। এরপর তার স্বামী ও মেয়েরও চাকরি চলে যায়। হাদিয়ার এক ছেলে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করতেন। পরিবার কেউই উপার্জনক্ষম না থাকায় টিউশন ফি দিতে না পেরে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তার ছেলে।

হাদিয়া বলেন, এখন আমরা পেটে খিদে নিয়েই দিন পার করছি। আর এই মুহূর্তে আমার পরিবারের এমন কেউই নেই যারা আমাদের আর্থিক সহায়তা দিতে পারে।

তালেবানের ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথম দফায় শাসনামলে নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার হাদিয়ার মতো অনেক নারীই পরিবারের মুখে একটু খাবার তুলে দেওয়ার আশায় রোজগারের জন্য পথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন।