মাইক্রোবাসে গণমাধ্যমের স্টিকার লাগিয়ে চাঁদাবাজি!

- আপডেট সময় : ১০:০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ ১০০ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর)
যশোরের বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন ক্লিনিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পল্লী টিভির সাংবাদিক পরিচয়দানকারী চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় বেনাপোল বাজারের একটি ক্লিনিক থেকে পোর্ট থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- চুয়াডাঙ্গার জীবনগরের আশতালাপাড়া গ্রামের সৌরব হোসেনের ছেলে শাহাজাত বেল্লাল (২৯), একই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (২০), তারানিবাশ পশ্চিমপাড়া এলাকার করিমের ছেলে আলামিন বিশ্বাস (২৬) ও দৌলতগঞ্জ এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে শিতল হোসেন (২০)। শাহাজাত বেল্লাল নিজেকে পল্লী টিভি নামে একটি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক বলে দাবি করেছেন।
বেনাপোল রজনী ক্লিনিকের ম্যানেজার আরাফাত ইসলাম সুইট জানায়, পল্লী টিভির স্টিকার লাগানো একটি মাইক্রোবাস নিয়ে চার যুবক সাংবাদিক পরিচয়ে তাদের ক্লিনিকে আসে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় তাদের আচারণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ বলেন, চাঁদাবাজির সত্যতা পাওয়ায় তাদের চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা গত তিন দিন ধরে বেনাপোল, শার্শা ও যশোরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছিল। তাদের ব্যবহৃত পল্লী টিভির লোগো, একটি মাইক্রোবাস ও চাঁদাবাজির কিছু টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পল্লী টিভি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে বলা হয়, তাকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেনাপোলে যাবে কেন? আর ওখানে মাইক্রোবাস নিয়ে চাঁদাবাজি কেন করবে? কোনো সংবাদকর্মী অপরাধ করলে কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেবে না। অপরাধ প্রমাণ হলে নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।