ঢাকা ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




দুর্ভাগা সাকিব!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক; 
বিশ্বকাপে দলের অবস্থান অষ্টম হওয়ায় সংশয়-সন্দেহের অন্ত ছিল না। কেননা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে আগের এগার বিশ্বকাপে, কোনোবারই প্রথম পর্বে বাদ যাওয়া দলের খেলোয়াড়কে দেয়া হয়নি আসর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

তাই ব্যাটে-বলে সমান আলো ছড়িয়েও, দ্বিধা-সংশয় ছিল বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার ব্যাপারে। সত্যি হয়েছে সেসব শঙ্কাই। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে বাদ পড়েও, আসর সেরার পুরস্কার জেতা হয়নি বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

তার বদলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ব্যাটিং এবং প্রায় একা হাতে নিজ দলকে রানার আপ করায় আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যিনি ব্যাট হাতে ২ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৫৭৮ রান।

নকআউট পর্ব তথা সেমিফাইনালে যেতে না পারায় সাকিবের সম্ভাবনা বেশ কমই দেখছিলেন সবাই। বিশেষ করে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার অতিমানবীয় ব্যাটিং ও অস্ট্রেলিয়ার গতিতারকা মিচেল স্টার্কের রেকর্ডগড়া বোলিংয়ের পর- তাদের যেকোনো একজনের হাতেই পুরস্কারটি দেখার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু এ তিনজনের কেউই নন, পুরস্কারটি জিতে নিয়েছেন কিউই অধিনায়ক।

রোহিত ও স্টার্ক- দুজনের দলই ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলে খুলে যায় সাকিবের দরজা। শুধু সাকিবের নয়, ফাইনালের আগের দিন আইসিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টসেরা দৌড়ে জানানো হয় ছয়জনের নাম। যেখানে অবধারিতভাবেই সবার ওপরে ছিলেন সাকিব।

এছাড়া কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, পাকিস্তানের বাবর আজম, ভারতের রোহিত শর্মা, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ও ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চারকে তালিকায় রেখে সবার মাঝে সাসপেন্স ঢুকিয়ে দেয় আইসিসি। শেষপর্যন্ত বাকি সবাইকে পেছনে ফেলে উইলিয়ামসনই জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।

আসরের প্রথম পর্বে বাদ যাওয়ায় সাকিবের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯ ম্যাচ খেলা সম্ভব ছিল। এর মধ্যে আবার বৃষ্টিতে ভেসে যায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি। ফলে ৮ ম্যাচেই যা করার করতে হয়েছে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারকে। এ ৮ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান করেছেন তিনি।

২ সেঞ্চুরির সঙ্গে পেয়েছেন ৫ ফিফটির দেখা। এই ৮ ইনিংসে সাকিবের সর্বনিম্ন রান ছিল ৪১। ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক সাকিব বল হাতেও কম যাননি। ৮ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে শিকার করেছেন ১১ উইকেট। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সই নয়, দলের তিন জয়েই নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। যে কারণে তার হাতে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার তুলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি আইসিসিকে।

১৯৯২ সালের আসর থেকে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেয়া শুরু করেছে আইসিসি। সে আসরেই নিউজিল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন মার্টিন ক্রো। আর এবার জিতলেন কেন উইলিয়ামসন।

বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার তালিকা

১৯৯২ – মার্টিন ক্রো (নিউজিল্যান্ড, ৪৫৬ রান)
১৯৯৬ – সনাৎ জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা, ২২১ রান ও ৭ উইকেট)
১৯৯৯ – ল্যান্স ক্লুজনার (দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৮১ রান ও ১৭ উইকেট)
২০০৩ – শচিন টেন্ডুলকার (ভারত, ৬৭৩ রান ও ২ উইকেট)
২০০৭ – গ্লেন ম্যাকগ্রাহ (অস্ট্রেলিয়া, ২৬ উইকেট)
২০১১ – যুবরাজ সিং (ভারত, ৩৬২ রান ও ১৫ উইকেট)
২০১৫ – মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া, ২২ উইকেট)
২০১৯ – কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড, ৫৭৮ রান)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দুর্ভাগা সাকিব!

আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক; 
বিশ্বকাপে দলের অবস্থান অষ্টম হওয়ায় সংশয়-সন্দেহের অন্ত ছিল না। কেননা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে আগের এগার বিশ্বকাপে, কোনোবারই প্রথম পর্বে বাদ যাওয়া দলের খেলোয়াড়কে দেয়া হয়নি আসর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

তাই ব্যাটে-বলে সমান আলো ছড়িয়েও, দ্বিধা-সংশয় ছিল বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার ব্যাপারে। সত্যি হয়েছে সেসব শঙ্কাই। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে বাদ পড়েও, আসর সেরার পুরস্কার জেতা হয়নি বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

তার বদলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ব্যাটিং এবং প্রায় একা হাতে নিজ দলকে রানার আপ করায় আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যিনি ব্যাট হাতে ২ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৫৭৮ রান।

নকআউট পর্ব তথা সেমিফাইনালে যেতে না পারায় সাকিবের সম্ভাবনা বেশ কমই দেখছিলেন সবাই। বিশেষ করে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার অতিমানবীয় ব্যাটিং ও অস্ট্রেলিয়ার গতিতারকা মিচেল স্টার্কের রেকর্ডগড়া বোলিংয়ের পর- তাদের যেকোনো একজনের হাতেই পুরস্কারটি দেখার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু এ তিনজনের কেউই নন, পুরস্কারটি জিতে নিয়েছেন কিউই অধিনায়ক।

রোহিত ও স্টার্ক- দুজনের দলই ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলে খুলে যায় সাকিবের দরজা। শুধু সাকিবের নয়, ফাইনালের আগের দিন আইসিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টসেরা দৌড়ে জানানো হয় ছয়জনের নাম। যেখানে অবধারিতভাবেই সবার ওপরে ছিলেন সাকিব।

এছাড়া কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, পাকিস্তানের বাবর আজম, ভারতের রোহিত শর্মা, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ও ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চারকে তালিকায় রেখে সবার মাঝে সাসপেন্স ঢুকিয়ে দেয় আইসিসি। শেষপর্যন্ত বাকি সবাইকে পেছনে ফেলে উইলিয়ামসনই জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।

আসরের প্রথম পর্বে বাদ যাওয়ায় সাকিবের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯ ম্যাচ খেলা সম্ভব ছিল। এর মধ্যে আবার বৃষ্টিতে ভেসে যায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি। ফলে ৮ ম্যাচেই যা করার করতে হয়েছে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারকে। এ ৮ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান করেছেন তিনি।

২ সেঞ্চুরির সঙ্গে পেয়েছেন ৫ ফিফটির দেখা। এই ৮ ইনিংসে সাকিবের সর্বনিম্ন রান ছিল ৪১। ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক সাকিব বল হাতেও কম যাননি। ৮ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে শিকার করেছেন ১১ উইকেট। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সই নয়, দলের তিন জয়েই নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। যে কারণে তার হাতে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার তুলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি আইসিসিকে।

১৯৯২ সালের আসর থেকে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেয়া শুরু করেছে আইসিসি। সে আসরেই নিউজিল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন মার্টিন ক্রো। আর এবার জিতলেন কেন উইলিয়ামসন।

বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার তালিকা

১৯৯২ – মার্টিন ক্রো (নিউজিল্যান্ড, ৪৫৬ রান)
১৯৯৬ – সনাৎ জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা, ২২১ রান ও ৭ উইকেট)
১৯৯৯ – ল্যান্স ক্লুজনার (দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৮১ রান ও ১৭ উইকেট)
২০০৩ – শচিন টেন্ডুলকার (ভারত, ৬৭৩ রান ও ২ উইকেট)
২০০৭ – গ্লেন ম্যাকগ্রাহ (অস্ট্রেলিয়া, ২৬ উইকেট)
২০১১ – যুবরাজ সিং (ভারত, ৩৬২ রান ও ১৫ উইকেট)
২০১৫ – মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া, ২২ উইকেট)
২০১৯ – কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড, ৫৭৮ রান)