ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




উপাচার্যের রোষানলে পড়া সেই নারী সাংবাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী? এ বিষয়ে সবার মতামত জানতে চেয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন ফাতেমা তুজ জিনিয়া। তার এই পোস্টের পরই নানা নেতিবাচক মন্তব্য আসে।

এ ছাড়া ম্যাসেঞ্জারে সালমান নামে এক বন্ধুর সঙ্গে চ্যাটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় উপাচার্যের রোষানলে পড়েন জিনিয়া। এরই প্রেক্ষিতে জিনিয়াকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ফাতেমা তুজ জিনিয়া সে সময় জানিয়েছিলেন, তিনি একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করেন বলেই উপাচার্য তাকে বহিষ্কার করেছেন বলেই দাবি তার।

এদিকে জিনিয়াকে বহিষ্কারের কারণ জানাতে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন।

সে সময় তিনি এই বহিষ্কারকে ‘শাসন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সংসার চালাতে শাসন করব, আবার আদর করব- এটাই তো স্বাভাবিক।

সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা তুজ জিনিয়া সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেন।

নিউজ পোর্টালগুলো কোনো প্রকার সত্যতা যাচাই না করে এবং প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো তথ্য না নিয়েই এসব সংবাদ পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

ফাতেমা তুজ জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ফেসবুক, ই-মেইল আইডি হ্যাক করেছেন বলে অভিযোগ আনেন তিনি।

তিনি দাবি করেন, অন্যায়ভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশালীন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে এবং ভর্তি পরীক্ষা বানচালের অপচেষ্টাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয় এমন নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন জিনিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




উপাচার্যের রোষানলে পড়া সেই নারী সাংবাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী? এ বিষয়ে সবার মতামত জানতে চেয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন ফাতেমা তুজ জিনিয়া। তার এই পোস্টের পরই নানা নেতিবাচক মন্তব্য আসে।

এ ছাড়া ম্যাসেঞ্জারে সালমান নামে এক বন্ধুর সঙ্গে চ্যাটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় উপাচার্যের রোষানলে পড়েন জিনিয়া। এরই প্রেক্ষিতে জিনিয়াকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ফাতেমা তুজ জিনিয়া সে সময় জানিয়েছিলেন, তিনি একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করেন বলেই উপাচার্য তাকে বহিষ্কার করেছেন বলেই দাবি তার।

এদিকে জিনিয়াকে বহিষ্কারের কারণ জানাতে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন।

সে সময় তিনি এই বহিষ্কারকে ‘শাসন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সংসার চালাতে শাসন করব, আবার আদর করব- এটাই তো স্বাভাবিক।

সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা তুজ জিনিয়া সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেন।

নিউজ পোর্টালগুলো কোনো প্রকার সত্যতা যাচাই না করে এবং প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো তথ্য না নিয়েই এসব সংবাদ পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

ফাতেমা তুজ জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ফেসবুক, ই-মেইল আইডি হ্যাক করেছেন বলে অভিযোগ আনেন তিনি।

তিনি দাবি করেন, অন্যায়ভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে অশালীন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে এবং ভর্তি পরীক্ষা বানচালের অপচেষ্টাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হয় এমন নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন জিনিয়া।