ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা




হেলপার থেকে পরিবহনের মূর্তিমান ডন আব্দুর রহমান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক: প্রায়়়শই বিভিন্ন্ন কারণে জনগণের মাঝেে প্রশ্ন জাগে পরিবহন সেক্টরের ক্ষমতা কি রাষ্ট্র ও প্রশাসনের চেয়েও বেশী? পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য থামানোর সাধ্য যেন কারও নেই। একশ্রেণির পরিবহন শ্রমিক,চিহ্নিত সন্ত্রাসী,পুলিশ ও সরকারি দলের আশীর্বাদপুষ্টদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে চাঁদাবাজ চক্র। গুলিস্তানে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের কাছে মূর্তিমান আতংকের নাম আব্দুর রহমান। নাম শুনলেই অনেকেরই গলা শুকিয়ে যাওয়ার অবস্থা। তার অস্ত্রের কাছে যানবাহন চালক, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে।

পরিবহন খাতে গাড়ির মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নামেই সিংহভাগ চাঁদাবাজি আদায় হয়। সড়ক,মহাসড়ক, টার্মিনাল-স্ট্যান্ডে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপও প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি রয়েছে। পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো চাঁদা নেয় শ্রমিক কল্যাণের নামে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা যে চাঁদা তোলেন তা অভিহিত হয় মাসোয়ারা হিসেবে।গুলিস্তানে লাগামহীন চাঁদাবাজি পরিবহন খাতের নিয়তির লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে যে চাঁদাবাজি হয় তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।

গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ড থেকে আবদুর রহমান দিনরাত চাঁদা আদায়ের কাজটি করে থাকেন ‘লাঠি বাহিনী’, ‘যানজট বাহিনী’ ও ‘লাইন বাহিনী’। প্রতিদিন গুলিস্তান থেকেনারায়ণগঞ্জ, মদনপুর, কাঁচপুর, মেঘনা, মুন্সিগঞ্জ,ডেমরা, রূপগঞ্জ,গাউছিয়া সড়ক দিয়ে শত শত গাড়ি চলাচল করেচাঁদা দিয়ে। চাঁদা দিলে ঘুরে গাড়ির চাকার।

প্রতিটি গাড়ির থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে দৈনিক চাঁদা দিতে হয় রহমান বাহিনীকে। চাঁদা না দিলে চলেনা গাড়ির চাকা,চলে পাশবিক নির্যাতন,অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেও জানান পরিবহন শ্রমিকরা।

ড্রাইভার রাসেল (ছদ্মনাম) বলেন,এই পেশায় জড়িত হয়ে জীবনে ভুল করেছি। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। সব ঠিক থাকলেও ঘাটে ঘাটে আমাদেরকে দিতে হয় টাকা। এছাড়াও নির্যাতনের ঘটনার শিকার হয়েছে অনেকবার।

তিনি আরও জানান গুলিস্তানে রহমানের কাছে অস্ত্রের কাছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক আমরা এখন অসহায়। আমাদের রক্তে অর্জিত টাকা চাঁদাবাজরা নিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে আমাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে। যারা পদক্ষেপ নিবে সেই পুলিশও তাদের নিয়ন্ত্রণে।

পরিবহনের শীর্ষ এক নেতার আশীর্বাদ পেয়ে
তার এবং বেপয়ারা চাঁদাবাজি টিকেট হাতে পেয়ে যায়। পরিবহনে চাঁদাবাজি করে রহমান বাড়ি গাড়ি অল সম্পত্তির মালিকও বনে যান।

এ বিষয়ে আব্দুর রহমান ওরফে (মাউরা) রহমান মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ মিথ্যা আমরা চাঁদা তুলি না। শ্রমিকদের কল্যাণে কিছু টাকা তুলি।

এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার,
মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক মুঠোফোনে বলেন,গত মাসে রহমানসহ সাত জনের নামে এটি চাঁদাবাজি মামলা হয় পল্টন থানা।
রহমান জামিন নিয়ে আসেন এবং অন্যদেরকে আমরা আটক করি।
সে যদি আবার চাঁদাবাজি করে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হেলপার থেকে পরিবহনের মূর্তিমান ডন আব্দুর রহমান

