ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




একজন সংবাদ পাঠিকার বহু বিয়ের বানিজ্য!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

জিহাদ হাসান রেহানঃ 
সন্দরীদের রঙ্গমঞ্চের রঙ রূপ দেখতে এসে অনেক বাদশাহ ই হয়েছেন ফকির, এই তথ্য অনেক পুরাতন। আবার সুন্দর মন নিয়ে ভালোবেসে এদের বিয়ে করে অনেকেই ভিক্ষার ঝুলিও হাতে নিয়েছেন। কারন বিয়ে হল এদের নেশা আর সংবাদ পাঠ করা যদি হয় পেশা তাহলে বিয়ে নামক ফরজ কাজটি অনায়াসেই এনে দিতে পারে ব্যবসায়ীক সফলতা। এমনি একজন বিয়ে ব্যবসায়ী প্রাইভেট টেলিভিশন এর সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্না। একটি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল এ সংবাদ পাঠিকা হিসেবে আছেন সুন্দরী শারমিন স্বপ্না। এলাকাবাসি ও তার এপার্টমেন্ট সোসাইটির তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ধানমণ্ডি এলাকার বাসিন্দা শিপলু রহমান সুমনের সাথে শারমিন স্বপ্নার প্রেম করে বিয়ে হয় ২০০৩ সালে। প্রায় দুই বছর বিভিন্ন তাল-বাহানায় সংসার করবার পরে সুমনের কাছ থেকে তালাক নেয়।

এর পর প্রায় তিন বছর বিভিন্ন জনের সাথে ঘনিস্ট সম্পর্ক শেষে ২০০৮ সালে বিয়ে করেন এটিএন বাংলার নিউজ এডিটর আশরাফুল কবির আসিফ কে। আসিফ স্বপ্নার ঘড়ে রয়েছে একটি পুত্র সন্তান। বর্তমানে তার সন্তানের বয়স ৯ বছর। সন্তান থাকার পরেও আসিফ পারেননি তার সংসার ঠিক রাখতে। পা‍ঁচ বছরের মাথায় আসিফের সাথে সংসার ভেঙে তছনছ করে দেন শারমিন স্বপ্না। ফলে শিশু সন্তান মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়। আবারো নবযৌবনে উস্রিংখল জীবনযাপন শুরু করেন শারমিন স্বপ্না।

এরপরে বিভিন্ন ছলে কৌশলে প্রেমের ফাদে ফেলেন আনোয়ার হোসন নামের এক ব্যবসায়ীকে।আনোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে নিয়ে আছে নানান বিতর্ক। শারমিন স্বপ্না দাবি করেন ২৯ শে মে ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেন এর সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু মামলার নথি-পত্র দেখে যানা যা, আনোয়ার হোসেন এর সাথে শারমিন স্বপ্নার বিয়েই হয় নাই।

শারমিন স্বপ্নার দাবিকৃত তারিখ ২৯শে মে ২০১৫ তে সে আশরাফুল কবির আসিফের স্ত্রী ছিলেন।আরো জানা যায় শারমিন স্বপ্না আশারাফুল কবির আসিফ কে তালাক প্রদান করেন ১৭ জুন ২০১৫ তে। তাহলে প্রশ্ন থকেই যায় জুন মাসের আগেই মে মাসে বিয়ে হয় কি করে?

এ নিয়ে উভয় পক্ষেরি মামলা চালাচালি চলছে।সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্না ছোট ফুফু রিনা বেগম ও ফুফা হেলালউদ্দিন জানায় শারমিন স্বপ্নার পুরো পরিবারি বিয়ে নামক কেলেংকারীতে জড়িত। স্বপ্নার পরিবার অধিকাংশ সদস্যই বিয়ে নামক ব্যবসায় জড়িত এবং বিভিন্ন জনের থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলায় নিলক্ষিয়া গ্রামে। সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্নার বাবার নাম শারাফউদ্দিন ও মায়ের নাম রেহানা শারাফ। ৩ বোন এক ভাই।

ভাই বোনদের মধ্যে শারমিন স্বপ্না দ্বিতীয়। বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু জাফর জানান, জামায়েত জোট সরকারের ক্ষমতা থাকা কালীন শারমিন স্বপ্নার বাবা ছিলেন এদের পৃস্টপোষক এবং ক্ষমতা অপব্যবহার করে নিজ আত্মীয় স্বজনদের জমি জমা অাত্মসাত করে নেয়। উল্লেখ্য এই সুন্দরী সংবাদ পাঠিকা উর্ধতন মহলকে হাতে রেখে নিজেকে টেলিভিশন এর সংবাদ পাঠিকা পরিচয় ব্যবহার করে এখন দাপটের সাথে বুক ফুলিয়ে চলছেন।

সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্না ঢাকার কল্যানপুরে বসবাস করে। শারমিন স্বপ্নার উসৃংখল জীবন ও বেপরোয়া চোলাফেরা আচিরেই বন্ধ হয়া উচিৎ বলে মনে করেন এলাকাবাসী ও এপর্টমেন্ট এর বাসিন্দারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




একজন সংবাদ পাঠিকার বহু বিয়ের বানিজ্য!

