ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ Logo সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুরের সীমাহীন সম্পদ ও অনিয়ম -পর্ব-০১ Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী




বিআরটিসি’র অনিয়ম-দুর্নীতির খলনায়ক জিএম আমজাদ হোসেন বেপরোয়া

বিশেষ প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে

• সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার প্রভাব দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার

• বিআরটিসি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত

• মাসিক ঘুষ বানিজ্য ৩০-৩৫ লাখ টাকা

• ডিপো ইনচার্জ থেকে মাসোহারা ( ঘুষ ) বানিজ্য

• ডিপোর মাসিক বরাদ্দের ছাড়পত্র প্রদানে ঘুষ বানিজ্য

• নিয়োগ বানিজ্য • বদলী বানিজ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের ( বিআরটিসি ) মহাব্যাবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং বিআরটিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার অভিযোগ এনেছেন কামরুজ্জামান নামের এক কর্মকর্তা।

দুদকে করা আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন যে, পরিবহন জগতের বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য একমাত্র সেবা মূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিআরটিসি । নিরাপদ ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিআরটিসির রূপকল্প । স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিআরটিসি’র অভিলক্ষ্য যাত্রী পরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি করা ও পরিবহন খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা । সেই স্বপ্ন নিয়েই বিআরটিসি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৬০ বছর পর ২০২১ সাল থেকে বর্তমানে বিআরটিসি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়ে ‘আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে ঠিক এই সময়ে মহাব্যবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেন নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য
ম্যানেজার ( অপারেশন ) নূর ই আলম, আফতাব, ইলিয়াস শেখ, উজ্জল, রাসেদসহ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিআরটিসির বাহিরের আবুল হাসান ( মাহমুদুল হাসান ) নামের এক দালালের সমন্বয়ে একটা সিন্ডিকেট গঠন করে। মো: আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিআরটিসির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্হ করে বিআরটিসিকে ধ্বংস করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় । শুধু তাই নয় বিআরটিসি’কে ধ্বংস করতে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করে অর্থের বিনিময়ে কিছু সংখ্যক ভূঁইফোড় সাংবাদিক দিয়ে বিএনপি ঘরানার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ।

দুদকে করা আবেদনপত্রে অভিযোগকারী বলেন, মহাব্যবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেন কে প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের মাসোহারা ( ঘুষ ) দিতে হয় । মাসোহারা না দিলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষদের নিকট ডিপো ইনচার্জদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা দেন । শুধু তাই নয় প্রতিমাসে ডিপো চালাতে বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থের ছাড়পত্র পেতে আমজাদ হোসেনকে ডিপোর হিসাব ইনচার্জ / ক্যাশিয়ারদের নির্দিষ্ট অংকের মাসোহারা দিতে হয় ।মাসেহারা না দিলে বরাদ্দকৃত অর্থ কর্তন করে বিলম্বে ছাড়পত্র প্রদান করেন । কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এরিয়া বিল ( সম্পূরক ) পাশ করতে হলেও আমজাদ হোসেনকে ঘুষ দিতে হয় । এমন কি করোনাকালিন সময়েও ডিপো ইনচার্জ, হিসাব ইনচার্জ, ক্যাশিয়ারদের কাছ থেকে মাসোহারা নিতে ভুলে যাননি। মাসোহারা নিতেন বিকাশের মাধ্যমে ।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয় যে, বিআরটিসির নিয়োগ ও প্রশ্নপত্র তৈরী কমিটির সদস্য থাকার কারনে তিনি নিয়োগ বানিজ্যেও ছিলেন খুবই পারদর্শী ।

নিজের গাড়ীর চালক তাজুলের মাধ্যমে নিয়োগপ্রার্থীদের নিকট থেকে ঘুষের টাকা লেনদেন করাতেন । প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিজ প্রাথীদের লিখিত পরিক্ষায় পাশ করিয়ে মৌখিক পরিক্ষায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষদের দৃষ্টি এডিয়ে নিয়োগ দিতেন । আবার নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ঘুষ গ্রহন করে, নিয়োগ দিতে না পারলে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে । কাউন্টারম্যান পদে রায়হান নামের একজনকে চাকরি দেওয়ার পরে নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তপক্ষদের নজরে এলে আমজাদ হোসেনকে নিয়োগ ও প্রশ্নপত্র তৈরি কমিটির থেকে অপসারণ করা হয়। এরপরও তিনি নিয়োগ বানিজ্যে থেকে থাকেনি।

অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করেন যে, বদলী বানিজ্যেও পটু তিনি । হিসাব বিভাগের অধীনে কর্মরত বিভিন্ন ডিপোর হিসাব ইনচার্জ / ক্যাশিয়ারদের ঘুষের বিনিময়ে পছন্দনুযায়ী ডিপোতে বদলী করতেন মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষদের বুঝিয়ে।

বাংলাদেশ আনসার বাহিনী থেকে প্রায় সাড়ে চার বছর যাবৎ বিআরটিসিতে আসা আমজাদ হোসেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটিপতি বনে গেছেন। নামে বেনামে ফ্ল্যাট- বাড়ী ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন । তিনি প্রতিমাসে বিআরটিসি থেকে ৩০-৩৫ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তিনি রাজারবাগ এলাকায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন এবং তিনি সেখানেই বসবাস করছেন।

আমজাদ হোসেনের বিভিন্ন অপকর্ম, দুনীর্তি ও ঘুষ বানিজ্য নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগপত্র বিআরটিসির উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষদের নিকট জমা পড়লেও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী মাসোহারা ( ঘুষ ) দিতে না চাইলে বা কোন প্রকার প্রতিবাদ করলে মহাব্যবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেন বিএনপি ঘরোনার হলেও নিজ বাডী নোয়াখালী জেলা হওয়ার সুবাদে তিনি সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ঘনিষ্ঠতার প্রভাব খাটিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরীচ্যুত করার ভয় দেখান যার কারনে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বা কোন প্রকার অভিযোগ করতে সাহস পায় না ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের ( বিআরটিসি ) বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্তমান বিআরটিসি’র সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এবং বিআরটিসি’কে ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষার করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্রকারী দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর মহাব্যবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেনকে বিআরটিসি থেকে অপসারন করার জন্য সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।

Loading

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিআরটিসি’র অনিয়ম-দুর্নীতির খলনায়ক জিএম আমজাদ হোসেন বেপরোয়া

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

• সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার প্রভাব দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার

• বিআরটিসি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত

• মাসিক ঘুষ বানিজ্য ৩০-৩৫ লাখ টাকা

• ডিপো ইনচার্জ থেকে মাসোহারা ( ঘুষ ) বানিজ্য

• ডিপোর মাসিক বরাদ্দের ছাড়পত্র প্রদানে ঘুষ বানিজ্য

• নিয়োগ বানিজ্য • বদলী বানিজ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের ( বিআরটিসি ) মহাব্যাবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং বিআরটিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার অভিযোগ এনেছেন কামরুজ্জামান নামের এক কর্মকর্তা।

দুদকে করা আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন যে, পরিবহন জগতের বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য একমাত্র সেবা মূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিআরটিসি । নিরাপদ ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিআরটিসির রূপকল্প । স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিআরটিসি’র অভিলক্ষ্য যাত্রী পরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি করা ও পরিবহন খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা । সেই স্বপ্ন নিয়েই বিআরটিসি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৬০ বছর পর ২০২১ সাল থেকে বর্তমানে বিআরটিসি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়ে ‘আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে ঠিক এই সময়ে মহাব্যবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেন নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য
ম্যানেজার ( অপারেশন ) নূর ই আলম, আফতাব, ইলিয়াস শেখ, উজ্জল, রাসেদসহ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিআরটিসির বাহিরের আবুল হাসান ( মাহমুদুল হাসান ) নামের এক দালালের সমন্বয়ে একটা সিন্ডিকেট গঠন করে। মো: আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিআরটিসির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্হ করে বিআরটিসিকে ধ্বংস করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় । শুধু তাই নয় বিআরটিসি’কে ধ্বংস করতে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করে অর্থের বিনিময়ে কিছু সংখ্যক ভূঁইফোড় সাংবাদিক দিয়ে বিএনপি ঘরানার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ।

