ঢাকা ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo টাটা মটরস বাংলাদেশে উদ্বোধন করলো টাটা যোদ্ধা Logo আশা শিক্ষা কর্মসূচী কর্তৃক অভিভাবক মতবিনিময় সভা Logo গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর গাড়ি চাপায় পিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী -উত্তাল গণপূর্ত Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ




তিন দাবি নিয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২০৫ বার পড়া হয়েছে

উপাচার্য দপ্তরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এই দাবিগুলো উল্লেখ করেন।

তিনটি দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অছাত্র, বহিরাগত, সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রক্টরের অপসারণ।

কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এ ব্যাপারে বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রক্টরিয়াল বডি অছাত্র, সন্ত্রাসীদের উপাচার্য দপ্তর থেকে বের করেনি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়নি। আমরা মনে করি, প্রক্টরিয়াল বডি সচেতনভাবে এ হামলার সাথে জড়িত। আমাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে না নিলে মনে করব প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাই এ হামলার সাথে জড়িত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ আছে। গতকালকের ঘটনায় আমি উল্টো অনিরাপদ আছি বলে মনে করি। এছাড়া তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’

এর আগে গতকাল বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হয়। তখন শিক্ষকদের সাথে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের বাকবিতন্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে দুই ঘন্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০ টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




তিন দাবি নিয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

উপাচার্য দপ্তরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এই দাবিগুলো উল্লেখ করেন।

তিনটি দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অছাত্র, বহিরাগত, সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রক্টরের অপসারণ।

কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান এ ব্যাপারে বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রক্টরিয়াল বডি অছাত্র, সন্ত্রাসীদের উপাচার্য দপ্তর থেকে বের করেনি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়নি। আমরা মনে করি, প্রক্টরিয়াল বডি সচেতনভাবে এ হামলার সাথে জড়িত। আমাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে না নিলে মনে করব প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাই এ হামলার সাথে জড়িত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ আছে। গতকালকের ঘটনায় আমি উল্টো অনিরাপদ আছি বলে মনে করি। এছাড়া তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’

এর আগে গতকাল বিকাল চারটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সে সময় উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার আওয়াজ শুনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে জড়ো হয়। তখন শিক্ষকদের সাথে কয়েক দফায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের বাকবিতন্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে দুই ঘন্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। তবে শিক্ষকরা রাত ১০ টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।