আপডেট সময় : ১২:০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

জিহাদ হাসান রেহানঃ 
সন্দরীদের রঙ্গমঞ্চের রঙ রূপ দেখতে এসে অনেক বাদশাহ ই হয়েছেন ফকির, এই তথ্য অনেক পুরাতন। আবার সুন্দর মন নিয়ে ভালোবেসে এদের বিয়ে করে অনেকেই ভিক্ষার ঝুলিও হাতে নিয়েছেন। কারন বিয়ে হল এদের নেশা আর সংবাদ পাঠ করা যদি হয় পেশা তাহলে বিয়ে নামক ফরজ কাজটি অনায়াসেই এনে দিতে পারে ব্যবসায়ীক সফলতা। এমনি একজন বিয়ে ব্যবসায়ী প্রাইভেট টেলিভিশন এর সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্না। একটি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল এ সংবাদ পাঠিকা হিসেবে আছেন সুন্দরী শারমিন স্বপ্না। এলাকাবাসি ও তার এপার্টমেন্ট সোসাইটির তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ধানমণ্ডি এলাকার বাসিন্দা শিপলু রহমান সুমনের সাথে শারমিন স্বপ্নার প্রেম করে বিয়ে হয় ২০০৩ সালে। প্রায় দুই বছর বিভিন্ন তাল-বাহানায় সংসার করবার পরে সুমনের কাছ থেকে তালাক নেয়।

এর পর প্রায় তিন বছর বিভিন্ন জনের সাথে ঘনিস্ট সম্পর্ক শেষে ২০০৮ সালে বিয়ে করেন এটিএন বাংলার নিউজ এডিটর আশরাফুল কবির আসিফ কে। আসিফ স্বপ্নার ঘড়ে রয়েছে একটি পুত্র সন্তান। বর্তমানে তার সন্তানের বয়স ৯ বছর। সন্তান থাকার পরেও আসিফ পারেননি তার সংসার ঠিক রাখতে। পা‍ঁচ বছরের মাথায় আসিফের সাথে সংসার ভেঙে তছনছ করে দেন শারমিন স্বপ্না। ফলে শিশু সন্তান মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়। আবারো নবযৌবনে উস্রিংখল জীবনযাপন শুরু করেন শারমিন স্বপ্না।

এরপরে বিভিন্ন ছলে কৌশলে প্রেমের ফাদে ফেলেন আনোয়ার হোসন নামের এক ব্যবসায়ীকে।আনোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে নিয়ে আছে নানান বিতর্ক। শারমিন স্বপ্না দাবি করেন ২৯ শে মে ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেন এর সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু মামলার নথি-পত্র দেখে যানা যা, আনোয়ার হোসেন এর সাথে শারমিন স্বপ্নার বিয়েই হয় নাই।

শারমিন স্বপ্নার দাবিকৃত তারিখ ২৯শে মে ২০১৫ তে সে আশরাফুল কবির আসিফের স্ত্রী ছিলেন।আরো জানা যায় শারমিন স্বপ্না আশারাফুল কবির আসিফ কে তালাক প্রদান করেন ১৭ জুন ২০১৫ তে। তাহলে প্রশ্ন থকেই যায় জুন মাসের আগেই মে মাসে বিয়ে হয় কি করে?

এ নিয়ে উভয় পক্ষেরি মামলা চালাচালি চলছে।সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্না ছোট ফুফু রিনা বেগম ও ফুফা হেলালউদ্দিন জানায় শারমিন স্বপ্নার পুরো পরিবারি বিয়ে নামক কেলেংকারীতে জড়িত। স্বপ্নার পরিবার অধিকাংশ সদস্যই বিয়ে নামক ব্যবসায় জড়িত এবং বিভিন্ন জনের থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলায় নিলক্ষিয়া গ্রামে। সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্নার বাবার নাম শারাফউদ্দিন ও মায়ের নাম রেহানা শারাফ। ৩ বোন এক ভাই।

ভাই বোনদের মধ্যে শারমিন স্বপ্না দ্বিতীয়। বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু জাফর জানান, জামায়েত জোট সরকারের ক্ষমতা থাকা কালীন শারমিন স্বপ্নার বাবা ছিলেন এদের পৃস্টপোষক এবং ক্ষমতা অপব্যবহার করে নিজ আত্মীয় স্বজনদের জমি জমা অাত্মসাত করে নেয়। উল্লেখ্য এই সুন্দরী সংবাদ পাঠিকা উর্ধতন মহলকে হাতে রেখে নিজেকে টেলিভিশন এর সংবাদ পাঠিকা পরিচয় ব্যবহার করে এখন দাপটের সাথে বুক ফুলিয়ে চলছেন।

সংবাদ পাঠিকা শারমিন স্বপ্না ঢাকার কল্যানপুরে বসবাস করে। শারমিন স্বপ্নার উসৃংখল জীবন ও বেপরোয়া চোলাফেরা আচিরেই বন্ধ হয়া উচিৎ বলে মনে করেন এলাকাবাসী ও এপর্টমেন্ট এর বাসিন্দারা।