ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




মহাবিপদ সংকেতের পরিস্থিতি হবে না; ফণী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা, পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল থেকেই এ সংকেত বহাল রয়েছে।

ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত দিয়ে সতর্কতার মাত্রা বোঝানো হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে বিপদ সংকেত আর না বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা যে সংকেত দিয়েছি তা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। এ সংকেতের অর্থ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতেই থাকব। মহাবিপদ সংকেতের প্রয়োজন নেই।

ওড়িশা উপকূল হয়ে ‘ফণী’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলেও জানান তিনি। অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতি হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

‘ফণী’ ইতোমধ্যে ওড়িশা উপকূলে আঘাত করেছে। সেখানে এটা ১৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আঘাত করেছে। আমাদের এখানে যে গতিতে আঘাত করবে সেটাও আশঙ্কাজনক। এজন্য সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পুরনো সাইক্লোনের সঙ্গে তুলনা না করে আমাদের বিপদ সংকেত অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা হয়েছিল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু তার আগেই সকালেই ওড়িশায় আঘাত হানে ফণী।

ভারতে পূর্বাভাস সময়ের আগেই আঘাত করেছে, তবে আমাদের এখানে আসার সময় পিছিয়ে মধ্যরাত বলা হচ্ছে কেন- জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় চলার গতি তো সব সময় একরকম থাকে না। কম বেশি হতে পারে। ইতোমধ্যে ‘ফণী’র প্রভাব আমরা পাচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। এটা অগ্রভাগের প্রভাব। এটা আমাদের ভূখণ্ড অতিক্রম করতে করতে শনিবারও লেগে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মহাবিপদ সংকেতের পরিস্থিতি হবে না; ফণী

আপডেট সময় : ১২:৫১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা, পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল থেকেই এ সংকেত বহাল রয়েছে।

ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত দিয়ে সতর্কতার মাত্রা বোঝানো হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে বিপদ সংকেত আর না বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা যে সংকেত দিয়েছি তা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। এ সংকেতের অর্থ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতেই থাকব। মহাবিপদ সংকেতের প্রয়োজন নেই।

ওড়িশা উপকূল হয়ে ‘ফণী’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলেও জানান তিনি। অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতি হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

‘ফণী’ ইতোমধ্যে ওড়িশা উপকূলে আঘাত করেছে। সেখানে এটা ১৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আঘাত করেছে। আমাদের এখানে যে গতিতে আঘাত করবে সেটাও আশঙ্কাজনক। এজন্য সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পুরনো সাইক্লোনের সঙ্গে তুলনা না করে আমাদের বিপদ সংকেত অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা হয়েছিল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু তার আগেই সকালেই ওড়িশায় আঘাত হানে ফণী।

ভারতে পূর্বাভাস সময়ের আগেই আঘাত করেছে, তবে আমাদের এখানে আসার সময় পিছিয়ে মধ্যরাত বলা হচ্ছে কেন- জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় চলার গতি তো সব সময় একরকম থাকে না। কম বেশি হতে পারে। ইতোমধ্যে ‘ফণী’র প্রভাব আমরা পাচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। এটা অগ্রভাগের প্রভাব। এটা আমাদের ভূখণ্ড অতিক্রম করতে করতে শনিবারও লেগে যাবে।