ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




লকডাউনে পাওয়া গেলো না অ্যাম্বুলেন্স, পথেই শিশুর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০ ৮১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 
করোনা ভাইরাসে বিস্তার ঠেকাতে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও লকডাউন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে দেশটির বিহার রাজ্যে ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। লকডাউন থাকায় অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে পথেই মারা গেলেন তিন বছরের এক শিশু।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিহারের এই তিন বছরের শিশুটি। তাকে স্থানীয় শাহোপরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ক্রমেই শিশুটির শারীরিক অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে শিশুটিকে বিহারের জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। লকডাউনে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় টেম্পো ভাড়া করে শিশুটিকে জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

শিশুটির বাবা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশির ফলে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল আমার সন্তান। বারবার চিকিৎসকদের বলা সত্ত্বেও তারা ভ্রুক্ষেপই করছিলেন না। এরপর এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাদের পাটনা হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু আমার সন্তানের শারীরিক পরিস্থিতি দেখেও তারা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেননি। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করবো। এরপর গত শুক্রবার রাতে বিহারের জেহানাবাদে মৃত্যুর পর শিশুটিকে কয়েকজন স্থানীয়ের সহায়তায় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়।

এদিকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিহারের জেহানাবাদ জেলার কর্মকর্তা নাভিন কুমার বলেন, আমরা সরকারি সদর হাসপাতালের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছি এবং কিছু ডাক্তারকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। কেন অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হলো না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি। .

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




লকডাউনে পাওয়া গেলো না অ্যাম্বুলেন্স, পথেই শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:০০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 
করোনা ভাইরাসে বিস্তার ঠেকাতে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও লকডাউন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে দেশটির বিহার রাজ্যে ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। লকডাউন থাকায় অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে পথেই মারা গেলেন তিন বছরের এক শিশু।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিহারের এই তিন বছরের শিশুটি। তাকে স্থানীয় শাহোপরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ক্রমেই শিশুটির শারীরিক অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে শিশুটিকে বিহারের জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। লকডাউনে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় টেম্পো ভাড়া করে শিশুটিকে জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

শিশুটির বাবা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশির ফলে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল আমার সন্তান। বারবার চিকিৎসকদের বলা সত্ত্বেও তারা ভ্রুক্ষেপই করছিলেন না। এরপর এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাদের পাটনা হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু আমার সন্তানের শারীরিক পরিস্থিতি দেখেও তারা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেননি। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করবো। এরপর গত শুক্রবার রাতে বিহারের জেহানাবাদে মৃত্যুর পর শিশুটিকে কয়েকজন স্থানীয়ের সহায়তায় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়।

এদিকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিহারের জেহানাবাদ জেলার কর্মকর্তা নাভিন কুমার বলেন, আমরা সরকারি সদর হাসপাতালের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছি এবং কিছু ডাক্তারকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। কেন অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হলো না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি। .