দুদকে করা আবেদনপত্রে অভিযোগকারী বলেন, মহাব্যবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেন কে প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের মাসোহারা ( ঘুষ ) দিতে হয় । মাসোহারা না দিলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষদের নিকট ডিপো ইনচার্জদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা দেন । শুধু তাই নয় প্রতিমাসে ডিপো চালাতে বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থের ছাড়পত্র পেতে আমজাদ হোসেনকে ডিপোর হিসাব ইনচার্জ / ক্যাশিয়ারদের নির্দিষ্ট অংকের মাসোহারা দিতে হয় ।মাসেহারা না দিলে বরাদ্দকৃত অর্থ কর্তন করে বিলম্বে ছাড়পত্র প্রদান করেন । কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এরিয়া বিল ( সম্পূরক ) পাশ করতে হলেও আমজাদ হোসেনকে ঘুষ দিতে হয় । এমন কি করোনাকালিন সময়েও ডিপো ইনচার্জ, হিসাব ইনচার্জ, ক্যাশিয়ারদের কাছ থেকে মাসোহারা নিতে ভুলে যাননি। মাসোহারা নিতেন বিকাশের মাধ্যমে ।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয় যে, বিআরটিসির নিয়োগ ও প্রশ্নপত্র তৈরী কমিটির সদস্য থাকার কারনে তিনি নিয়োগ বানিজ্যেও ছিলেন খুবই পারদর্শী ।

নিজের গাড়ীর চালক তাজুলের মাধ্যমে নিয়োগপ্রার্থীদের নিকট থেকে ঘুষের টাকা লেনদেন করাতেন । প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিজ প্রাথীদের লিখিত পরিক্ষায় পাশ করিয়ে মৌখিক পরিক্ষায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষদের দৃষ্টি এডিয়ে নিয়োগ দিতেন । আবার নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ঘুষ গ্রহন করে, নিয়োগ দিতে না পারলে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে । কাউন্টারম্যান পদে রায়হান নামের একজনকে চাকরি দেওয়ার পরে নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তপক্ষদের নজরে এলে আমজাদ হোসেনকে নিয়োগ ও প্রশ্নপত্র তৈরি কমিটির থেকে অপসারণ করা হয়। এরপরও তিনি নিয়োগ বানিজ্যে থেকে থাকেনি।

অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করেন যে, বদলী বানিজ্যেও পটু তিনি । হিসাব বিভাগের অধীনে কর্মরত বিভিন্ন ডিপোর হিসাব ইনচার্জ / ক্যাশিয়ারদের ঘুষের বিনিময়ে পছন্দনুযায়ী ডিপোতে বদলী করতেন মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষদের বুঝিয়ে।

বাংলাদেশ আনসার বাহিনী থেকে প্রায় সাড়ে চার বছর যাবৎ বিআরটিসিতে আসা আমজাদ হোসেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটিপতি বনে গেছেন। নামে বেনামে ফ্ল্যাট- বাড়ী ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন । তিনি প্রতিমাসে বিআরটিসি থেকে ৩০-৩৫ লাখ টাকা ঘুষ বানিজ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তিনি রাজারবাগ এলাকায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন এবং তিনি সেখানেই বসবাস করছেন।

আমজাদ হোসেনের বিভিন্ন অপকর্ম, দুনীর্তি ও ঘুষ বানিজ্য নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগপত্র বিআরটিসির উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষদের নিকট জমা পড়লেও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী মাসোহারা ( ঘুষ ) দিতে না চাইলে বা কোন প্রকার প্রতিবাদ করলে মহাব্যবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেন বিএনপি ঘরোনার হলেও নিজ বাডী নোয়াখালী জেলা হওয়ার সুবাদে তিনি সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ঘনিষ্ঠতার প্রভাব খাটিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরীচ্যুত করার ভয় দেখান যার কারনে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বা কোন প্রকার অভিযোগ করতে সাহস পায় না ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের ( বিআরটিসি ) বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্তমান বিআরটিসি’র সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এবং বিআরটিসি’কে ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষার করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্রকারী দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর মহাব্যবস্থাপক ( হিসাব ) মো: আমজাদ হোসেনকে বিআরটিসি থেকে অপসারন করার জন্য সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।

Loading