বরিশালের কোতোয়ালি থানার এএসআই’র বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ!

- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার এ এস আই আসাদের বিরুদ্ধে নগদ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে আসাদ মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েও ধর্ষকের হাতেই তুলে দিয়েছে এক যুবতীকে।
অভিযোগকারী রিপার মামা আল আমিন জানান, আমার ভাগ্নী আসমা আক্তার রিপা। তাকে ১৬ তারিখ দুপুরে বিএম কলেজ থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় মাইনুল ইসলাম গাজী নামের এক বখাটে। এসময় নগদ ৫০,০০০ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণ সাথে নিয়ে যায় তারা। এরপর আমরা খোজাখুজি করে না পেলে ১৯ তারিখ মোবাইলে বখাটে মাইনুল আমাদের ফোন দিয়ে টাকা চায় নয়ত ভাগ্নীকে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়াও তার কথা না শুনলে আমাদেরও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এরপর ২২ তারিখ আমরা কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করি (১২৩২ নম্বর) । জিডির বলে মেয়েসহ অপহরণকারী মাইনুলকে গ্রেফতার করলেও আমার নিকট হতে নগদ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ও ছেলের পক্ষ থেকে যতদূর জানি প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে রাতেই কোন ধরনের মামলা, মিমাংসা ছাড়াই দুজনকে ছেড়ে দিতে উদ্যক্ত হয় এ এসআই আসাদ। এবং থানার অফিসার ইনচার্জ ও এসিকে কৌশলে দায়সারা বুঝ দিয়ে রাতের আধারেই ছেড়ে দেয় যুগলদের। বারবার তাদের বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা ( মাইনুল পরিবার) কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। শুধু মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়েই ঘুষের টাকা হজম করতে আসাদ তাদের মিমাংসা না করিয়ে ছেড়ে দেয়ায়। কোতোয়ালি মডেল থানার সিসি টিভি ক্যামেরা চেক করলে আমার দেয়া টাকার প্রমাণ মিলবে।আমি তাকে ডিউটিরত অবস্থায় সুস্ঠু সমাধানের জন্য ঘুষ দিয়েছি। এ বিষয়ে বিএমপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি শেষ।
জিডির বাদী ও রিপার মা সালমা বেগম জানান ” আসাদকে টাকা দেয়ার ঘটনা জানি। আসাদ টাকা নিয়েও বেশী টাকার জন্য আমার মেয়েকে ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছে।
ঘুষ গ্রহন সমন্ধে এ এস আই আসাদকে জানতে চাইলে তিনি ব্যাস্তার অযুহাতদেখিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।