ঢাকা ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




মহাবিপদ সংকেতের পরিস্থিতি হবে না; ফণী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা, পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল থেকেই এ সংকেত বহাল রয়েছে।

ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত দিয়ে সতর্কতার মাত্রা বোঝানো হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে বিপদ সংকেত আর না বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা যে সংকেত দিয়েছি তা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। এ সংকেতের অর্থ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতেই থাকব। মহাবিপদ সংকেতের প্রয়োজন নেই।

ওড়িশা উপকূল হয়ে ‘ফণী’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলেও জানান তিনি। অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতি হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

‘ফণী’ ইতোমধ্যে ওড়িশা উপকূলে আঘাত করেছে। সেখানে এটা ১৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আঘাত করেছে। আমাদের এখানে যে গতিতে আঘাত করবে সেটাও আশঙ্কাজনক। এজন্য সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পুরনো সাইক্লোনের সঙ্গে তুলনা না করে আমাদের বিপদ সংকেত অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা হয়েছিল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু তার আগেই সকালেই ওড়িশায় আঘাত হানে ফণী।

ভারতে পূর্বাভাস সময়ের আগেই আঘাত করেছে, তবে আমাদের এখানে আসার সময় পিছিয়ে মধ্যরাত বলা হচ্ছে কেন- জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় চলার গতি তো সব সময় একরকম থাকে না। কম বেশি হতে পারে। ইতোমধ্যে ‘ফণী’র প্রভাব আমরা পাচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। এটা অগ্রভাগের প্রভাব। এটা আমাদের ভূখণ্ড অতিক্রম করতে করতে শনিবারও লেগে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মহাবিপদ সংকেতের পরিস্থিতি হবে না; ফণী

আপডেট সময় : ১২:৫১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা, পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল থেকেই এ সংকেত বহাল রয়েছে।

ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত দিয়ে সতর্কতার মাত্রা বোঝানো হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে বিপদ সংকেত আর না বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা যে সংকেত দিয়েছি তা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। এ সংকেতের অর্থ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতেই থাকব। মহাবিপদ সংকেতের প্রয়োজন নেই।

ওড়িশা উপকূল হয়ে ‘ফণী’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলেও জানান তিনি। অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতি হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

‘ফণী’ ইতোমধ্যে ওড়িশা উপকূলে আঘাত করেছে। সেখানে এটা ১৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আঘাত করেছে। আমাদের এখানে যে গতিতে আঘাত করবে সেটাও আশঙ্কাজনক। এজন্য সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পুরনো সাইক্লোনের সঙ্গে তুলনা না করে আমাদের বিপদ সংকেত অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা হয়েছিল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু তার আগেই সকালেই ওড়িশায় আঘাত হানে ফণী।

ভারতে পূর্বাভাস সময়ের আগেই আঘাত করেছে, তবে আমাদের এখানে আসার সময় পিছিয়ে মধ্যরাত বলা হচ্ছে কেন- জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় চলার গতি তো সব সময় একরকম থাকে না। কম বেশি হতে পারে। ইতোমধ্যে ‘ফণী’র প্রভাব আমরা পাচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। এটা অগ্রভাগের প্রভাব। এটা আমাদের ভূখণ্ড অতিক্রম করতে করতে শনিবারও লেগে যাবে।