ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




লকডাউনে পাওয়া গেলো না অ্যাম্বুলেন্স, পথেই শিশুর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০ ১২০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 
করোনা ভাইরাসে বিস্তার ঠেকাতে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও লকডাউন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে দেশটির বিহার রাজ্যে ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। লকডাউন থাকায় অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে পথেই মারা গেলেন তিন বছরের এক শিশু।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিহারের এই তিন বছরের শিশুটি। তাকে স্থানীয় শাহোপরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ক্রমেই শিশুটির শারীরিক অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে শিশুটিকে বিহারের জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। লকডাউনে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় টেম্পো ভাড়া করে শিশুটিকে জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

শিশুটির বাবা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশির ফলে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল আমার সন্তান। বারবার চিকিৎসকদের বলা সত্ত্বেও তারা ভ্রুক্ষেপই করছিলেন না। এরপর এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাদের পাটনা হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু আমার সন্তানের শারীরিক পরিস্থিতি দেখেও তারা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেননি। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করবো। এরপর গত শুক্রবার রাতে বিহারের জেহানাবাদে মৃত্যুর পর শিশুটিকে কয়েকজন স্থানীয়ের সহায়তায় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়।

এদিকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিহারের জেহানাবাদ জেলার কর্মকর্তা নাভিন কুমার বলেন, আমরা সরকারি সদর হাসপাতালের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছি এবং কিছু ডাক্তারকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। কেন অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হলো না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি। .

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




লকডাউনে পাওয়া গেলো না অ্যাম্বুলেন্স, পথেই শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:০০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 
করোনা ভাইরাসে বিস্তার ঠেকাতে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও লকডাউন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে দেশটির বিহার রাজ্যে ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। লকডাউন থাকায় অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে পথেই মারা গেলেন তিন বছরের এক শিশু।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিহারের এই তিন বছরের শিশুটি। তাকে স্থানীয় শাহোপরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ক্রমেই শিশুটির শারীরিক অবনতি হতে থাকে। সেখান থেকে শিশুটিকে বিহারের জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। লকডাউনে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় টেম্পো ভাড়া করে শিশুটিকে জেহানাবাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

শিশুটির বাবা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশির ফলে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিল আমার সন্তান। বারবার চিকিৎসকদের বলা সত্ত্বেও তারা ভ্রুক্ষেপই করছিলেন না। এরপর এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাদের পাটনা হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু আমার সন্তানের শারীরিক পরিস্থিতি দেখেও তারা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেননি। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করবো। এরপর গত শুক্রবার রাতে বিহারের জেহানাবাদে মৃত্যুর পর শিশুটিকে কয়েকজন স্থানীয়ের সহায়তায় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যায়।

এদিকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিহারের জেহানাবাদ জেলার কর্মকর্তা নাভিন কুমার বলেন, আমরা সরকারি সদর হাসপাতালের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছি এবং কিছু ডাক্তারকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। কেন অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হলো না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি। .