ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




সিএএ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জাতিসংঘ, দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০ ১২৭ বার পড়া হয়েছে

সিএএ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জাতিসংঘ, দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

আইন (সিএএ) নিয়ে কোনও বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না। এমনটাই জানিয়েছে ভারত। সিএএ’র আইনি বৈধতা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যেসব মামলা চলছে, তাতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। এজন্য নজিরবিহীনভাবে ভারতের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

তবে ভারত বলছে, সিএএ দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়েই হস্তক্ষেপের অধিকার নেই বিদেশি পক্ষের। সিএএ’র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের কারণে এমনিতেই বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলোতে তৃতীয় পক্ষ হওয়ার আবেদন দাখিল করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।

বিষয়টি জানার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি আইন প্রণয়নকারী সংসদের সার্বভৌম অধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়ের সঙ্গে বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশভাগের মতো দুঃখজনক ঘটনা থেকে উদ্ভূত মানবাধিকার বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই আইন। মোদী সরকারের আরও দাবি, এই আইনবলে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টিও সহজ হবে এবং তা ‘সাংবিধানিকভাবে বৈধ।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে সিএএ পাস হয়। এরপর সিএএ’র আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জানুয়ারিতে ১৪৩টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই আবেদনকারীর মধ্যে কংগ্রেস, ডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগসহ বিভিন্ন বাম দল রয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তোলে ওই দলগুলো। তবে মোদি সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সিএএ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জাতিসংঘ, দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় : ০৮:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ মার্চ ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

আইন (সিএএ) নিয়ে কোনও বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না। এমনটাই জানিয়েছে ভারত। সিএএ’র আইনি বৈধতা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যেসব মামলা চলছে, তাতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। এজন্য নজিরবিহীনভাবে ভারতের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

তবে ভারত বলছে, সিএএ দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়েই হস্তক্ষেপের অধিকার নেই বিদেশি পক্ষের। সিএএ’র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের কারণে এমনিতেই বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলোতে তৃতীয় পক্ষ হওয়ার আবেদন দাখিল করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।

বিষয়টি জানার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি আইন প্রণয়নকারী সংসদের সার্বভৌম অধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়ের সঙ্গে বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশভাগের মতো দুঃখজনক ঘটনা থেকে উদ্ভূত মানবাধিকার বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই আইন। মোদী সরকারের আরও দাবি, এই আইনবলে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টিও সহজ হবে এবং তা ‘সাংবিধানিকভাবে বৈধ।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে সিএএ পাস হয়। এরপর সিএএ’র আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জানুয়ারিতে ১৪৩টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই আবেদনকারীর মধ্যে কংগ্রেস, ডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগসহ বিভিন্ন বাম দল রয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তোলে ওই দলগুলো। তবে মোদি সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে।