নিজের জালে নিজেই ধরা বরিশালের মাদক ব্যাবসায়ী লিখন

- আপডেট সময় : ০৩:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২০ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি;
বরিশাল নগরীর কাশিপুরের ইছাকাঠি কলোনি থেকে অস্র ও মাদকসহ আটক হয়েছিল ২৯ নং ওয়ার্ডের কথিত যুবলীগ নেতা ও মাদক, চোরাই মোটরসাইকেল ব্যাবসায়ী কামরুজ্জামান লিখন। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার আটক হয় লিখনসহ ৬ জন। ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের সোপর্দ করে পুলিশ। সে সময় আদালতের বিচারক বেগম নুসরাত জাহান তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরা হলেন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান লিখন (৩২), সুশান্ত কুমার বিশ্বাস (২৯), পলাশ চন্দ্র সমাদ্দার (২৪), রাজিব হোসেন (৩০), সোহেল ইসলাম (১৯) সোহেল হাওলাদার (৩২) ও শিমুল বেপারী (২১)। সকলেই কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা।
বিমান বন্দর থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি শাহেদুজ্জামান জানিয়েছিলেন , শনিবার রাত ৮ ফেব্রুয়ারি ১১টার দিকে গোপন সংবাদে ইছাকাঠি কলোনির একটি মেসে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালান। এসময় একটি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৮টি রামদা, ৯টি মোবাইল সেট, একটি চোরাই মোটরসাইকেল, ফেন্সিডিলের বোতল ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জমাদিসহ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে জানান সেই সময়ের ওসি শাহেদুজ্জামান।
অথচ, এই লিখনই এখন কৌশলে মাদক বাণিজ্য চালালেও সাথের সহযোগী সোহেলসহ সবার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ করে আসছে। সম্প্রতি তিনি আঞ্চলিক পত্রিকার সংবাদ কর্মীদের বলেন, সোহেল (তার প্রধান সহযোগী) একজন মাদক ব্যাবসায়ী এবং তাদের আমি ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে চিন্হিত করেছি।”
লিখনের বাসা থেকে দুজন সংবাদকর্মী বক্তব্য আনতে গিয়ে ফিরে এসে জানান লিখন বলেছেন, আমি মাদক সেবন করি। তবে, মেয়র মহোদয়ের ভয়ে মাদক ব্যাবসা ছেড়েছি। এখন যদের নাম পত্রিকাতে এসেছে সবাইকে আমিই চিন্হিতকরেছি ও সাবধান করেছি।
উল্লেখ্য, লিখনের মাদক ও অস্র মামলার প্রধান সহযোগী সোহেল সহ ১০ জনের একটি টিম তিনটি ওয়ার্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ করে বলে সংবাদ প্রকাশ হয় আঞ্চলিক পত্রিকাতে।
গডফাদার লিখনের নাম সে খবরে না আসায় লিখনের মামলার অন্যন্য সহযোগীরা ও মাদক বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
লিখনের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ শাখার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয় মাদক কারবার সমন্ধে এবং গোয়েন্দা নজরদারির কথাও বলা হয়েছে।