ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




রাতের অন্ধকারে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক সাংবাদিক পরিচয়ধারী জীবন 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০ ১১২ বার পড়া হয়েছে

এম হাসান; 

গত ২৭/০৪/২০২০ ইংরেজি আনুমানিক রাত ০২টার সময় রাজধানীর কদমতলী থানাধীন গিরিধারাস্থ মদিনা বিস্কিট ফ্যাক্টরিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলেন জীবন খান (৩৫) ও ইব্রাহীম।

এই জীবন খানের পিতার নাম মাইনুদ্দিন খান।গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার কাউন্না গ্রামে। বর্তমানে বসবাস করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানাড় পাড় সাহেব পাড়া এলাকায়। ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন মাহমুদ পুর গ্রামে। ইব্রাহীমের পিতার নাম রাজা মিয়া।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়,লকডাউনের দোহাই দিয়ে ফ্যাক্টরির কাজ বন্ধ রাখার জন্য উক্ত বিস্কিট ফ্যাক্টরির লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাদেরকে থানায় নিয়ে গিয়ে মামলা করার হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে জীবন খান ও ইব্রাহীম তাদের সাথে থাকা ওয়াকিটকি ব্যবহার করে এবং পিস্তল সদৃশ গ্যাস লাইটার প্রদর্শন করে। তখন ফ্যাক্টরির কর্মচারীগণ ভয় পেয়ে যায়। ফ্যাক্টরির মালিক না থাকার কারণে ফ্যাক্টরির ম্যানেজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক জীবন খান ৯৯৯ নাম্বারে কল দেয়।
কল করার কিছুক্ষণ পরেই কদমতলী থানার ডিউটি অফিসারের নির্দেশে এএসআই মাইনুল একদল ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন।
ঘটনার বিস্তারিত জানার পর তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।থানায় উক্ত বিস্কিট ফ্যাক্টরির মালিক অর্থাৎ মদিনা বিস্কিট ফ্যাক্টরির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান ( ভিকি) এসে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নেন।

বিস্কিট ফ্যাক্টরির মালিকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে যে,তারা অর্থাৎ জীবন খান ও ইব্রাহীম প্রায় সময় এসে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে যেত।এখন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিলেন।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর এর কাছে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তখন তিনি বলেন,রাত ০২ কার সময় ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে উক্ত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী জীবন খান ও ইব্রাহীমকে থানায় নিয়ে আসার জন্য অনুমতি প্রদান করি।থানায় এনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করি।তাদের কথাবার্তা সম্পূর্ণ সন্দিহান। একপর্যায়ে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করলে দুইটি ওয়াকিটকি, একটি পিস্তল সদৃশ গ্যাস লাইটার।৪/৫ টি সাংবাদিকতার আইডি কার্ড,৭/৮ টি মোবাইল ফোন,৫ টি গ্যাস লাইটার। এবং একটি মাউথ স্পিক পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, ফ্যাক্টরির মালিক যদি অভিযোগ দায়ের করেন তা হলে অবশ্যই অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।
অবশেষে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রাতের অন্ধকারে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক সাংবাদিক পরিচয়ধারী জীবন 

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০

এম হাসান; 

গত ২৭/০৪/২০২০ ইংরেজি আনুমানিক রাত ০২টার সময় রাজধানীর কদমতলী থানাধীন গিরিধারাস্থ মদিনা বিস্কিট ফ্যাক্টরিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলেন জীবন খান (৩৫) ও ইব্রাহীম।

এই জীবন খানের পিতার নাম মাইনুদ্দিন খান।গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার কাউন্না গ্রামে। বর্তমানে বসবাস করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানাড় পাড় সাহেব পাড়া এলাকায়। ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন মাহমুদ পুর গ্রামে। ইব্রাহীমের পিতার নাম রাজা মিয়া।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়,লকডাউনের দোহাই দিয়ে ফ্যাক্টরির কাজ বন্ধ রাখার জন্য উক্ত বিস্কিট ফ্যাক্টরির লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাদেরকে থানায় নিয়ে গিয়ে মামলা করার হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে জীবন খান ও ইব্রাহীম তাদের সাথে থাকা ওয়াকিটকি ব্যবহার করে এবং পিস্তল সদৃশ গ্যাস লাইটার প্রদর্শন করে। তখন ফ্যাক্টরির কর্মচারীগণ ভয় পেয়ে যায়। ফ্যাক্টরির মালিক না থাকার কারণে ফ্যাক্টরির ম্যানেজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক জীবন খান ৯৯৯ নাম্বারে কল দেয়।
কল করার কিছুক্ষণ পরেই কদমতলী থানার ডিউটি অফিসারের নির্দেশে এএসআই মাইনুল একদল ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন।
ঘটনার বিস্তারিত জানার পর তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।থানায় উক্ত বিস্কিট ফ্যাক্টরির মালিক অর্থাৎ মদিনা বিস্কিট ফ্যাক্টরির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান ( ভিকি) এসে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নেন।

বিস্কিট ফ্যাক্টরির মালিকের সাথে আলাপকালে জানা গেছে যে,তারা অর্থাৎ জীবন খান ও ইব্রাহীম প্রায় সময় এসে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে যেত।এখন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিলেন।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর এর কাছে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তখন তিনি বলেন,রাত ০২ কার সময় ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে উক্ত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী জীবন খান ও ইব্রাহীমকে থানায় নিয়ে আসার জন্য অনুমতি প্রদান করি।থানায় এনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করি।তাদের কথাবার্তা সম্পূর্ণ সন্দিহান। একপর্যায়ে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করলে দুইটি ওয়াকিটকি, একটি পিস্তল সদৃশ গ্যাস লাইটার।৪/৫ টি সাংবাদিকতার আইডি কার্ড,৭/৮ টি মোবাইল ফোন,৫ টি গ্যাস লাইটার। এবং একটি মাউথ স্পিক পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, ফ্যাক্টরির মালিক যদি অভিযোগ দায়ের করেন তা হলে অবশ্যই অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।
অবশেষে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।