ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড




বিশ্বব্যাপী ১০ লক্ষাধিক রোগীর করোনা জয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ; 
বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ এ মারণ-ভাইরাসের কবল থেকে সুস্থও হয়ে উঠেছেন।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়।

এরই মধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩২ লাখ ২০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে প্রাণহানি ঘটেছে ২ লাখ ২৮ হাজার ২১৫ জনের।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৩০৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ জন। এদের মধ্যে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮১৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৯ হাজার ৮১১ জনের অবস্থা গুরুতর।

ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৬৬৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৩ জন।

মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৬৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ জন।

মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ২২১ জন।

এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এখানে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২০ জন।

এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫৩৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৪৬৭ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ হাজার ৩৯৯ জন হলেও মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৯৭২ জনের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজার ৫৯৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৯৬ জনের।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৬২ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৬৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ জনের।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ১০৩ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৬৩ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৫০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৭৯০ জন।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে হুট করেই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

তবে ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এ রকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিশ্বব্যাপী ১০ লক্ষাধিক রোগীর করোনা জয়

আপডেট সময় : ১০:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০

সকালের সংবাদ; 
বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ এ মারণ-ভাইরাসের কবল থেকে সুস্থও হয়ে উঠেছেন।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়।

এরই মধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩২ লাখ ২০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে প্রাণহানি ঘটেছে ২ লাখ ২৮ হাজার ২১৫ জনের।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৩০৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ জন। এদের মধ্যে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮১৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৯ হাজার ৮১১ জনের অবস্থা গুরুতর।

ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৬৬৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৩ জন।

মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৬৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ জন।

মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ২২১ জন।

এর পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। এখানে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

মৃত্যুর তালিকায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২০ জন।

এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫৩৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৪৬৭ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ হাজার ৩৯৯ জন হলেও মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৯৭২ জনের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজার ৫৯৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৯৬ জনের।

ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৬২ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৬৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ জনের।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ১০৩ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৬৩ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৫০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৭৯০ জন।

ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে হুট করেই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

তবে ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এ রকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।