ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন




ভারতের ‘ওয়ার্ল্ড আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন চিত্রশিল্পী নিখিল দাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নড়াইল প্রতিনিধি |  নড়াইলের চিত্রশিল্পী নিখিলচন্দ্র দাস ‘ওয়ার্ল্ড আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ভারতের উড়িষ্যার ভুবেনশ্বর ঢাউলি আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট কলেজে ১১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক আর্ট ফেস্টিভ্যালে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পী ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার ১৫০ শিল্পী প্রদর্শনীতে অংশ নেন। প্রদর্শনীতে তার ছবির মধ্যে ছিল গ্রামীণ পটভূমিতে আঁকা পটচিত্র।
নিখিলচন্দ্র দাসের জন্ম ১৯৬১ সালের ২৬ অক্টোবর নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাউলি গ্রামে। তার বাবা বিমল চন্দ্র দাস ও মা সূর্যরানি দাস দুজনেই ছবি আঁকতে পারতেন। মা নকশীকাঁথাসহ বিভিন্ন ধরনের আল্পনা আঁকতেন। হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে সব সময়ই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড লেগে থাকতো। এ সকল কর্মকাণ্ডে ছবি ও আল্পনা আঁকতে বাবা-মায়ের ডাক পড়তো। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণাতেই ছবি আকার প্রতি আকৃষ্ট হন।
বাল্যকালে বাবা মারা যান। এক বোন ও মাকে নিয়ে খুব কষ্টের জীবন পার করেছেন। ১৯৭৮ সালে এসএসসি পাস করে চারু ও কারুকলায় পড়তে ভারতে যান। লেখাপড়ার খরচ বহনে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরে শিল্পী এসএম সুলতানের কাছে দুই বছর ছবি আঁকা শেখেন। ১৯৮০ সালে রাজশাহী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৩ সালে পি ডিগ্রি পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা চারু ও কারুকলা ইন্সটিটিউটের কারুকলা বিভাগ থেকে বিএফ পাশ করেন। মাস্টার ডিগ্রি পড়া অবস্থায় ১৯৯২ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি নেন। বর্তমানে তিনি নড়াইল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
শিল্পী নিখিলচন্দ্র পটচিত্র, লোকজ গান, ছড়া, নৃত্য, রূপকথা সংগ্রহ করেন এবং এ বিষয়ের ওপর ছবি আঁকেন।
তিনি আরো জানান, নড়াইলে এক সময় প্রতিটি গ্রামে পট গান গাওয়া হতো। এখন এসব গান প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাওয়া এসব স্মৃতি ধরে রাখতে পটচিত্র নিজেন মতো করে এঁকে যাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভারতের ‘ওয়ার্ল্ড আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন চিত্রশিল্পী নিখিল দাস

আপডেট সময় : ১১:০৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০

নড়াইল প্রতিনিধি |  নড়াইলের চিত্রশিল্পী নিখিলচন্দ্র দাস ‘ওয়ার্ল্ড আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ভারতের উড়িষ্যার ভুবেনশ্বর ঢাউলি আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট কলেজে ১১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক আর্ট ফেস্টিভ্যালে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পী ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার ১৫০ শিল্পী প্রদর্শনীতে অংশ নেন। প্রদর্শনীতে তার ছবির মধ্যে ছিল গ্রামীণ পটভূমিতে আঁকা পটচিত্র।
নিখিলচন্দ্র দাসের জন্ম ১৯৬১ সালের ২৬ অক্টোবর নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাউলি গ্রামে। তার বাবা বিমল চন্দ্র দাস ও মা সূর্যরানি দাস দুজনেই ছবি আঁকতে পারতেন। মা নকশীকাঁথাসহ বিভিন্ন ধরনের আল্পনা আঁকতেন। হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে সব সময়ই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড লেগে থাকতো। এ সকল কর্মকাণ্ডে ছবি ও আল্পনা আঁকতে বাবা-মায়ের ডাক পড়তো। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণাতেই ছবি আকার প্রতি আকৃষ্ট হন।
বাল্যকালে বাবা মারা যান। এক বোন ও মাকে নিয়ে খুব কষ্টের জীবন পার করেছেন। ১৯৭৮ সালে এসএসসি পাস করে চারু ও কারুকলায় পড়তে ভারতে যান। লেখাপড়ার খরচ বহনে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরে শিল্পী এসএম সুলতানের কাছে দুই বছর ছবি আঁকা শেখেন। ১৯৮০ সালে রাজশাহী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৩ সালে পি ডিগ্রি পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা চারু ও কারুকলা ইন্সটিটিউটের কারুকলা বিভাগ থেকে বিএফ পাশ করেন। মাস্টার ডিগ্রি পড়া অবস্থায় ১৯৯২ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি নেন। বর্তমানে তিনি নড়াইল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
শিল্পী নিখিলচন্দ্র পটচিত্র, লোকজ গান, ছড়া, নৃত্য, রূপকথা সংগ্রহ করেন এবং এ বিষয়ের ওপর ছবি আঁকেন।
তিনি আরো জানান, নড়াইলে এক সময় প্রতিটি গ্রামে পট গান গাওয়া হতো। এখন এসব গান প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাওয়া এসব স্মৃতি ধরে রাখতে পটচিত্র নিজেন মতো করে এঁকে যাচ্ছেন।