ছাত্রলীগ নেতা মেহেদীর চাঁদাবাজি, জুয়া ও নারীবাজি’র নীলাখেলা! পর্ব-১

- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ ক্ষমতা পেলেই যা খুশি তা করা যায় এমন কথায় বিশ্বাসী ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী। ঠিক ঢাকা মহানগর দক্ষিনের ছাত্রলীগের সভাপতি পদটি পেয়েই বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু’র সোনার ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করতে তিনি মাঠে নেমেছেন এমনটাই মনে করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য দলে প্রবেশ করেছে। এদের মত লোকজনের ছাত্রলীগ করার কোন যোগ্যতা নেই। মেহেদী যে অপকর্ম করে যাচ্ছে তাতে সে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করছে।
অভিযোগ রয়েছে, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, জুয়া ও ডিজে পার্টির আসর বসিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী। এছাড়াও করে যাচ্ছে কমিটি বাণিজ্যও। ইতিমধ্যে গুলশান-২ এ একটি ফ্লাট দখল করে দিয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
সূত্র জানায়, রামপুরায় পছন্দের কমিটি দিবে বলে সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মামুন নামে একজনের কাছ থেকে একটি ফ্লাট নিয়েছেন। কামরাঙ্গিরচরে শাহিন চেয়ারম্যানের লোক মুরসালিনকে সভাপতি করার কথা বলে ৫ কাঠা জমি দাবি করেছেন মেহেদী হাসান ওরফে ডিজে সনিক। লালবাগ এলাকার বেরিবাধের পাশে সুমন নামে তার ক্যাডারের মাধ্যমে জুয়া, লোকাল মদের আসর ও কোতওয়ালীতে আরেক ক্যাডার সুমনের মাধ্যমে জুয়া, মদের আসর বসিয়ে প্রতিদিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই মেহেদী।
সূত্রে আরো জানা যায়, ডিজে সনিক ঢাকা শহরের নামকড়া ডিজেদের মধ্যে একজন। মেয়েদের নিয়ে মেতে থাকা এবং মদ্যপান ছিলো তার শৌখিনতা মধ্যে অন্যতম। লম্বা চুল এবং ডিসকো স্টাইল ছিলো তার পছন্দ। ডিজের পাশাপাশি করতেন রাজনীতি! ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত পল্টন থানার সহ সভাপতি হন তারপর মহানগর দক্ষিণে সহ সভাপতি এবং সর্বশেষ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নেতা হওয়ার পর পরই তার কর্মীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা এবং টাকা নিয়ে থাকেন। নগরের পূর্নাঙ্গ কমিটি করতে ঢুকিয়েছেন ছাত্রদলের ঘনিষ্ট ও বয়স উত্তীর্ণদের। ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করায় ক্ষুদ্ধ অনেকেই,কিন্তু তার ক্ষমতার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না অনেকেই।