ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের মাদকব্যবসা ও রঙ্গ লীলা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব  প্রতিবেদকঃ

দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাহিত সভাপতি সাইফুজ্জামান সুমনের অন্যতম সহযোগী ওরফে বডিগার্ড সরকাসরকারী কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি উত্তর পারুলিয়া সেকেন্দ্রা গ্রামের আহাদ আলী গাজীর ছেলে সজীব হোসেন, একই এলাকার মজিদ গাইনের ছেলে ও কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাসুদ রানা ও কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সজীবের বড় ভাই মোস্তফা কামাল সুইট ছিল দেবহাটার মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক।

নানা অপকর্মের হোতা সরকাসরকারী কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি উত্তর পারুলিয়া সেকেন্দ্রা গ্রামের আহাদ আলী গাজীর ছেলে সজীব হোসেন, একই এলাকার মজিদ গাইনের ছেলে ও কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাসুদ রানা ও কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সজীবের বড় ভাই মোস্তফা কামাল সুইট শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, চরমপন্থি কানেকশন, জমি দখল, টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, দালালি, চাঁদা না পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি, ক্যাডার লালণের মতো অপকর্ম নিয়েই তারা ব্যস্ত থাকতো।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, যে, অবৈধ পন্থায় অর্থের বিনিময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হন সাইফুজ্জামান সুমন। এরপর ধীরে ধীরে উপজেলার নওয়াপাড়া, দেবহাটাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকসেবীদের আনেন কমিটিতে। সেই সুত্র ধরে চিহ্নিত মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী সরকাসরকারী কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি সজীব হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাসুদ রানা ও সজীবের বড় ভাই মোস্তফা কামাল সুইট ঐ চক্রের সদস্যরা। কিছুদিন যেতে না যেতেই ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা ফেনসিডিল সহ গ্রেপ্তার হয়।

আর জানায়, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাহিত সভাপতি সাইফুজ্জামান সুমনের অন্যতম সহযোগী অধিকাংশই নন ভোটার। বয়সে কিশোর, তরুণ কিংবা মাত্র যুবক। দৃশ্যমান কোন আয় নেই। তাতে কী। ঘুরে বেড়াচ্ছে দুই/তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকার মোটরসাইকেলে। একক কেউ নয়। এদের রয়েছে আবার বহর। বেপরোয়া, দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে দেবহাটা উপজেলার অলিগলি। গ্রামীণ জনপদে এটি এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।এমন মোটরসাইকেল বহরের দাপানো দৃশ্য নিত্য চোখে পড়ে। নেই এদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বৈধ কাগজপত্র। এদের পরিচয় শনাক্তে গলদঘর্ম হতে হয়। এরা এখন সাধারণ মানুষের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মানুষ। এ চক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে না পারলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী আর সমর্থক।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পিতা সাতক্ষীরা সীমান্তের একজন হুন্ডিব্যাবসায়ী। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন মালামাল করে থাকেন তিনি। সেই সুবাধে সরকারি খাস জমিতে গড়ে তোলা বিশাল শপিং সেন্টারে ভারতীয় অবৈধ মালামাল মজুদ রাখেন তিনি। এছাড়া সভাপতি সুমনের রয়েছে একটি চিংড়ির পোনা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান। সেখানে ভারতীয় পোনা এনে সরবাহ করা হয় নিজেদের নামে। এমনকি ঐ মৎস্য হ্যাচারীতে মাদক সেবন সহ নানা অপকর্ম সংঘটিত হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন সরকারি কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাদক ব্যবসায়ী সজীব সহ ৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ায় এদের অন্যতম সহযোগী ও মদদদাতা দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে দেবহাটা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনের সাথে মোবাইলে কথা হলে জানান, আমি একটি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেই সুবাদে বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পর্ক থাকাটা স্বাভাবিক। মাদক সেবন ও নারীদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তার নয় বলে দাবী করেন। এছাড়া সুমন আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা জেলা প্রশাসনের কোথাও আমার পিতার নামে হুন্ডি ব্যবসায়ীর তালিকা নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের মাদকব্যবসা ও রঙ্গ লীলা!

