ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন




ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা শিশু: ‘সমঝোতার’ প্রস্তাব আওয়ামী লীগ নেতাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ৭৩ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা;
প্রথমে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। কেউ যেন তা জানতে না পারে সে জন্য হত্যার হুমকিও দেয় ধর্ষকরা। এরপর শিশুটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জানাজানি হয়। তবে ঘটনার বিচার না করে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে সমঝোতার পরামর্শ দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

জানা গেছে, ১৩ বছর ৩ মাস বয়সী ওই শিশু ৭ মাস ২২ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সিংরুইল ইউনিয়নে।

সাংবাদিক ও পুলিশসহ বিভিন্ন মহলে জানাজানি হলে এ ঘটনায় মামলা হয় বৃহস্পতিবার।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শিশুটির প্রতিবেশী দুই কিশোর মোবারক (১৪) ও রাকিব (১৫) গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ নিয়ে মুখ খুললে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় তারা ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুটিকে।

তারা জানায়, এরপর সময় গড়াতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন শুরু হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

স্থানীয় সাংবাদিকদের শিশুটির বাবা জানান, নিজের সন্তানের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সাইদুর রহমান, সাবেক সদস্য আবুল কালাম ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে শিশুর আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। কিন্তু এরপর ইউপি সদস্য ও নেতারা বেঁকে বসেন। আইনি সহায়তা না নিতেও তারা পরামর্শ দেন।

শিশুটির পারিবারিক সূত্র জানায়, ধর্ষিত শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণের এ খবর জানাজানি হওয়ার পর শিশুর পরিবারের সঙ্গে আপস মিমাংসার নামে টালবাহানা শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান ও সাবেক সদস্য আবুল কালাম মামলা না করে সমঝোতার উদ্যোগ নেন বলে জানা যায়।

আবুল কালামের কাছে মোবারক ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান জানান, আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। পরে আমরা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।

এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

‘ধর্ষণে অভিযুক্ত মোবারক, তার বাবা চান্দু মিয়া, রাকিবের মা নাসরিন, ফুপু নূরেসাকে আটক করা হয়েছে। আর ধর্ষিত শিশু ও তার পরিবারটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে’।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা শিশু: ‘সমঝোতার’ প্রস্তাব আওয়ামী লীগ নেতাদের

আপডেট সময় : ১১:০২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা;
প্রথমে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। কেউ যেন তা জানতে না পারে সে জন্য হত্যার হুমকিও দেয় ধর্ষকরা। এরপর শিশুটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জানাজানি হয়। তবে ঘটনার বিচার না করে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে সমঝোতার পরামর্শ দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

জানা গেছে, ১৩ বছর ৩ মাস বয়সী ওই শিশু ৭ মাস ২২ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সিংরুইল ইউনিয়নে।

সাংবাদিক ও পুলিশসহ বিভিন্ন মহলে জানাজানি হলে এ ঘটনায় মামলা হয় বৃহস্পতিবার।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শিশুটির প্রতিবেশী দুই কিশোর মোবারক (১৪) ও রাকিব (১৫) গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ নিয়ে মুখ খুললে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় তারা ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুটিকে।

তারা জানায়, এরপর সময় গড়াতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন শুরু হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

স্থানীয় সাংবাদিকদের শিশুটির বাবা জানান, নিজের সন্তানের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সাইদুর রহমান, সাবেক সদস্য আবুল কালাম ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে শিশুর আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। কিন্তু এরপর ইউপি সদস্য ও নেতারা বেঁকে বসেন। আইনি সহায়তা না নিতেও তারা পরামর্শ দেন।

শিশুটির পারিবারিক সূত্র জানায়, ধর্ষিত শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণের এ খবর জানাজানি হওয়ার পর শিশুর পরিবারের সঙ্গে আপস মিমাংসার নামে টালবাহানা শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান ও সাবেক সদস্য আবুল কালাম মামলা না করে সমঝোতার উদ্যোগ নেন বলে জানা যায়।

আবুল কালামের কাছে মোবারক ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান জানান, আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। পরে আমরা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।

এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

‘ধর্ষণে অভিযুক্ত মোবারক, তার বাবা চান্দু মিয়া, রাকিবের মা নাসরিন, ফুপু নূরেসাকে আটক করা হয়েছে। আর ধর্ষিত শিশু ও তার পরিবারটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে’।