ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন




ঠাকুরগাঁওয়ের ১৩ নদী সিন্ডিকেটের কবলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি;
ঠাকুরগাঁওয়ে ছোট-বড় ১৩টি নদীর জায়গা দখল করেছে একটি সিন্ডিকেট। এ জায়গাগুলোতে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। কেউবা নদীতে পানি না থাকায় ধানের চাষাবাদ করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ নদীগুলো খনন না হওয়ায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে উদ্ধার হচ্ছে না নদীর জায়গা। হারাতে বসেছে নদীর জৌলুস। জেলা শহরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে টাংগন নদী। একসময় এ নদীতে ছিল খরস্রোত। দেশি মাছ পাওয়া যেত এ নদীতে। শত শত জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু এখন হারিয়ে গেছে নদীর গতি। নেই আর আগের সেই জৌলুস। খনন না হওয়ায় নদীটি এখন বালুচর আর গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। একটি সিন্ডিকেট নদীর পাড় ও জেগে ওঠা চর দখল করে তৈরি করছে স্থাপনা। কেউবা আবার দখল ধরে রাখতে বসিয়েছে ভূমিহীন পরিবারদের। এরপর গ্রাহক পেলে বিক্রি করে দেয় ওই জমি। এভাবেই ওই সিন্ডিকেট জেলার ১৩টি নদী বিভিন্নভাবে দখল করে গ্রাস করছে। আবার কেউ নদীতে জেগে ওঠা চরে চাষ করছে ধান। শ্যালো মেশিন বসিয়ে দখল করা এসব নদীর জায়গায় ফসলের আবাদ করছে। প্রশাসন প্রভাবশালী এ চক্রের বিরুদ্ধে আজও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তাই উদ্ধার হয়নি এসব দখল হওয়া জায়গা।

এ ছাড়া ওই চক্র নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারা জানান, হাজার হাজার মানুষ এ নদী থেকে মাছ ধরে সংসার চালিয়েছে। মাটি কেটে নদী ভরাট করায় এখন আর মাছ-নদী কিছুই নেই। তারা আরও জানান, ড্রেজিং করলে নদী তার নাব্যতা ফিরে পাবে। কৃষকদের সেচে সুবিধা হবে। পরিবেশে ফিরে আসবে আগের রূপ। অবিলম্বে ভরাট নদীগুলো খননের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। ঠাকুরগাঁও সুজনের সভাপতি মনতোষ কুমার দে বলেন, নদী দখল করে কেউ যেন আবাদ কিংবা স্থাপনা তৈরি করতে না পারে সে বিষয়টি প্রশাসনের দেখা দরকার।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড পীরগঞ্জ উপজেলার লাচ্চি নদী খননের কাজ শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে জেলার আরও তিনটি নদী খনন করা হবে। ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাউল ইসলাম বলেন, নদী দখল রোধে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর খননের মাধ্যমে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি করা হবে। এতে এ এলাকায় সেচকাজে নদীর পানি ব্যবহারের পাশাপাশি মাছ চাষও হবে বলে জানান তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলায় টাংগন, শুক, সেনুয়া, নাগর, পাথরাজ, ঢেপা, কুলিক, আমন দাম, ভুল্লী, লোনা ও তীরনইসহ ছোট-বড় ১৩টি নদী রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঠাকুরগাঁওয়ের ১৩ নদী সিন্ডিকেটের কবলে

আপডেট সময় : ০৫:০১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি;
ঠাকুরগাঁওয়ে ছোট-বড় ১৩টি নদীর জায়গা দখল করেছে একটি সিন্ডিকেট। এ জায়গাগুলোতে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। কেউবা নদীতে পানি না থাকায় ধানের চাষাবাদ করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ নদীগুলো খনন না হওয়ায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে উদ্ধার হচ্ছে না নদীর জায়গা। হারাতে বসেছে নদীর জৌলুস। জেলা শহরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে টাংগন নদী। একসময় এ নদীতে ছিল খরস্রোত। দেশি মাছ পাওয়া যেত এ নদীতে। শত শত জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু এখন হারিয়ে গেছে নদীর গতি। নেই আর আগের সেই জৌলুস। খনন না হওয়ায় নদীটি এখন বালুচর আর গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। একটি সিন্ডিকেট নদীর পাড় ও জেগে ওঠা চর দখল করে তৈরি করছে স্থাপনা। কেউবা আবার দখল ধরে রাখতে বসিয়েছে ভূমিহীন পরিবারদের। এরপর গ্রাহক পেলে বিক্রি করে দেয় ওই জমি। এভাবেই ওই সিন্ডিকেট জেলার ১৩টি নদী বিভিন্নভাবে দখল করে গ্রাস করছে। আবার কেউ নদীতে জেগে ওঠা চরে চাষ করছে ধান। শ্যালো মেশিন বসিয়ে দখল করা এসব নদীর জায়গায় ফসলের আবাদ করছে। প্রশাসন প্রভাবশালী এ চক্রের বিরুদ্ধে আজও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তাই উদ্ধার হয়নি এসব দখল হওয়া জায়গা।

এ ছাড়া ওই চক্র নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারা জানান, হাজার হাজার মানুষ এ নদী থেকে মাছ ধরে সংসার চালিয়েছে। মাটি কেটে নদী ভরাট করায় এখন আর মাছ-নদী কিছুই নেই। তারা আরও জানান, ড্রেজিং করলে নদী তার নাব্যতা ফিরে পাবে। কৃষকদের সেচে সুবিধা হবে। পরিবেশে ফিরে আসবে আগের রূপ। অবিলম্বে ভরাট নদীগুলো খননের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। ঠাকুরগাঁও সুজনের সভাপতি মনতোষ কুমার দে বলেন, নদী দখল করে কেউ যেন আবাদ কিংবা স্থাপনা তৈরি করতে না পারে সে বিষয়টি প্রশাসনের দেখা দরকার।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড পীরগঞ্জ উপজেলার লাচ্চি নদী খননের কাজ শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে জেলার আরও তিনটি নদী খনন করা হবে। ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাউল ইসলাম বলেন, নদী দখল রোধে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর খননের মাধ্যমে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি করা হবে। এতে এ এলাকায় সেচকাজে নদীর পানি ব্যবহারের পাশাপাশি মাছ চাষও হবে বলে জানান তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলায় টাংগন, শুক, সেনুয়া, নাগর, পাথরাজ, ঢেপা, কুলিক, আমন দাম, ভুল্লী, লোনা ও তীরনইসহ ছোট-বড় ১৩টি নদী রয়েছে।