ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

কানাডার স্থায়ী নাগরিক হয়েও ডিপিডিসির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০ ২০০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক: দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিপিডিসি বিগত বছরগুলোতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভুতুড়ে বিলসহ নানা কারণে আলোচনা সমালোচনার বিতর্ক জন্ম দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এসবের সঙ্গে জড়িত থাকা সহ রাষ্ট্রের সাথে ভয়াবহ প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির খোদ তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

ডিপিডিসির এসি (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। ডিপিডিসির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান প্রতিষ্ঠানটির প্রকিউরমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের ক্রয়সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তিনিই দেখভাল করেন।

একাধিক মেয়াদে দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকার কারনে তিনি দুর্নীতির শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। আর এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি টেন্ডারবাণিজ্যসহ তার সমস্ত অপকর্ম পরিচালনা করেন। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি: ডিপিডিসিতে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৯ জন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রকিউরমেন্ট) দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে মাহবুবুর রহমানই দ্বিতীয়বারের মতো একই দায়িত্বে ফেরত এসেছেন। এই ঘটনার পেছনে কাজ করেছে তার কারিশমাটিক ম্যানেজ কৌশল। শুধু তাই নয়, দুই মেয়াদ মিলিয়ে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এ পদে রয়েছেন।

এক্ষেত্রে আশ্চর্যের বিষয় হলো মাহবুবুর রহমান ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর এই পদে দুজনের নিয়েগ হয়। কিন্তু দুজন মিলেও এক বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। দায়িত্ব ছাড়ার মাত্র এক বছরের মাথায় দুজনকে বদলি করে মাহবুব তার কৌশলী ম্যানেজ পাওয়ারের মাধ্যমে আবারো একই পদে যোগদান করেন ২৭ ফেব্রয়ারি ২০২০ এ। কেমন অদৃশ্য খুঁটির জোরে তিনি এমনটা করতে পেরেছেন সেটি কিন্তু সহজেই অনুমেয়। এর মধ্যে এক বছর কিন্তু তিনি দেশেও ছিলেন না। এই মাহবুবুর রহমান দ্বৈত দেশের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি কানাডারও নাগরিক। দ্বৈত নাগরিক হয়ে এমন পদে থাকা বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইন পরিপন্থী। ২০১৯ সালের প্রায় পুরোটাই তিনি কানাডায় ভোগ বিলাসী জীবনে মত্ত ছিলেন। এরপর আবার নিজের পছন্দ মতো আগের পদে ফিরে এসে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। শুধু মাহবুবুর রহমান নয় তার পরিবারের প্রতিটি সদস্যও কানাডার নাগরিক। তার কানাডার পাসপোর্ট নম্বর AG062208 । তার পরিবারের সদস্যরা কানাডায় বসবাস করেন বিলাসবহুল বাড়িতে। ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া করেন কানাডার নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি চুক্তি ও ক্রয় সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করছেন। মাহবুবুর রহমান নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য ঠিকাদারের সাথে আলোচনা করে দরপত্রে শর্ত প্রদান করেন। দরপত্র মূল্যায়নে অন্যান্য দরপত্র অযোগ্য করে নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে যোগ্য মূল্যায়ন করে কাজ পাইয়ে দেন। চুক্তি ও ক্রয় সার্কেলের ২টি পদে (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী) তিনি দায়িত্বে থাকায় তার দুর্নীতি করতে সহজ হয়।

এসব বিষয় জানতে তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার মুঠোফোন নাম্বারে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কানাডার স্থায়ী নাগরিক হয়েও ডিপিডিসির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর!

আপডেট সময় : ০১:৪১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদক: দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিপিডিসি বিগত বছরগুলোতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভুতুড়ে বিলসহ নানা কারণে আলোচনা সমালোচনার বিতর্ক জন্ম দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এসবের সঙ্গে জড়িত থাকা সহ রাষ্ট্রের সাথে ভয়াবহ প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির খোদ তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

ডিপিডিসির এসি (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। ডিপিডিসির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান প্রতিষ্ঠানটির প্রকিউরমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের ক্রয়সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তিনিই দেখভাল করেন।

একাধিক মেয়াদে দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকার কারনে তিনি দুর্নীতির শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। আর এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি টেন্ডারবাণিজ্যসহ তার সমস্ত অপকর্ম পরিচালনা করেন। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি: ডিপিডিসিতে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৯ জন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রকিউরমেন্ট) দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে মাহবুবুর রহমানই দ্বিতীয়বারের মতো একই দায়িত্বে ফেরত এসেছেন। এই ঘটনার পেছনে কাজ করেছে তার কারিশমাটিক ম্যানেজ কৌশল। শুধু তাই নয়, দুই মেয়াদ মিলিয়ে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এ পদে রয়েছেন।

এক্ষেত্রে আশ্চর্যের বিষয় হলো মাহবুবুর রহমান ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর এই পদে দুজনের নিয়েগ হয়। কিন্তু দুজন মিলেও এক বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। দায়িত্ব ছাড়ার মাত্র এক বছরের মাথায় দুজনকে বদলি করে মাহবুব তার কৌশলী ম্যানেজ পাওয়ারের মাধ্যমে আবারো একই পদে যোগদান করেন ২৭ ফেব্রয়ারি ২০২০ এ। কেমন অদৃশ্য খুঁটির জোরে তিনি এমনটা করতে পেরেছেন সেটি কিন্তু সহজেই অনুমেয়। এর মধ্যে এক বছর কিন্তু তিনি দেশেও ছিলেন না। এই মাহবুবুর রহমান দ্বৈত দেশের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি কানাডারও নাগরিক। দ্বৈত নাগরিক হয়ে এমন পদে থাকা বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইন পরিপন্থী। ২০১৯ সালের প্রায় পুরোটাই তিনি কানাডায় ভোগ বিলাসী জীবনে মত্ত ছিলেন। এরপর আবার নিজের পছন্দ মতো আগের পদে ফিরে এসে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। শুধু মাহবুবুর রহমান নয় তার পরিবারের প্রতিটি সদস্যও কানাডার নাগরিক। তার কানাডার পাসপোর্ট নম্বর AG062208 । তার পরিবারের সদস্যরা কানাডায় বসবাস করেন বিলাসবহুল বাড়িতে। ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া করেন কানাডার নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি চুক্তি ও ক্রয় সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করছেন। মাহবুবুর রহমান নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য ঠিকাদারের সাথে আলোচনা করে দরপত্রে শর্ত প্রদান করেন। দরপত্র মূল্যায়নে অন্যান্য দরপত্র অযোগ্য করে নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে যোগ্য মূল্যায়ন করে কাজ পাইয়ে দেন। চুক্তি ও ক্রয় সার্কেলের ২টি পদে (তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী) তিনি দায়িত্বে থাকায় তার দুর্নীতি করতে সহজ হয়।

এসব বিষয় জানতে তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার মুঠোফোন নাম্বারে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।