ঢাকা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন




চাখারের স্কুল শিক্ষিকার অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করলো ছাত্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক [][]

চাখারের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মমতাজ বেগম নামের একজন শিক্ষিকার স্থানীয় আরেক ব্যাক্তির সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও রেকর্ড করে ভাইরাল করল একই বিদ্যালয়ের সাবেক স্কুল ছাত্র। ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে প্রতিবেদককে জানান, ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার সেনাবাহিনীর চাকুরীচ্যুত স্বপন ও এই শিক্ষিকা মমতাজ হাতেনাতে ধরা পড়েন আপত্তিকর অবস্থায়। গত ১৩ তারিখ পূর্ব সালিয়া বাকপুরে শিক্ষিকার ঘরেই স্বপন ও শিক্ষিকা মমতাজ জড়িত হন অবৈধ দৈহিক মিলনে। এ ঘটনার জানালা থেকে ভিডিও রেকর্ড করে প্রতিবেশী ও বর্তমান বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক এক ছাত্র শুভ ও আরও চার পাঁচজন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা মমতাজ চাকুরীরত একই স্কুলের সাবেক ছাত্র ওই শুভ ।

শুভ সাংবাদিকদের বলে “ভিডিও ধারন শেষে মমতাজ আপা ও লম্পট স্বপন আমাকে ও আরও তিন চারজন শিক্ষার্থীদের ভিডিও কেড়ে নিতে বেদম মারধর করেন। আমরা পরে ভিডিওটি ডিলেট করেছিলাম। কিভাবে ভাইরাল হল জানিনা ”
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্কুলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে স্কুল কমিটির সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেনকে দেশের বাইরে থাকায় ফোনে অবহিত করেন এবং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত শিক্ষিকাকে লিখিত নোটিশ দেন বলে জানিয়েছেন চাখার ফজলুল হক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন উপযুক্ত প্রমাণ পেলে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কতৃপক্ষ।

এ বিষয় কথা বলতে চাইলে মমতাজ বেগম আত্মগোপনে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ব্যাবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ করে রাখেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা মমতাজের স্বামী মোবাইলে সাংবাদিকদের বলেন ” খবরটি শুনেছি। ঘটনাটি তদন্ত দরকার। আর সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরকম একটা আচঁ পেয়ে স্বপনকে আমি বারণ করলেও তিনি শোনেন নি। ঘটনা সত্যি হলে আমি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেব”

অভিযুক্ত স্বপনকে জানতে গেলে তিনি ঢাকা চলে গেছেন বলে জানায় তার স্ত্রী এবং বোন। তবে “মমতাজ ও স্বপনের কেলেঙ্কারির ঘটনা নতুন নয় ” বলে জানান স্বপনের বোন।
ভিডিওটি ভাইরাল হলে স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন অভিভাবকবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।
এ রিপোর্ট করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানায় কোন জিডি,মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চাখারের স্কুল শিক্ষিকার অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করলো ছাত্র

আপডেট সময় : ১০:০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক [][]

চাখারের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মমতাজ বেগম নামের একজন শিক্ষিকার স্থানীয় আরেক ব্যাক্তির সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও রেকর্ড করে ভাইরাল করল একই বিদ্যালয়ের সাবেক স্কুল ছাত্র। ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে প্রতিবেদককে জানান, ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার সেনাবাহিনীর চাকুরীচ্যুত স্বপন ও এই শিক্ষিকা মমতাজ হাতেনাতে ধরা পড়েন আপত্তিকর অবস্থায়। গত ১৩ তারিখ পূর্ব সালিয়া বাকপুরে শিক্ষিকার ঘরেই স্বপন ও শিক্ষিকা মমতাজ জড়িত হন অবৈধ দৈহিক মিলনে। এ ঘটনার জানালা থেকে ভিডিও রেকর্ড করে প্রতিবেশী ও বর্তমান বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক এক ছাত্র শুভ ও আরও চার পাঁচজন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা মমতাজ চাকুরীরত একই স্কুলের সাবেক ছাত্র ওই শুভ ।

শুভ সাংবাদিকদের বলে “ভিডিও ধারন শেষে মমতাজ আপা ও লম্পট স্বপন আমাকে ও আরও তিন চারজন শিক্ষার্থীদের ভিডিও কেড়ে নিতে বেদম মারধর করেন। আমরা পরে ভিডিওটি ডিলেট করেছিলাম। কিভাবে ভাইরাল হল জানিনা ”
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্কুলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে স্কুল কমিটির সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেনকে দেশের বাইরে থাকায় ফোনে অবহিত করেন এবং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত শিক্ষিকাকে লিখিত নোটিশ দেন বলে জানিয়েছেন চাখার ফজলুল হক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন উপযুক্ত প্রমাণ পেলে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কতৃপক্ষ।

এ বিষয় কথা বলতে চাইলে মমতাজ বেগম আত্মগোপনে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ব্যাবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ করে রাখেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা মমতাজের স্বামী মোবাইলে সাংবাদিকদের বলেন ” খবরটি শুনেছি। ঘটনাটি তদন্ত দরকার। আর সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরকম একটা আচঁ পেয়ে স্বপনকে আমি বারণ করলেও তিনি শোনেন নি। ঘটনা সত্যি হলে আমি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেব”

অভিযুক্ত স্বপনকে জানতে গেলে তিনি ঢাকা চলে গেছেন বলে জানায় তার স্ত্রী এবং বোন। তবে “মমতাজ ও স্বপনের কেলেঙ্কারির ঘটনা নতুন নয় ” বলে জানান স্বপনের বোন।
ভিডিওটি ভাইরাল হলে স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন অভিভাবকবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।
এ রিপোর্ট করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানায় কোন জিডি,মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।