ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




পুলিশকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েও মামলায় ফাঁসলেন প্রতিবন্ধী সেলিম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; আটকের পর ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাদক মামলায় জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

লালপুরে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাদক মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে লালপুর থানা পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লালপুর থানা পুলিশের এস আই আজিজুল হকের নেতৃত্বে ২৫ জুন বিকেলে পদ্মা নদীতে দিয়াড়শকরপুরে মাছ ধরার সময় শারিরিক প্রতিবন্ধী সেলিম (২৭) কে আটক করে তার খালা, বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিনু খাতুনের বাড়ীতে গিয়ে সেলিমের বসত ঘরসহ মেম্বারের ঘর, বাড়ির আঙিনায় তল্লাশী করে।

এ সময় ইউপি সদস্যকে তুই – তুকার করে কথা বলে সেলিমকে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পরে সেলিমের স্ত্রীসহ লোকজন থানায় গেলে এস আই আজিজুল হক জানায় ১ লক্ষ টাকা দিলে ছেড়ে দেয়া হবে না হলে মারপিট করে মাদক মামলায় দিয়ে রিমান্ডে আনা হবে। মামলা থেকে বাঁচতে রাতেই ২৪ হাজার টাকা দেয় সেলিমের খালা ইউপি সদস্য মিনু খাতুন। এস আই আজিজ টাকা নিয়ে আবার সকালে আসতে বলে।

বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মিনু খাতুন বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ভাগ্নে নদীতে মাছ ধরার সময় সাদা পোশাকে পুলিশ ধরে আমার বাড়ির মধ্যে এসে সব ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো করে এ সময় আমি জানতে চাইলে তুই – তুকার করে ধমক দেয়। আমি নিজেও ভয় পেয়ে ভাই – বাবা বলে কথা বলার চেষ্টা করলে আমাদের থানা আসতে বলে সেলিমকে ধরে নিয়ে যায়।

সন্ধ্যার পরে থানায় গেলে আজিজ দারোগা ১ লক্ষ টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বলে জানালে হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করে ২৪ হাজার টাকা দিই, টাকা নিয়ে বলে সকালে আসেন আরো টাকা লাগবে। শুক্রবার ( ২৬ জুন) সেলিমের বৌয়ের কানের দুল আর ১ টা ছাগলের বাচ্চা বিক্রি করে ৬ হাজার টাকা দিই। টাকা নেয়ার পরে পুলিশ জানায় কোর্টে চালান দেয়া হবে। মামলা সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেলিমকে ২ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এস আই আজিজুল জানান, তিনি এখন ছুটিতে আছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিজ বাড়িতে। তবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সবার সামনেই তিনি ফেনসিডিলসহ সেলিমকে ধরে এনেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পুলিশকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েও মামলায় ফাঁসলেন প্রতিবন্ধী সেলিম

আপডেট সময় : ১১:০০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; আটকের পর ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাদক মামলায় জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

লালপুরে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাদক মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে লালপুর থানা পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লালপুর থানা পুলিশের এস আই আজিজুল হকের নেতৃত্বে ২৫ জুন বিকেলে পদ্মা নদীতে দিয়াড়শকরপুরে মাছ ধরার সময় শারিরিক প্রতিবন্ধী সেলিম (২৭) কে আটক করে তার খালা, বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিনু খাতুনের বাড়ীতে গিয়ে সেলিমের বসত ঘরসহ মেম্বারের ঘর, বাড়ির আঙিনায় তল্লাশী করে।

এ সময় ইউপি সদস্যকে তুই – তুকার করে কথা বলে সেলিমকে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পরে সেলিমের স্ত্রীসহ লোকজন থানায় গেলে এস আই আজিজুল হক জানায় ১ লক্ষ টাকা দিলে ছেড়ে দেয়া হবে না হলে মারপিট করে মাদক মামলায় দিয়ে রিমান্ডে আনা হবে। মামলা থেকে বাঁচতে রাতেই ২৪ হাজার টাকা দেয় সেলিমের খালা ইউপি সদস্য মিনু খাতুন। এস আই আজিজ টাকা নিয়ে আবার সকালে আসতে বলে।

বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মিনু খাতুন বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ভাগ্নে নদীতে মাছ ধরার সময় সাদা পোশাকে পুলিশ ধরে আমার বাড়ির মধ্যে এসে সব ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো করে এ সময় আমি জানতে চাইলে তুই – তুকার করে ধমক দেয়। আমি নিজেও ভয় পেয়ে ভাই – বাবা বলে কথা বলার চেষ্টা করলে আমাদের থানা আসতে বলে সেলিমকে ধরে নিয়ে যায়।

সন্ধ্যার পরে থানায় গেলে আজিজ দারোগা ১ লক্ষ টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বলে জানালে হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করে ২৪ হাজার টাকা দিই, টাকা নিয়ে বলে সকালে আসেন আরো টাকা লাগবে। শুক্রবার ( ২৬ জুন) সেলিমের বৌয়ের কানের দুল আর ১ টা ছাগলের বাচ্চা বিক্রি করে ৬ হাজার টাকা দিই। টাকা নেয়ার পরে পুলিশ জানায় কোর্টে চালান দেয়া হবে। মামলা সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেলিমকে ২ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এস আই আজিজুল জানান, তিনি এখন ছুটিতে আছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিজ বাড়িতে। তবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সবার সামনেই তিনি ফেনসিডিলসহ সেলিমকে ধরে এনেছেন।