ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক




কমলগঞ্জে তুলার গুদামে আগুন, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

 

কমলগঞ্জ (মৌলিভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলিভীবাজারের কমলগঞ্জে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ তুলা, ফোম ও কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (১৭ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সংলগ্ন বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সড়কের পাশে শাহাজালাল আমব্রেলা ও কটন শপের গোডাউনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হবিগঞ্জ সদর এলাকার শাহাজান মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভাস্থ রামপাশা এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার কাছ থেকে প্রায় ৭/৮ বছর আগে তুলা ও ফোম রাখার জন্য ঘরটি ভাড়া নিয়ে গোডাউনে হিসেবে ব্যবহার করেন। তাঁর শাহাজালাল আমব্রেলা কটন শপ নামের একটি দোকানসহ কারখানা রয়েছে।

শাহাজান মিয়া জানান- সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে গোডাউনে আগুন লাগার কথা শুনলেও তখন আর কিছু করার ছিলোনা। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরই মধ্যে যা ঘটার তা ঘটেই গেলো। পুড়ে ছাই হয়ে গেলো প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার তুলা, ফোম আর সিটকাপড়।

তিনি বলেন, ‘গতকাল রবিবার আমি ধারদেনা করে প্রায় লাখ টাকার তুলা, ফোম, আর সিটকাপড় গোদামে ঢুকিয়েছি। আগে থেকেই গোদামে পাঁচ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিলো। আমার বাপ দাদারা এখানে (ভানুগাছ) প্রায় ষাট, সত্ত্বর বছর থেকে ব্যবসা বাণিজ্য করে গেছেন, আমিও আজ প্রায় ১৪ বছর যাবৎ এখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি, আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু আমার গোদামে কোন বিদ্যুৎ নেই, রান্না, বান্নার কাজও কেউ করে না তাহলে আগুনটা লাগলো কিভাবে আমি বলতে পারছি না। আমি একেবারে পথে বসে গেছি।’

কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাধকান্ত সিংহ বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। অনেক তুলা পানিতে ভিজে গেছে তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কমলগঞ্জে তুলার গুদামে আগুন, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৬:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

 

কমলগঞ্জ (মৌলিভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলিভীবাজারের কমলগঞ্জে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ তুলা, ফোম ও কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (১৭ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী সংলগ্ন বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সড়কের পাশে শাহাজালাল আমব্রেলা ও কটন শপের গোডাউনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হবিগঞ্জ সদর এলাকার শাহাজান মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভাস্থ রামপাশা এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার কাছ থেকে প্রায় ৭/৮ বছর আগে তুলা ও ফোম রাখার জন্য ঘরটি ভাড়া নিয়ে গোডাউনে হিসেবে ব্যবহার করেন। তাঁর শাহাজালাল আমব্রেলা কটন শপ নামের একটি দোকানসহ কারখানা রয়েছে।

শাহাজান মিয়া জানান- সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে গোডাউনে আগুন লাগার কথা শুনলেও তখন আর কিছু করার ছিলোনা। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরই মধ্যে যা ঘটার তা ঘটেই গেলো। পুড়ে ছাই হয়ে গেলো প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার তুলা, ফোম আর সিটকাপড়।

তিনি বলেন, ‘গতকাল রবিবার আমি ধারদেনা করে প্রায় লাখ টাকার তুলা, ফোম, আর সিটকাপড় গোদামে ঢুকিয়েছি। আগে থেকেই গোদামে পাঁচ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিলো। আমার বাপ দাদারা এখানে (ভানুগাছ) প্রায় ষাট, সত্ত্বর বছর থেকে ব্যবসা বাণিজ্য করে গেছেন, আমিও আজ প্রায় ১৪ বছর যাবৎ এখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি, আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু আমার গোদামে কোন বিদ্যুৎ নেই, রান্না, বান্নার কাজও কেউ করে না তাহলে আগুনটা লাগলো কিভাবে আমি বলতে পারছি না। আমি একেবারে পথে বসে গেছি।’

কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাধকান্ত সিংহ বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। অনেক তুলা পানিতে ভিজে গেছে তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নাই।