ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবিপ্রবির শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘের সভাপতি রনি, সম্পাদক দীপ্ত   Logo শাবিপ্রবির শাহপরান ও মুজতবা আলী হলে ৬ সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ




সংসার বাঁচাতে দারোয়ানের চাকরি করছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক; 
জীবনের কী নির্মম পরিহাস। সংসার বাঁচাচে চলচ্চিত্র নির্মাতাকে নিতে হলো বাড়ির দারোয়ানের চাকরি। নতুন গল্প ও চিত্রনাট্যে ডুবে একেকটা দিন কাটাতেন যে মানুষটি তাকে এখন ১২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতে হয়। ৬২ বছর বয়সী এই চলচ্চিত্র পরিচালকের নাম সুব্রত রঞ্জন। টালিউডের অনেকেই তাকে চেনেন। তার পরিচালিত ‘প্রবাহিনী’ নামের একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর টোকাইদের জীবনের গল্প নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘কলি’ নামের একটি চলচ্চিত্র। এখনো আলোর মুখ দেখেনি চলচ্চিত্রটি।

সুব্রত এখন নিজেই যেন কোনো একটি চলচ্চিত্রে চরিত্র। চলচ্চিত্রের কাজ না পেয়ে ছেলে-মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দিতে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার টাকা বেতনের চাকরি করছেন।

এই নির্মাতার সোনালী অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায়, আশির দশকে ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ চলচ্চিত্রে শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর সহকারী পরিচালক হিসেবে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। মুম্বইয়ে শশধর মুখোপাধ্যায়ের প্রোডাকশন হাউসেও কাজ করেছেন তিনি।

ভারতীয় এক গণমাধ্যমের কাছে সুব্রত বলেছেন, ‘এখনো সুযোগ পেলেই চিত্রনাট্যের খসড়া তৈরি করি। যদিও এই চাকরি করে সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। মনটা আসলে টালিপাতাতেই পড়ে আছে। সময় বের করে কাজের খোঁজে সেখানেও ছুটে যায়। সংসার তো চালাতে হবেই, বেশ কয়েক বছর বসে থেকে শেষ এই কাজেই ঢুকে গেছি। কোনো কাজই আসলে ছোট নয়।’

সুব্রতর নতুন পেশার খবর টালিউডের অনেকেই জেনে গেছেন। অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না বিষয়টি।
ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল দে বলেন, ‘সুব্রতবাবু টালিগঞ্জের পরিচিত মুখ। এখন যাদের হাতে ক্ষমতা, তাদের দলের লোকজনই শুধু কাজ পায়। সুব্রতর মতো অভিজ্ঞ মানুষেরা কাজ পান না। এতে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির দৈন্য দশাই ফুটে উঠছে।’

এত কিছুর পরেও সুব্রত স্বপ্ন দেখেন, ভালো কাজের সুযোগ আসবে তার। আবারও ঘুরে দাঁড়াবেন তিনি। আবারও নতুন ছবি উপহার দিবেন দর্শকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সংসার বাঁচাতে দারোয়ানের চাকরি করছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা

আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

বিনোদন ডেস্ক; 
জীবনের কী নির্মম পরিহাস। সংসার বাঁচাচে চলচ্চিত্র নির্মাতাকে নিতে হলো বাড়ির দারোয়ানের চাকরি। নতুন গল্প ও চিত্রনাট্যে ডুবে একেকটা দিন কাটাতেন যে মানুষটি তাকে এখন ১২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতে হয়। ৬২ বছর বয়সী এই চলচ্চিত্র পরিচালকের নাম সুব্রত রঞ্জন। টালিউডের অনেকেই তাকে চেনেন। তার পরিচালিত ‘প্রবাহিনী’ নামের একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর টোকাইদের জীবনের গল্প নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘কলি’ নামের একটি চলচ্চিত্র। এখনো আলোর মুখ দেখেনি চলচ্চিত্রটি।

সুব্রত এখন নিজেই যেন কোনো একটি চলচ্চিত্রে চরিত্র। চলচ্চিত্রের কাজ না পেয়ে ছেলে-মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দিতে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার টাকা বেতনের চাকরি করছেন।

এই নির্মাতার সোনালী অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায়, আশির দশকে ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ চলচ্চিত্রে শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর সহকারী পরিচালক হিসেবে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। মুম্বইয়ে শশধর মুখোপাধ্যায়ের প্রোডাকশন হাউসেও কাজ করেছেন তিনি।

ভারতীয় এক গণমাধ্যমের কাছে সুব্রত বলেছেন, ‘এখনো সুযোগ পেলেই চিত্রনাট্যের খসড়া তৈরি করি। যদিও এই চাকরি করে সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। মনটা আসলে টালিপাতাতেই পড়ে আছে। সময় বের করে কাজের খোঁজে সেখানেও ছুটে যায়। সংসার তো চালাতে হবেই, বেশ কয়েক বছর বসে থেকে শেষ এই কাজেই ঢুকে গেছি। কোনো কাজই আসলে ছোট নয়।’

সুব্রতর নতুন পেশার খবর টালিউডের অনেকেই জেনে গেছেন। অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না বিষয়টি।
ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল দে বলেন, ‘সুব্রতবাবু টালিগঞ্জের পরিচিত মুখ। এখন যাদের হাতে ক্ষমতা, তাদের দলের লোকজনই শুধু কাজ পায়। সুব্রতর মতো অভিজ্ঞ মানুষেরা কাজ পান না। এতে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির দৈন্য দশাই ফুটে উঠছে।’

এত কিছুর পরেও সুব্রত স্বপ্ন দেখেন, ভালো কাজের সুযোগ আসবে তার। আবারও ঘুরে দাঁড়াবেন তিনি। আবারও নতুন ছবি উপহার দিবেন দর্শকদের।