ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




নিজের জালে নিজেই ধরা বরিশালের মাদক ব্যাবসায়ী লিখন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২০ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি;

বরিশাল নগরীর কাশিপুরের ইছাকাঠি কলোনি থেকে অস্র ও মাদকসহ আটক হয়েছিল ২৯ নং ওয়ার্ডের কথিত যুবলীগ নেতা ও মাদক, চোরাই মোটরসাইকেল ব্যাবসায়ী কামরুজ্জামান লিখন। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার আটক হয় লিখনসহ ৬ জন। ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের সোপর্দ করে পুলিশ। সে সময় আদালতের বিচারক বেগম নুসরাত জাহান তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরা হলেন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান লিখন (৩২), সুশান্ত কুমার বিশ্বাস (২৯), পলাশ চন্দ্র সমাদ্দার (২৪), রাজিব হোসেন (৩০), সোহেল ইসলাম (১৯) সোহেল হাওলাদার (৩২) ও শিমুল বেপারী (২১)। সকলেই কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা।
বিমান বন্দর থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি শাহেদুজ্জামান জানিয়েছিলেন , শনিবার রাত ৮ ফেব্রুয়ারি ১১টার দিকে গোপন সংবাদে ইছাকাঠি কলোনির একটি মেসে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালান। এসময় একটি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৮টি রামদা, ৯টি মোবাইল সেট, একটি চোরাই মোটরসাইকেল, ফেন্সিডিলের বোতল ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জমাদিসহ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে জানান সেই সময়ের ওসি শাহেদুজ্জামান।
অথচ, এই লিখনই এখন কৌশলে মাদক বাণিজ্য চালালেও সাথের সহযোগী সোহেলসহ সবার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ করে আসছে। সম্প্রতি তিনি আঞ্চলিক পত্রিকার সংবাদ কর্মীদের বলেন, সোহেল (তার প্রধান সহযোগী) একজন মাদক ব্যাবসায়ী এবং তাদের আমি ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে চিন্হিত করেছি।”

লিখনের বাসা থেকে দুজন সংবাদকর্মী বক্তব্য আনতে গিয়ে ফিরে এসে জানান লিখন বলেছেন, আমি মাদক সেবন করি। তবে, মেয়র মহোদয়ের ভয়ে মাদক ব্যাবসা ছেড়েছি। এখন যদের নাম পত্রিকাতে এসেছে সবাইকে আমিই চিন্হিতকরেছি ও সাবধান করেছি।
উল্লেখ্য, লিখনের মাদক ও অস্র মামলার প্রধান সহযোগী সোহেল সহ ১০ জনের একটি টিম তিনটি ওয়ার্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ করে বলে সংবাদ প্রকাশ হয় আঞ্চলিক পত্রিকাতে।
গডফাদার লিখনের নাম সে খবরে না আসায় লিখনের মামলার অন্যন্য সহযোগীরা ও মাদক বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

লিখনের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ শাখার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয় মাদক কারবার সমন্ধে এবং গোয়েন্দা নজরদারির কথাও বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নিজের জালে নিজেই ধরা বরিশালের মাদক ব্যাবসায়ী লিখন

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বরিশাল প্রতিনিধি;

বরিশাল নগরীর কাশিপুরের ইছাকাঠি কলোনি থেকে অস্র ও মাদকসহ আটক হয়েছিল ২৯ নং ওয়ার্ডের কথিত যুবলীগ নেতা ও মাদক, চোরাই মোটরসাইকেল ব্যাবসায়ী কামরুজ্জামান লিখন। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার আটক হয় লিখনসহ ৬ জন। ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের সোপর্দ করে পুলিশ। সে সময় আদালতের বিচারক বেগম নুসরাত জাহান তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরা হলেন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান লিখন (৩২), সুশান্ত কুমার বিশ্বাস (২৯), পলাশ চন্দ্র সমাদ্দার (২৪), রাজিব হোসেন (৩০), সোহেল ইসলাম (১৯) সোহেল হাওলাদার (৩২) ও শিমুল বেপারী (২১)। সকলেই কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা।
বিমান বন্দর থানা পুলিশের তৎকালীন ওসি শাহেদুজ্জামান জানিয়েছিলেন , শনিবার রাত ৮ ফেব্রুয়ারি ১১টার দিকে গোপন সংবাদে ইছাকাঠি কলোনির একটি মেসে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালান। এসময় একটি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৮টি রামদা, ৯টি মোবাইল সেট, একটি চোরাই মোটরসাইকেল, ফেন্সিডিলের বোতল ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জমাদিসহ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলে জানান সেই সময়ের ওসি শাহেদুজ্জামান।
অথচ, এই লিখনই এখন কৌশলে মাদক বাণিজ্য চালালেও সাথের সহযোগী সোহেলসহ সবার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ করে আসছে। সম্প্রতি তিনি আঞ্চলিক পত্রিকার সংবাদ কর্মীদের বলেন, সোহেল (তার প্রধান সহযোগী) একজন মাদক ব্যাবসায়ী এবং তাদের আমি ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে চিন্হিত করেছি।”

লিখনের বাসা থেকে দুজন সংবাদকর্মী বক্তব্য আনতে গিয়ে ফিরে এসে জানান লিখন বলেছেন, আমি মাদক সেবন করি। তবে, মেয়র মহোদয়ের ভয়ে মাদক ব্যাবসা ছেড়েছি। এখন যদের নাম পত্রিকাতে এসেছে সবাইকে আমিই চিন্হিতকরেছি ও সাবধান করেছি।
উল্লেখ্য, লিখনের মাদক ও অস্র মামলার প্রধান সহযোগী সোহেল সহ ১০ জনের একটি টিম তিনটি ওয়ার্ডের মাদক নিয়ন্ত্রণ করে বলে সংবাদ প্রকাশ হয় আঞ্চলিক পত্রিকাতে।
গডফাদার লিখনের নাম সে খবরে না আসায় লিখনের মামলার অন্যন্য সহযোগীরা ও মাদক বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

লিখনের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ শাখার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয় মাদক কারবার সমন্ধে এবং গোয়েন্দা নজরদারির কথাও বলা হয়েছে।