করোনা রুগীদের চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের দুই শাখা

- আপডেট সময় : ১২:৫০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সারা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মানুষের মৃত্যুর মিছিল। শুধু লাশ আর লাশ স্তব্ধতা। কান্নার শব্দ। হাহাকার আর আর্তনাদ। মানুষের বাঁচার কোন উপায় বর্তমান বিশ্বে নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞান এখনো কোন ঔষধ আবিষ্কার করতে পারেননি। এ কারণে বিশ্ব এখন প্রচন্ড হতাশ। মানুষের দুশ্চিন্তা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর তাবৎ দেশগুলো আজ কোণঠাসা।
এ অবস্থা থেকে আজ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ কেউ নিরাপদ নন। এরমধ্যে বিশ্বের বহু দেশে লক ডাউন, কারফিউ ও জরুরি অবস্থা চলছে। আন্তর্জাতিক আকাশ পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশে একই অবস্থা বর্তমানে বিদ্যমান। দিনকে দিন করোনায় মৃত্যুর হার বাড়ছে এমনকি করণায় আক্রান্ত সংখ্যাও বাড়ছে। এর জন্য সরকারসহ দেশের সবাই আছেন উদ্বিগ্ন। দেশের অনেক জায়গায় লকডাউন চলমান।
ঠিক এ মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান রাজধানী ঢাকার অন্যতম বেসরকারি চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র রিজেন্ট হাসপাতাল। অনেক প্রতিষ্ঠানে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু সাহস ও মানবিকতা দেখিয়ে সামনে এগিয়ে আসেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ। তিনি প্রতিদিন আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা বিষয়ে স্বশরীরে এসে খোঁজ খবর নেন। তাদেরকে সান্ত্বনা দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতাল ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছেন হাসপাতালটি। হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষ দুটি হটলাইন চালু করেন। হট লাইন গুলো হল ০১৯৫৮৪১৮১১৩, ০১৯৫৮৪১৮১১৬. পাশাপাশি সর্দি-কাশি-জ্বর হাঁচি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে রিজেন্ট হাসপাতালকে ফোন করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এমনকি ফোন পাওয়ার সাথে সাথে রিজেন্ট হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যাবে কলকারীর গন্তব্যস্থানে। আপনার কলের অপেক্ষায় রয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল।
রিজেন্ট গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিক শিবলী জানান, গ্রুপের সত্ত্বাধীকারির পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব তাই করা হবে। সেই হিসেবে উত্তরা ও মিরপুরের দুটি হাসপাতালে করোনা রোগি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই হাসপাতাল দুটিতে ৫০ জন করে মোট ১০০ রোগি একই সঙ্গে রাখা যাবে। এছাড়াও করোনা রোগিদের জন্য দুটি হাসপাতালে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে ৭টি আইসিইউ। আরো কিছু আইসিইউ বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। যদি রোগি বৃদ্ধি পায় তবে হাসপাতালের ছাদেও আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা হবে। যাতে কোনো রোগি আসলে ফেরত যেতে না হয়।ডাক্তার নার্স সহ হাপাতালের সকল স্টাফদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সংগ্রহে আছে।