ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo তামাক সেবনের আলাদা কক্ষ বানালেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী: রয়েছে দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ! Logo দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি: কালবে সর্বোচ্চ পদ দখলে রেখেছে আগস্টিন! Logo আইআইএফসি ও মার্কটেল বাংলাদেশ’র মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর পরিদর্শনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী Logo সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারে শাবি শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও কালোব্যাজ ধারণ Logo শাবিপ্রবিতে কুমিল্লা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত Logo শাবিপ্রবি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভর্তির তিন ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন Logo শাবির গণিত সমিতির ভিপি রাহুল ও সম্পাদক রিজভী Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ




‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ পরামর্শ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি ‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে বিশ্ব নেতাদের সামনে পাঁচটি সুপারিশ পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় দুপুরে জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিটে (ভার্চ্যুয়াল) এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ১০ বিলিয়ন হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য আরও খাদ্য উৎপাদন করা অপরিহার্য।

‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী কৃষি উন্নয়নের জন্য গবেষণা, বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন।

টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বর্ধিত তহবিলের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

টেকসই নিরাপত্তা অর্জনে প্রযুক্তি শেয়ারিংসহ জলবায়ুজনিত চরম ইভেন্টগুলোর সঙ্গে অভিযোজনের জন্য প্রতিশ্রুত তহবিল ছাড়েরও পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি পরবর্তী পুরুদ্ধার এবং স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এই অনুষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্য ও পর্যাপ্ত পুষ্টিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে আমাদের জাতীয় নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনায় খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরকে একটি অন্তর্ভুক্ত হাতিয়ার হিসেবে সমন্বিত করেছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গেছে। আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছি এবং আমরা দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘনঘন চরম আবহাওয়া-জনিত দুর্যোগ এই গতিবেগকে প্রভাবিত করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বৈশ্বিক নেতা হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করছে।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি আমরা সবার জন্য মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছি।

একটি বৈশ্বিক জোট ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, যা সব নাগরিকের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত এবং বৈশ্বিক ব্যবস্থার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ পরামর্শ

আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি ‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে বিশ্ব নেতাদের সামনে পাঁচটি সুপারিশ পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় দুপুরে জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিটে (ভার্চ্যুয়াল) এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ১০ বিলিয়ন হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য আরও খাদ্য উৎপাদন করা অপরিহার্য।

‘স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থা’ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী কৃষি উন্নয়নের জন্য গবেষণা, বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন।

টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বর্ধিত তহবিলের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

টেকসই নিরাপত্তা অর্জনে প্রযুক্তি শেয়ারিংসহ জলবায়ুজনিত চরম ইভেন্টগুলোর সঙ্গে অভিযোজনের জন্য প্রতিশ্রুত তহবিল ছাড়েরও পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি পরবর্তী পুরুদ্ধার এবং স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এই অনুষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্য ও পর্যাপ্ত পুষ্টিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে আমাদের জাতীয় নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনায় খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরকে একটি অন্তর্ভুক্ত হাতিয়ার হিসেবে সমন্বিত করেছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে গেছে। আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছি এবং আমরা দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘনঘন চরম আবহাওয়া-জনিত দুর্যোগ এই গতিবেগকে প্রভাবিত করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বৈশ্বিক নেতা হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করছে।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি আমরা সবার জন্য মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছি।

একটি বৈশ্বিক জোট ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, যা সব নাগরিকের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত এবং বৈশ্বিক ব্যবস্থার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে।