ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ




ভারতে ধর্মপ্রচারের দায়ে ১৭ বাংলাদেশি আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: টুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসে আসামে ধর্মপ্রচাররের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ১৭ বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।

রবিবার আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ভাস্করজ্যোতি মহন্ত বলেছেন, অনেক সময় বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসে ধর্মের প্রচার করেন প্রচারকরা। অনেকে আবার মৌলবাদেরও প্রচার করেন। এ ধরনের অনেক প্রচারকের আসামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার আসামের বিশ্বনাথ জেলা থেকে বাঘমারি এলাকা থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ভিসার শর্ত ভাঙার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে আটজন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। বাকিরা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন।

বাংলাদেশে থেকে এসে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর ওই ১৭ জন কোচবিহার থেকে বাসে চেপে বিশ্বনাথ জেলায় পৌঁছান। গত শুক্রবার বাঘমারি এলাকায় একটি ধর্মীয় সভার আয়োজন করেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে সক্রিয় হয় পুলিশ। তদন্তে নেমে জানতে পারে, টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এলেও ওই ১৭ জন বাঘমারিতে বেড়ানোর জন্য আসেননি।

ডিজিপি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি একবারও বলছি না যে গ্রেফতারকৃতরা মৌলবাদের প্রচার করছিলেন। কিন্তু তারা ধর্মীয় প্রচার করছিলেন, যা টুরিস্ট ভিসার শর্তের বিরোধী। এই মুহূর্তে তাদের ভিসার শর্ত ভাঙার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য কোনও কারণে নয়।’

তিনি জানান, এই বিষয়ে তদন্ত এখনও চলছে।

ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি আরও বলেন, ‘নিম্ন আসাম এবং বরাক উপত্যকায় একটা প্রবণতা দেখা যায় যে, বাংলাদেশ থেকে সেখানে মৌলবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর ওই মৌলবীরা টুরিস্ট ভিসায় এ দেশে এসে ধর্ম প্রচার করেন। কেউ কেউ মৌলবাদের প্রচার করেন।’

তবে এই ১৭ জনের ক্ষেত্রে এখনই মৌলবাদ প্রচারের অভিযোগ আনা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভারতে ধর্মপ্রচারের দায়ে ১৭ বাংলাদেশি আটক

আপডেট সময় : ০১:২১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

অনলাইন ডেস্ক: টুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসে আসামে ধর্মপ্রচাররের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ১৭ বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।

রবিবার আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ভাস্করজ্যোতি মহন্ত বলেছেন, অনেক সময় বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসে ধর্মের প্রচার করেন প্রচারকরা। অনেকে আবার মৌলবাদেরও প্রচার করেন। এ ধরনের অনেক প্রচারকের আসামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার আসামের বিশ্বনাথ জেলা থেকে বাঘমারি এলাকা থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ভিসার শর্ত ভাঙার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে আটজন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। বাকিরা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন।

বাংলাদেশে থেকে এসে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর ওই ১৭ জন কোচবিহার থেকে বাসে চেপে বিশ্বনাথ জেলায় পৌঁছান। গত শুক্রবার বাঘমারি এলাকায় একটি ধর্মীয় সভার আয়োজন করেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে সক্রিয় হয় পুলিশ। তদন্তে নেমে জানতে পারে, টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এলেও ওই ১৭ জন বাঘমারিতে বেড়ানোর জন্য আসেননি।

ডিজিপি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি একবারও বলছি না যে গ্রেফতারকৃতরা মৌলবাদের প্রচার করছিলেন। কিন্তু তারা ধর্মীয় প্রচার করছিলেন, যা টুরিস্ট ভিসার শর্তের বিরোধী। এই মুহূর্তে তাদের ভিসার শর্ত ভাঙার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য কোনও কারণে নয়।’

তিনি জানান, এই বিষয়ে তদন্ত এখনও চলছে।

ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি আরও বলেন, ‘নিম্ন আসাম এবং বরাক উপত্যকায় একটা প্রবণতা দেখা যায় যে, বাংলাদেশ থেকে সেখানে মৌলবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর ওই মৌলবীরা টুরিস্ট ভিসায় এ দেশে এসে ধর্ম প্রচার করেন। কেউ কেউ মৌলবাদের প্রচার করেন।’

তবে এই ১৭ জনের ক্ষেত্রে এখনই মৌলবাদ প্রচারের অভিযোগ আনা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।