ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’!




৩২২ বছরের পুরোনো যশোরের টেরাকোটা মন্দির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
অপূর্ব নির্মাণশৈলী এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যশিল্পের অনন্য নিদর্শন যশোরের সদর উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের শিবমন্দির। ইতিহাসের সাক্ষী শিবমন্দিরটি ৩২২ বছরের পুরোনো। মন্দিরের গায়ে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৬৫৮ থেকে ১৭০৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চাঁচড়ার রাজা ছিলেন মনোহর রায়। ১৬৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনিই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। যশোরের প্রাণকেন্দ্র ভৈরব চত্বর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে চাঁচড়া গ্রাম। সেখানে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে শিবমন্দিরটি নজরে পড়ে। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক সতীশচন্দ্র মিত্রের ‘যশোহর-খুলনার ইতিহাস’ গ্রন্থের (১৯১৪ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত) দ্বিতীয় খণ্ডের ‘চাঁচড়া রাজবংশ’ অধ্যায়ে চাঁচড়ার শিবমন্দিরের উল্লেখ আছে। বর্ণনা অনুযায়ী, ‘মনোহর রায়ের সময় হতে চাঁচড়া রাজবাটীতে মহাসমারোহে দুর্গোৎসবাদির অনুষ্ঠান হয়। তিনি রাজবাটীর পাশে এক প্রকাণ্ড শিবমন্দির নির্মাণ করেন। পাশে “শিবসাগর” নামে দীঘি খনন করেন।’
চাঁচড়ার শিবমন্দিরটি প্রাচীন বাংলার কুঁড়েঘরের আদলে চারচালা রীতিতে নির্মিত একটি ‘আটচালা’ ধরনের মন্দির।

চাঁচড়ার শিবমন্দিরটি প্রাচীন বাংলার কুঁড়েঘরের আদলে চারচালা রীতিতে নির্মিত একটি ‘আটচালা’ ধরনের মন্দির।
‘আটচালা’ মন্দির স্থাপত্য বাংলার মন্দির স্থাপত্যকলার বিশেষ এক ধরনের রীতি, যেখানে বর্গাকার বা আয়তাকার গর্ভগৃহের ‘চৌচালা’ ছাদের ওপরে আরেকটি ছোট ‘চৌচালা’ ছাদ নির্মাণ করা হয়।

শিবমন্দিরটির সামনের দিকে তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশদ্বার রয়েছে। পুরো মন্দিরটি পোড়ামাটির ফলকে চমৎকারভাবে অলংকৃত।

টেরাকোটার ব্যবহারের কারণে পুরো মন্দিরটির বাইরের দিকে দারুণ নান্দনিক দেখায়। মন্দিরটি নির্মাণে চুন, সুরকি ও ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ইটের আকৃতি বর্গাকার।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, খুলনা সূত্র জানায়, কারুকাজ ও নির্মাণশৈলী অবিকৃত রেখে মন্দিরটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কারুকাজ ও নির্মাণশৈলী অবিকৃত রেখে মন্দিরটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে মন্দিরটির নকশার কাজ করা হয়েছে.
২০১৭ সালে মন্দিরের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০০৮ সালে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে মন্দিরটির নকশার কাজ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে মন্দিরের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।


টেরাকোটাগুলো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




৩২২ বছরের পুরোনো যশোরের টেরাকোটা মন্দির

আপডেট সময় : ০৭:১১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
অপূর্ব নির্মাণশৈলী এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যশিল্পের অনন্য নিদর্শন যশোরের সদর উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের শিবমন্দির। ইতিহাসের সাক্ষী শিবমন্দিরটি ৩২২ বছরের পুরোনো। মন্দিরের গায়ে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৬৫৮ থেকে ১৭০৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চাঁচড়ার রাজা ছিলেন মনোহর রায়। ১৬৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনিই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। যশোরের প্রাণকেন্দ্র ভৈরব চত্বর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে চাঁচড়া গ্রাম। সেখানে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে শিবমন্দিরটি নজরে পড়ে। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক সতীশচন্দ্র মিত্রের ‘যশোহর-খুলনার ইতিহাস’ গ্রন্থের (১৯১৪ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত) দ্বিতীয় খণ্ডের ‘চাঁচড়া রাজবংশ’ অধ্যায়ে চাঁচড়ার শিবমন্দিরের উল্লেখ আছে। বর্ণনা অনুযায়ী, ‘মনোহর রায়ের সময় হতে চাঁচড়া রাজবাটীতে মহাসমারোহে দুর্গোৎসবাদির অনুষ্ঠান হয়। তিনি রাজবাটীর পাশে এক প্রকাণ্ড শিবমন্দির নির্মাণ করেন। পাশে “শিবসাগর” নামে দীঘি খনন করেন।’
চাঁচড়ার শিবমন্দিরটি প্রাচীন বাংলার কুঁড়েঘরের আদলে চারচালা রীতিতে নির্মিত একটি ‘আটচালা’ ধরনের মন্দির।

চাঁচড়ার শিবমন্দিরটি প্রাচীন বাংলার কুঁড়েঘরের আদলে চারচালা রীতিতে নির্মিত একটি ‘আটচালা’ ধরনের মন্দির।
‘আটচালা’ মন্দির স্থাপত্য বাংলার মন্দির স্থাপত্যকলার বিশেষ এক ধরনের রীতি, যেখানে বর্গাকার বা আয়তাকার গর্ভগৃহের ‘চৌচালা’ ছাদের ওপরে আরেকটি ছোট ‘চৌচালা’ ছাদ নির্মাণ করা হয়।

শিবমন্দিরটির সামনের দিকে তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশদ্বার রয়েছে। পুরো মন্দিরটি পোড়ামাটির ফলকে চমৎকারভাবে অলংকৃত।

টেরাকোটার ব্যবহারের কারণে পুরো মন্দিরটির বাইরের দিকে দারুণ নান্দনিক দেখায়। মন্দিরটি নির্মাণে চুন, সুরকি ও ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ইটের আকৃতি বর্গাকার।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, খুলনা সূত্র জানায়, কারুকাজ ও নির্মাণশৈলী অবিকৃত রেখে মন্দিরটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কারুকাজ ও নির্মাণশৈলী অবিকৃত রেখে মন্দিরটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে মন্দিরটির নকশার কাজ করা হয়েছে.
২০১৭ সালে মন্দিরের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০০৮ সালে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে মন্দিরটির নকশার কাজ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে মন্দিরের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।


টেরাকোটাগুলো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।