আপডেট সময় : ০১:৩৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদক: প্রায়়়শই বিভিন্ন্ন কারণে জনগণের মাঝেে প্রশ্ন জাগে পরিবহন সেক্টরের ক্ষমতা কি রাষ্ট্র ও প্রশাসনের চেয়েও বেশী? পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য থামানোর সাধ্য যেন কারও নেই। একশ্রেণির পরিবহন শ্রমিক,চিহ্নিত সন্ত্রাসী,পুলিশ ও সরকারি দলের আশীর্বাদপুষ্টদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে চাঁদাবাজ চক্র। গুলিস্তানে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের কাছে মূর্তিমান আতংকের নাম আব্দুর রহমান। নাম শুনলেই অনেকেরই গলা শুকিয়ে যাওয়ার অবস্থা। তার অস্ত্রের কাছে যানবাহন চালক, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে।

পরিবহন খাতে গাড়ির মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নামেই সিংহভাগ চাঁদাবাজি আদায় হয়। সড়ক,মহাসড়ক, টার্মিনাল-স্ট্যান্ডে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপও প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি রয়েছে। পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো চাঁদা নেয় শ্রমিক কল্যাণের নামে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা যে চাঁদা তোলেন তা অভিহিত হয় মাসোয়ারা হিসেবে।গুলিস্তানে লাগামহীন চাঁদাবাজি পরিবহন খাতের নিয়তির লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে যে চাঁদাবাজি হয় তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।

গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ড থেকে আবদুর রহমান দিনরাত চাঁদা আদায়ের কাজটি করে থাকেন ‘লাঠি বাহিনী’, ‘যানজট বাহিনী’ ও ‘লাইন বাহিনী’। প্রতিদিন গুলিস্তান থেকেনারায়ণগঞ্জ, মদনপুর, কাঁচপুর, মেঘনা, মুন্সিগঞ্জ,ডেমরা, রূপগঞ্জ,গাউছিয়া সড়ক দিয়ে শত শত গাড়ি চলাচল করেচাঁদা দিয়ে। চাঁদা দিলে ঘুরে গাড়ির চাকার।

প্রতিটি গাড়ির থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে দৈনিক চাঁদা দিতে হয় রহমান বাহিনীকে। চাঁদা না দিলে চলেনা গাড়ির চাকা,চলে পাশবিক নির্যাতন,অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেও জানান পরিবহন শ্রমিকরা।

ড্রাইভার রাসেল (ছদ্মনাম) বলেন,এই পেশায় জড়িত হয়ে জীবনে ভুল করেছি। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। সব ঠিক থাকলেও ঘাটে ঘাটে আমাদেরকে দিতে হয় টাকা। এছাড়াও নির্যাতনের ঘটনার শিকার হয়েছে অনেকবার।

তিনি আরও জানান গুলিস্তানে রহমানের কাছে অস্ত্রের কাছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক আমরা এখন অসহায়। আমাদের রক্তে অর্জিত টাকা চাঁদাবাজরা নিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে আমাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে। যারা পদক্ষেপ নিবে সেই পুলিশও তাদের নিয়ন্ত্রণে।

পরিবহনের শীর্ষ এক নেতার আশীর্বাদ পেয়ে
তার এবং বেপয়ারা চাঁদাবাজি টিকেট হাতে পেয়ে যায়। পরিবহনে চাঁদাবাজি করে রহমান বাড়ি গাড়ি অল সম্পত্তির মালিকও বনে যান।

এ বিষয়ে আব্দুর রহমান ওরফে (মাউরা) রহমান মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ মিথ্যা আমরা চাঁদা তুলি না। শ্রমিকদের কল্যাণে কিছু টাকা তুলি।

এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার,
মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক মুঠোফোনে বলেন,গত মাসে রহমানসহ সাত জনের নামে এটি চাঁদাবাজি মামলা হয় পল্টন থানা।
রহমান জামিন নিয়ে আসেন এবং অন্যদেরকে আমরা আটক করি।
সে যদি আবার চাঁদাবাজি করে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।