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব  প্রতিবেদকঃ

দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাহিত সভাপতি সাইফুজ্জামান সুমনের অন্যতম সহযোগী ওরফে বডিগার্ড সরকাসরকারী কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি উত্তর পারুলিয়া সেকেন্দ্রা গ্রামের আহাদ আলী গাজীর ছেলে সজীব হোসেন, একই এলাকার মজিদ গাইনের ছেলে ও কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাসুদ রানা ও কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সজীবের বড় ভাই মোস্তফা কামাল সুইট ছিল দেবহাটার মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক।

নানা অপকর্মের হোতা সরকাসরকারী কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি উত্তর পারুলিয়া সেকেন্দ্রা গ্রামের আহাদ আলী গাজীর ছেলে সজীব হোসেন, একই এলাকার মজিদ গাইনের ছেলে ও কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাসুদ রানা ও কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সজীবের বড় ভাই মোস্তফা কামাল সুইট শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, চরমপন্থি কানেকশন, জমি দখল, টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, দালালি, চাঁদা না পেয়ে প্রাণনাশের হুমকি, ক্যাডার লালণের মতো অপকর্ম নিয়েই তারা ব্যস্ত থাকতো।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, যে, অবৈধ পন্থায় অর্থের বিনিময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হন সাইফুজ্জামান সুমন। এরপর ধীরে ধীরে উপজেলার নওয়াপাড়া, দেবহাটাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকসেবীদের আনেন কমিটিতে। সেই সুত্র ধরে চিহ্নিত মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী সরকাসরকারী কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি সজীব হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাসুদ রানা ও সজীবের বড় ভাই মোস্তফা কামাল সুইট ঐ চক্রের সদস্যরা। কিছুদিন যেতে না যেতেই ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা ফেনসিডিল সহ গ্রেপ্তার হয়।

আর জানায়, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাহিত সভাপতি সাইফুজ্জামান সুমনের অন্যতম সহযোগী অধিকাংশই নন ভোটার। বয়সে কিশোর, তরুণ কিংবা মাত্র যুবক। দৃশ্যমান কোন আয় নেই। তাতে কী। ঘুরে বেড়াচ্ছে দুই/তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকার মোটরসাইকেলে। একক কেউ নয়। এদের রয়েছে আবার বহর। বেপরোয়া, দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে দেবহাটা উপজেলার অলিগলি। গ্রামীণ জনপদে এটি এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।এমন মোটরসাইকেল বহরের দাপানো দৃশ্য নিত্য চোখে পড়ে। নেই এদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বৈধ কাগজপত্র। এদের পরিচয় শনাক্তে গলদঘর্ম হতে হয়। এরা এখন সাধারণ মানুষের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মানুষ। এ চক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে না পারলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী আর সমর্থক।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পিতা সাতক্ষীরা সীমান্তের একজন হুন্ডিব্যাবসায়ী। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন মালামাল করে থাকেন তিনি। সেই সুবাধে সরকারি খাস জমিতে গড়ে তোলা বিশাল শপিং সেন্টারে ভারতীয় অবৈধ মালামাল মজুদ রাখেন তিনি। এছাড়া সভাপতি সুমনের রয়েছে একটি চিংড়ির পোনা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান। সেখানে ভারতীয় পোনা এনে সরবাহ করা হয় নিজেদের নামে। এমনকি ঐ মৎস্য হ্যাচারীতে মাদক সেবন সহ নানা অপকর্ম সংঘটিত হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন সরকারি কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাদক ব্যবসায়ী সজীব সহ ৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ায় এদের অন্যতম সহযোগী ও মদদদাতা দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে দেবহাটা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনের সাথে মোবাইলে কথা হলে জানান, আমি একটি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেই সুবাদে বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পর্ক থাকাটা স্বাভাবিক। মাদক সেবন ও নারীদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তার নয় বলে দাবী করেন। এছাড়া সুমন আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা জেলা প্রশাসনের কোথাও আমার পিতার নামে হুন্ডি ব্যবসায়ীর তালিকা নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এবিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।